ত্রিপুরায় মুসলিমদের বাড়িঘর-দোকানপাট-মসজিদে হিন্দুত্ববাদীদের অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর, নারীদের শ্লীলতাহানী!
হিন্দুত্ববাদীদের এদেশীয় দোসর র’এজেন্টদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে কিছু ভাঙচুর ও হিন্দুদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগানোর খবরে উত্তপ্ত ভারত। গুজব ছড়ানো হয় বাংলাদেশে মুসলিমরা হিন্দুদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করছে। এমনকি মা মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের স্থানীয় পূজা কমিটির হিন্দুরাই এগুলোকে বানোয়াট ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা বলে মিডিয়ায় বিবৃতি দিযেছে।
এর পরেও ভারতের উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলো এগুলোকে পুঁজি করে মুসলিম বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে। জল ঘোলা করে মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট, মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা চালাচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি হামলা চালানো হচ্ছে ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের সময় হিন্দু আধাসামরিক দল আরএসএস, ভিএইচপি এবং বজরং দল ১৫টিরও বেশি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং মুসলমানদের দোকান ভাংচুর ও পুড়িয়ে দিয়েছে। মিডিয়াতে এতটুকু আসলেও, বাস্তবতা আরও ভয়াবহ।
সপ্তাহজুড়ে চলমান এসব ঘটনায় একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে মুসলিমদের যান-মাল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরার একটি মসজিদে ভাঙচুর এবং মুসলিমদের দুটি দোকানে আগুন দিয়েছে হিন্দুরা। উত্তর ত্রিপুরার চামটিল্লা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
ভাংচুরের আগে মুসলিমদের দোকানগুলি সনাক্ত করা হয়। গত মঙ্গলবার ত্রিপুরায় চলমান মুসলিম বিরোধী হিন্দুদের সহিংসতার সর্বশেষ নিহতদের মধ্যে রয়েছেন রোয়ায় দুই স্থানীয় ব্যবসায়ী নিজামুদ্দিন ও আমিরউদ্দিন হুসেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সমাবেশে নিজামুদ্দিন ও আমিরউদ্দিনের মালিকানাধীন মুদিদোকান, রেশন দোকান ও গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় এক সাংবাদিক সাকুনিয়া জানায়, হিন্দুত্ববাদী উগ্র জনতা আমিরউদ্দিনের দুটি মুদিদোকান ও একটি গোডাউন পুড়িয়ে দেয়, যার ফলে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়। আমিরউদ্দিন তার ১৩ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন। সাকুনিয়ার টুইটে আরও জানায় যে, সমাবেশের আগে হিন্দুজনতা মুসলিমদের দোকান এবং মসজিদগুলি শনাক্ত করে এবং সেই অনুযায়ী সেগুলি ধ্বংস করে দেয়।
ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই এক রিপোর্টে বলেছে, “গত ২৬ অক্টোবর দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত পানিসাগর-এ একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আসাম-আগরতলা সড়ক ধরে রোয়া বাজার হয়ে চামটিলায় যাচ্ছিল মিছিলটি। সমাবেশে কিছু হিন্দুরা দোকানে ভাংচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দিলে সেগুলো ভস্মীভূত হয়ে যায়। রোয়া বাজারের কাছাকাছি বসবাসরত বাসিন্দাদের বাড়িঘরেও আক্রমণ করে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা।
তারা মুসলিম মহিলাদের শ্লীলতাহানীও করে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের র*্যালির সময় সেখানে একটি মসজিদ ভাঙচুর করা হয়। এই গুরুতর পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু মুসলিম পরিবারগুলি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
২৬ অক্টোবর আগরতলা থেকে ১৫৫ কি.মি দূরের পানিসাগর পুলিশ স্টেশনে রোয়া বাজার এলাকার ৭ বাসিন্দা হিন্দু সংগঠনগুলোর হামলা ও হুমকি এবং তাদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেন, যাদের মধ্যে দুই মুসলিম নারিও ছিলেন। অবশ্য এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কাহিনী সাজিয়ে বিজেপি সরকার সে দেশে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে এবং বাংলাদেশ দখলের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই এই মত দিয়েছেন যে, সার্বিক ঘটনাপ্রবাহ একটি বৃহত্তর মুসলিম গণহত্যার দিকেই ধাবিত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
——
১। ত্রিপুরায় আবারও মুসলিমদের বাড়িঘর-দোকানপাট-মসজিদে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর
২। VHP men entered our homes, molested us: Muslim women in Tripura
৩। ত্রিপুরায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন দিয়েছে
৪। কোনো জোরালো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ
