ত্রিপুরায় মুসলিম নির্যাতন : নীরব দর্শক হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ও দালাল মিডিয়া
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত হামলার জের ধরে সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হিন্দুরা মুসলিমদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। পবিত্র স্থান মসজিদ এবং মুসলিমদের ঘরবাড়ি ও দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভিইএইচপির তাণ্ডবের দিনেই মুসলিম নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোন লাভ হয়নি।
অনেক এলাকার ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা জানিয়েছেন, “মুসলিমরা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন”।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার তিন দিকে রয়েছে বাংলাদেশ। আর একদিকে ছোট্ট একটি অংশ যুক্ত আসামের সঙ্গে। রাজ্যের মোট ৪২ লাখ জনসংখ্যার ৯ শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলিম। বাকি জনসংখ্যার অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তু। সংখ্যালঘুদের ওপর সেখানে একাধিক আক্রমণের ঘটনা ঘটে চলেছে লাগাতার।
এদিকে ত্রিপুরা রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে হিন্দুত্ববাদীরা যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তার নানান চিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরও স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ‘কিছু হয়নি’ বলার চেষ্টা করছে। আর সেখানকার মিডিয়ার ভূমিকা একেবারে নীরব দর্শকের মতো।
এই সুযোগে উগ্রবাদী হিন্দুরা মুসলিমদের উপর আরো জোরদার হামলা ও আগ্রাসন চালাচ্ছে। অনেক এলাকার মুসলিমদের তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদও করা হচ্ছে। তাদের বাড়ী-ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে শত শত মুসলিম প্রাণভয়ে ঘরবাড়ী ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
এত সব ঘটনার পরেও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ বলছে ‘অল ইজ ওয়েল।’
পুলিশের দাবি আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। অথচ মানবাধিকার সংগঠন এপিসিআর সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে বলেছে, হিন্দুত্ববাদীরা কমপক্ষে ২৭টি হামলা চালিয়েছিল। ভিএইচপির লোকেরা ১৬টি মসজিদে হামলা চালিয়েছে। কয়েকটি মসজিদে জোর করে ভিএইচপির পতাকা পুঁতে দেয়া হয়েছিল। কমপক্ষে তিনটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উনাকটি জেলার পালবাজার মসজিদ, গোমতী জেলার ডোগরা মসজিদ এবং বিশালগড় জেলার নারোলা টিলা মসজিদ।
সমাজকর্মী নূর উল ইসলাম বলেন, পুলিশ কেন হিন্দুত্ববাদী দুষ্কৃতিকারীদের এমন মিছিলের অনুমতি দিয়েছিল? মূলত গোটা ব্যাপারটা হয়েছে বিপ্লব দেব সরকারের যোগসাজসে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেস্টাও করেনি।
আর স্থানীয় মুসলিমদের অভিযোগ, সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হামলা দেখেও চুপ করে রয়েছে মূলধারার মিডিয়া। এটা আসলে তাদের দ্বিচারিতার পূর্ণ বহিপ্রকাশ।
টুইটারে অনেকেই অগ্নিদগ্ধ মসজিদের ছবি ও মুসলিমদের বাড়ি ভাঙচুরের ছবি পোস্ট করেছে। হ্যাশট্যাগ সেভ ত্রিপুরা মুসলিম নামে চালানো হয়েছে ক্যাম্পেইনও। অথচ সামনে ভোট, সে কারণেই এমন সহিংতা দেখেও চুপ করে রয়েছে সিপিএমের মতো তথাকথিত দলগুলোও।
এদিকে দায়সারাভাবে ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে একদল মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে এবং উত্তেজনাকর বার্তা প্রচার করছে।
বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনও এমন বিবৃতি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার জানায়, কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে।
তবে মুসলিমদের সংগঠন জমিয়ত উলেমার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর থেকেই একদল মানুষ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে মুসলিমদের ধর্মীয় স্থান এবং দোকান, বাড়িঘরে আক্রমণ করছে।
তথ্যসূত্র:
——-
