Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি | ২৪ শে অক্টোবর , ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি | ২৪ শে অক্টোবর , ২০২১ ঈসায়ী |

    আবারো ফিরে এসেছে শাহবাগী নাস্তিকেরা : ইসলামকে অবমাননা করে গাওয়া গান ভাইরাল!

    শাহবাগে আবারো গণজমায়েত শুরু করেছে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকেরা। কথিত 'সহিংসতা বিরোধী প্রতিবাদ' এর আড়ালে তারা নাস্তিক্যবাদের প্রচার এবং ইসলামের অবমাননা করে বেড়াচ্ছে। এবার তারা মুসলিমদের মাঝে তারা হিউম্যানিজম ও ইন্টারফেইথের আড়ালে ইসলামবিদ্বেষী আদর্শ প্রবেশ করানোর অপতৎপরতাও চালাচ্ছে।

    শাহবাগে কথিত 'সহিংসতা বিরোধী কনসার্ট'- এ হজ্জ্বের তালবিয়াকে অবমাননা করে গান গেয়েছে 'মেঘদল' নামক একটি ব্যান্ড। শুধু যে হজ্বের তালবিয়ার সাথেই বিদ্রুপ করা হয়েছে তাই নয়, বরং ইসলামের কালিমাকেও কটাক্ষ করেছে এই নাস্তিকরা। এই গানের শেষের দিকে একটি প্যারা হলো - "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মানুষ কুরবানি মাশাআল্লাহ!"

    এই অংশ দ্বারা তারা ইসলামের কালিমাকে বিদ্রুপ করেছে। শুধু তাই নয় বরং এই অংশ দ্বারা তারা ইসলামকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনও করেছে। এই অংশ দ্বারা তারা বোঝাতে চেয়েছে যে এক আল্লাহ্*'র জন্য মানুষ হত্যা করে মুসলিমরা।

    এই জঘন্য গানটি করেছে 'মেঘদল' নামের অখ্যাত একটা ব্যান্ড। এটা কেবল আমাদের ধর্মের নির্দিষ্ট কিছু শব্দ আবৃত্তি করেছে এমন যে তা না।বরং তাদের এটা একটা গান। গানের নাম 'ওম'। গানটায় অন্য ধর্মের কথা বলা থাকলেও ভাইরাল হয়েছে কেবল মুসলিমদের লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক অংশটুকু। আজ থেকে ১৬ বছর আগে 'ওম' গানটা কম্পোজিশনের মাধ্যমে এই মেঘদল ব্যান্ডের যাত্রা হয়।

    ২০০০ সালে তিন বন্ধু- শিবু, সুমন ও উজ্জ্বল একসঙ্গে গান করত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং চারুকলার বিভিন্ন কনসার্টে। বিভিন্ন ইস্যুতে চারুকলা থেকে সামাজিক কিংবা সরকারবিরোধী নাচগান ও অভিনয়ে যেসব প্রোগ্রাম হয় সেগুলোতে তারা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি চরম বিদ্বেষ প্রকাশ করতে থাকে এসব গানের মাধ্যমে। ২০০৫-এ উজ্জ্বলের অনুরোধে ব্যান্ডের সাথে যুক্ত হয় এম জি কিবরিয়া। ‘ওম’ কম্পোজিশনটি দিয়ে মূলত শুরু হয় মেঘদলের যাত্রা। ‘ওম’ গানটার প্রাথমিক ধারণা তিন নাস্তিক বন্ধুর, সেটার সাথে উজ্জ্বল যুক্ত করে লিরিক।

    উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে একের পর এক আঘাত করে এই দেশকে একটি সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার প্রেক্ষাপট তৈরি করছে এই শাহবাগী। যাতে বাংলাদেশের ইমেজ এতে নষ্ট হয় এবং বাংলার মুসলমানদের উপর কথিত 'সাম্প্রদায়িকতা' রুখতে বিদেশিরা এদেশে আগ্রাসন চালায়।

    তথ্যসূত্র :
    -------

    ১। মূল সূত্র :
    shorturl.at/hxJSY


    ২। ভিডিও লিংক



    ৩। গানের লিরিক্স
    shorturl.at/cvxD8


    shorturl.at/rvDGO
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কক্সবাজারে নামাজরত অবস্থায় ৬ হুজুর ও ছাত্রকে জবাই করে খুন!
    কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালির ১৮ নম্বর রোগিঙ্গা ক্যাম্পে রাত ৩টার দিকে তাহাজ্জুদ সালাত আদায়রত মুসলিমদের ওপর আক্রমণ চালায় প্রায় ৩ শতাধিক সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা দা, কিরিচ ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলাতে নিহত হন ৩জন মাদ্রাসা শিক্ষক, ১জন শিশু ছাত্র এবং হামলার খবর পেয়ে ছুটে আসা ২ রোহিঙ্গা শরণার্থী। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে চলে যাবার সময় সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গাদের কয়েকটি দোকান ও বাড়িও ভাংচুর করে। গত ২২শে অক্টোবর ভোরে এই নৃশংস হত্যাকান্ড পরিচালিত হয়।

    দারুল উলূম নাদ ওয়াতুল উলামা আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও সাধারণ রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন যে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ও তাদের অনুসারীরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার পর আতংকে আছেন রোহিঙ্গারা। পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন ঘটনার পর তারা একটি দেশীয় বন্ধুক, ৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ সন্দেহভাজন একজন কে সন্ত্রাসীকে আটক করেছে তারা। তাকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান যে সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসার ভেতর থাকা দুইজন নামাজরত শিক্ষককে গুলি এবং পরে রামদা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর আরও দুজনকে একই কায়দায় হত্যা করা হয়। হামলায় আহত হয়ে দুজন হাসপাতালে মারা গেছেন।

    এই বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি বড় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে যাতে আইনশৃঙ্খলা আরো উন্নত করা যায়, সে নিয়ে একটা বড় সভা গতকালকেই করেছি। এরপর (আজকের) দুর্ঘটনা, খুবই আতঙ্কের বিষয়।”

    রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা এবং আজকের ঘটনার পেছনে যোগসাজশ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তার মন্তব্য- “বিভিন্ন লোকে বলছে যে, ওখানে ড্রাগের ব্যবসা হয়…আর কেউ কেউ তথ্য দিয়েছে, কিছু উইপেন, কিছু বন্দুক-টন্দুকও আনা হয়। এসব নিয়ে কালকে আলোচনা করেছি আমরা। আমার প্রস্তাব হলো, এই ড্রাগ ও অস্ত্র পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনে গুলি ছুঁড়তে হবে।”

    সে আরও বলে- “অনেক লোক (মায়ানমারে) ফেরত যেতে চায় না, তারা হয়তো এসব অঘটন ঘটাচ্ছে। আমি ঠিক জানি না, তবে জানতে হবে।”

    এমন একটি ঘটনার পর আমাদের দেশের মূলধারার মিডিয়ায় কোনও খবর নেই। অথচ আজ যদি কোনও হিন্দু পাড়ায় কোনও সামান্য ঘটনাও ঘটে তো দেশের মূলধারার পত্র-পত্রিকা, টিভি-চ্যানেল সব জায়গায় প্রতিনিয়ত তা সম্প্রচার করা হয়। কিন্তু মুসলিমদের বেলায় তার কোনটিই নেই। আমাদের মূলধারার মিডিয়ার পক্ষপাতমূলক আচরণ আরও একবার এর থেকে প্রমাণিত হলো যে মুসলিমদের উপর কোন নির্যাতন বা সহিংসতার ঘটনা তারা প্রচার করবে না।

    তথ্যসূত্র :
    ——–
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X