৫। ত্রিপুরায় মুসলিমদের ওপর হামলা
৬। ত্রিপুরা হামলার ভিডিও
হিন্দুত্ববাদীদের এদেশীয় দোসর র’এজেন্টদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে কিছু ভাঙচুর ও হিন্দুদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগানোর খবরে উত্তপ্ত ভারত। গুজব ছড়ানো হয় বাংলাদেশে মুসলিমরা হিন্দুদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করছে। এমনকি মা মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের স্থানীয় পূজা কমিটির হিন্দুরাই এগুলোকে বানোয়াট ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা বলে মিডিয়ায় বিবৃতি দিযেছে।
এর পরেও ভারতের উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলো এগুলোকে পুঁজি করে মুসলিম বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে। জল ঘোলা করে মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট, মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা চালাচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি হামলা চালানো হচ্ছে ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের সময় হিন্দু আধাসামরিক দল আরএসএস, ভিএইচপি এবং বজরং দল ১৫টিরও বেশি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং মুসলমানদের দোকান ভাংচুর ও পুড়িয়ে দিয়েছে। মিডিয়াতে এতটুকু আসলেও, বাস্তবতা আরও ভয়াবহ।
সপ্তাহজুড়ে চলমান এসব ঘটনায় একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে মুসলিমদের যান-মাল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরার একটি মসজিদে ভাঙচুর এবং মুসলিমদের দুটি দোকানে আগুন দিয়েছে হিন্দুরা। উত্তর ত্রিপুরার চামটিল্লা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
ভাংচুরের আগে মুসলিমদের দোকানগুলি সনাক্ত করা হয়। গত মঙ্গলবার ত্রিপুরায় চলমান মুসলিম বিরোধী হিন্দুদের সহিংসতার সর্বশেষ নিহতদের মধ্যে রয়েছেন রোয়ায় দুই স্থানীয় ব্যবসায়ী নিজামুদ্দিন ও আমিরউদ্দিন হুসেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সমাবেশে নিজামুদ্দিন ও আমিরউদ্দিনের মালিকানাধীন মুদিদোকান, রেশন দোকান ও গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় এক সাংবাদিক সাকুনিয়া জানায়, হিন্দুত্ববাদী উগ্র জনতা আমিরউদ্দিনের দুটি মুদিদোকান ও একটি গোডাউন পুড়িয়ে দেয়, যার ফলে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়। আমিরউদ্দিন তার ১৩ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন। সাকুনিয়ার টুইটে আরও জানায় যে, সমাবেশের আগে হিন্দুজনতা মুসলিমদের দোকান এবং মসজিদগুলি শনাক্ত করে এবং সেই অনুযায়ী সেগুলি ধ্বংস করে দেয়।
ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই এক রিপোর্টে বলেছে, “গত ২৬ অক্টোবর দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত পানিসাগর-এ একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আসাম-আগরতলা সড়ক ধরে রোয়া বাজার হয়ে চামটিলায় যাচ্ছিল মিছিলটি। সমাবেশে কিছু হিন্দুরা দোকানে ভাংচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দিলে সেগুলো ভস্মীভূত হয়ে যায়। রোয়া বাজারের কাছাকাছি বসবাসরত বাসিন্দাদের বাড়িঘরেও আক্রমণ করে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা।
তারা মুসলিম মহিলাদের শ্লীলতাহানীও করে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের র*্যালির সময় সেখানে একটি মসজিদ ভাঙচুর করা হয়। এই গুরুতর পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু মুসলিম পরিবারগুলি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
২৬ অক্টোবর আগরতলা থেকে ১৫৫ কি.মি দূরের পানিসাগর পুলিশ স্টেশনে রোয়া বাজার এলাকার ৭ বাসিন্দা হিন্দু সংগঠনগুলোর হামলা ও হুমকি এবং তাদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেন, যাদের মধ্যে দুই মুসলিম নারিও ছিলেন। অবশ্য এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কাহিনী সাজিয়ে বিজেপি সরকার সে দেশে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে এবং বাংলাদেশ দখলের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই এই মত দিয়েছেন যে, সার্বিক ঘটনাপ্রবাহ একটি বৃহত্তর মুসলিম গণহত্যার দিকেই ধাবিত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
——
১। ত্রিপুরায় আবারও মুসলিমদের বাড়িঘর-দোকানপাট-মসজিদে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর
২। VHP men entered our homes, molested us: Muslim women in Tripura
৩। ত্রিপুরায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন দিয়েছে
৪। কোনো জোরালো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ
৫। ত্রিপুরায় মুসলিমদের ওপর হামলা
৬। ত্রিপুরা হামলার ভিডিও
Comment