১। ত্রিপুরায় আতঙ্কে মুসলিমরা, পালাচ্ছে ঘরবাড়ি ছেড়ে: মিডিয়া নীরব, হাত গুটিয়ে আছে সরকারও
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত হামলার জের ধরে সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হিন্দুরা মুসলিমদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। পবিত্র স্থান মসজিদ এবং মুসলিমদের ঘরবাড়ি ও দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভিইএইচপির তাণ্ডবের দিনেই মুসলিম নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোন লাভ হয়নি।
অনেক এলাকার ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা জানিয়েছেন, “মুসলিমরা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন”।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার তিন দিকে রয়েছে বাংলাদেশ। আর একদিকে ছোট্ট একটি অংশ যুক্ত আসামের সঙ্গে। রাজ্যের মোট ৪২ লাখ জনসংখ্যার ৯ শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলিম। বাকি জনসংখ্যার অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তু। সংখ্যালঘুদের ওপর সেখানে একাধিক আক্রমণের ঘটনা ঘটে চলেছে লাগাতার।
এদিকে ত্রিপুরা রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে হিন্দুত্ববাদীরা যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তার নানান চিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরও স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ‘কিছু হয়নি’ বলার চেষ্টা করছে। আর সেখানকার মিডিয়ার ভূমিকা একেবারে নীরব দর্শকের মতো।
এই সুযোগে উগ্রবাদী হিন্দুরা মুসলিমদের উপর আরো জোরদার হামলা ও আগ্রাসন চালাচ্ছে। অনেক এলাকার মুসলিমদের তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদও করা হচ্ছে। তাদের বাড়ী-ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে শত শত মুসলিম প্রাণভয়ে ঘরবাড়ী ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
এত সব ঘটনার পরেও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ বলছে ‘অল ইজ ওয়েল।’
পুলিশের দাবি আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। অথচ মানবাধিকার সংগঠন এপিসিআর সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে বলেছে, হিন্দুত্ববাদীরা কমপক্ষে ২৭টি হামলা চালিয়েছিল। ভিএইচপির লোকেরা ১৬টি মসজিদে হামলা চালিয়েছে। কয়েকটি মসজিদে জোর করে ভিএইচপির পতাকা পুঁতে দেয়া হয়েছিল। কমপক্ষে তিনটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উনাকটি জেলার পালবাজার মসজিদ, গোমতী জেলার ডোগরা মসজিদ এবং বিশালগড় জেলার নারোলা টিলা মসজিদ।
সমাজকর্মী নূর উল ইসলাম বলেন, পুলিশ কেন হিন্দুত্ববাদী দুষ্কৃতিকারীদের এমন মিছিলের অনুমতি দিয়েছিল? মূলত গোটা ব্যাপারটা হয়েছে বিপ্লব দেব সরকারের যোগসাজসে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেস্টাও করেনি।
আর স্থানীয় মুসলিমদের অভিযোগ, সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হামলা দেখেও চুপ করে রয়েছে মূলধারার মিডিয়া। এটা আসলে তাদের দ্বিচারিতার পূর্ণ বহিপ্রকাশ।
টুইটারে অনেকেই অগ্নিদগ্ধ মসজিদের ছবি ও মুসলিমদের বাড়ি ভাঙচুরের ছবি পোস্ট করেছে। হ্যাশট্যাগ সেভ ত্রিপুরা মুসলিম নামে চালানো হয়েছে ক্যাম্পেইনও। অথচ সামনে ভোট, সে কারণেই এমন সহিংতা দেখেও চুপ করে রয়েছে সিপিএমের মতো তথাকথিত দলগুলোও।
এদিকে দায়সারাভাবে ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে একদল মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে এবং উত্তেজনাকর বার্তা প্রচার করছে।
বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনও এমন বিবৃতি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার জানায়, কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে।
তবে মুসলিমদের সংগঠন জমিয়ত উলেমার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর থেকেই একদল মানুষ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে মুসলিমদের ধর্মীয় স্থান এবং দোকান, বাড়িঘরে আক্রমণ করছে।
তথ্যসূত্র:
——-
১। ত্রিপুরায় আতঙ্কে মুসলিমরা, পালাচ্ছে ঘরবাড়ি ছেড়ে: মিডিয়া নীরব, হাত গুটিয়ে আছে সরকারও
Comment