Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ০২রা রবিউস সানি, ১৪৪৩ হিজরি | ৮ ই নভেম্বর , ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ০২রা রবিউস সানি, ১৪৪৩ হিজরি | ৮ ই নভেম্বর , ২০২১ ঈসায়ী |

    বিরিয়ানির দোকান খোলায় মুসলিম বিক্রেতাকে হিন্দুত্ববাদীদের হুমকি

    ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদেরকে নানা অযুহাতে ভয়ভীতি দেখানোকে একটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত করেছে। তুচ্ছ কারণে হুমকি ধামকি দিয়ে পিটিয়ে হত্যাও করা হয়।

    হিন্দুদের ধর্মীয় উতসব দীপাবলিতে কেন বিরিয়ানি বিক্রি করা হচ্ছে?- এমন প্রশ্ন তুলে এক মুসলিমের দোকান বন্ধ করতে বলে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের এক কর্মী। দোকান বন্ধ না করলে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়ার হুমকিও দেয় সে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া তিন মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নরেশ কুমার সূর্যবংশী নামে এক ব্যক্তি হুমকি দিচ্ছে ঐ মুসলিম বিরিয়ানি বিক্রেতাকে। নিজেকে রাষ্ট্রীয় বজরং দলের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে সে বলে, এটা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। কে দোকান খােলার অনুমতি দিয়েছে? প্রাণের ভয় নেই?”

    ঐ সন্ত্রাসী আরও বলে, “এটা তোমাদের এলাকা নয়। জামা মসজিদ নয়। এখানে হিন্দুরা থাকে। এটা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা।”

    এর পরই দেখা যায়, দোকানের কর্মীরা ভয়ে তড়িঘড়ি করে বাসনপত্র, টেবিল চেয়ার দোকানের ভিতর গুছিয়ে রাখছে, দোকান বন্ধের তোরজোর করছে।

    এর পরও থামেনি ওই ব্যক্তি। আশপাশে জড়ো হয়ে যাওয়া সকলের উদ্দেশে সে বলে, “এবার জাগুন আপনারা। এরা এখানে দোকান করছে। লাভ জেহাদের ফাঁদ পাতছে। আমাদের বোনেদের সেই ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। প্রতিবাদ করুন।”

    এভাবেই ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে সাধারণ হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে তুলছে হিন্দুত্ববাদী দলসমূহ ও তাদের কর্মীরা। মুসলিমদের উপর হামলা করতে উস্কানি দিচ্ছে তারা। কখনোও গরু চোর সাজিয়ে, কখনো বা লাভ জিহাদের অজুহাতে গণপিটুনি দিয়ে মুসলিমদের হত্যা করছে তারা।

    হিন্দুত্ববাদীরা এভাবেই সরা ভারতের সাধারণ হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে তুলে একযোগে মুসলিমদের উপর ব্যাপক গণহত্যা চালানোর পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

    তথ্যসূত্র:
    ======

    ১। ‘এটা হিন্দু এলাকা, জামা মসজিদ নয়’, মুসলিম বিরিয়ানি বিক্রেতাকে হুমকি হিন্দুত্ববাদীদের


    ২। এটা হিন্দু এলাকা, জামা মসজিদ নয়’, দিওয়ালির রাতে বিরিয়ানি বিক্রেতাকে হুমকি ‘হিন্দুত্ববাদী’দের


    ৩। ভিডিও লিংক
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    দুই যুবকের অর্ধগলিত লাশ ফেরত দিল ভারত : দুজনেরই কপালে গুলি!

    সিলেটের কানাইঘাট ভারত সীমান্তে ৩ দিন ধরে পড়ে থাকা দুই হতভাগা বাংলাদেশীর অর্ধগলিত লাশ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

    হত্যাকাণ্ডের দায় কার, এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে বিজিবি-বিএসএফ। বিজিবির এক কর্মকর্তারা জানায়, পতাকা বৈঠকে হত্যার দায় অস্বীকার করেছে বিএসএফ। এমনকি মরদেহগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মরদেহগুলো ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে।

    ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ জানিয়েছে, নিহতের দু’জনকেই কপালে গুলি করা হয়েছে। যে ধরনের গুলি ব্যবহার করা হয়েছে তা সাধারণত সীমান্তরক্ষী বাহিনী ব্যবহার করে।
    গুলি ঐ দুই মুসলিমের কপাল দিয়ে ঢুকে পেছন দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। একজনের মাথায় একটি ও অপরজনের মাথায় দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

    নিহতের পরিবারের এক সদস্য জানায়, স্থানীয় লালবাজারে যাওয়ার কথা বলে বিকেলে আরিফ ও আসকর বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। ডোনা সীমান্ত এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে তারা শুনেছেন আসকর ও আরিফ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উখিয়াং এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছিলেন। এ সময় তাদের ওপর গুলি করে বিএসএফ। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা গেলে তাদের মরদেহ সীমান্তের ১৩৩১ মেইন পিলারের পাশে ফেলে রেখে যায় বিএসএফ।

    সম্প্রতি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে এমন তিন রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের ক্ষমতা বাড়িয়েছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, পাঞ্জাব, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে।

    বিশেষ ক্ষমতা লাভের পর থেকে অন্তত ডজন খানেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সীমান্তে।

    এসব ঘটনায় ভারতের রাজ্যসরকার প্রতিবাদ জানালেও বাংলাদেশ সরকার ছিল একেবারে নীরব।

    দালাল সরকারের অযোগ্য মন্ত্রীদের নীরবতায় বিএসএফকে আরও বেশি উদ্ধত করে তুলেছে। এজন্যই তারা ঐ দুই মুসলিমকে গ্রেফতারের পর ঠান্ডা মাথায় কপালে গুলিতে হত্যা করে এবং সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এনে ফেলে যায়।

    অথচ এ ঘটনায় সরকারের উর্ধতন কোন কর্মকর্তা ভারতের বিরুদ্ধে টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি। অন্যদিকে তথাকথিত সুশীল সমাজ ও মানবতাবাদীরাও ছিলেন নিরব। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মুসলিমরা এই ঘটনা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই আক্ষেপ করে বলছেন, সরকার ভারতকে টনকে টন ইলিশ উপহার দিচ্ছে, বিপরীতে ভারত আমাদের লাশ উপহার দিচ্ছে।

    উল্লেখ্য, বিএসএফ এখন মাদক কারবারিদের ধাওা করার নাম করে সীমান্ত পেরিয়ে প্রায়ই বাংলাদেশি মুসলিমদের বাড়ি ঘরে হামলা চলাচ্ছে, এমনকি করছে অপহরণও, যার মধ্যে অনেকেরই পরবর্তীতে কোন হদিস পাওয়া যায় না।

    ইংরেজ জামানার আগে মারাঠা বর্গিরা যেমন স্বাধীন মুসলিম নবাবদের সীমান্ত এলাকার মুসলিমদের উপর হামলা লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ চালাত, বিএসএফ সন্ত্রাসীরা সেই ধারাকেই পুনরায় ফিরিয়ে এনেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    তথ্যসূত্র:
    ======
    ১। দুজনকেই কপালে গুলি করে হত্যা
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মার্কিন সেনার হাতে তুলে দেয়া সেই শিশুটি এখনও গায়েব : অসহায় পিতা-মাতার আহাজারি

      গত ১৫ আগস্ট তালিবান প্রতিরোধ যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের পর হাজার হাজার আফগান আমেরিকা ব্রিটেনে পারি জমায়, যাদের অধিকাংশি ছিল আগ্রাসী বিদেশি বাহিনীর হয়ে কাজ করা লোকজন।

      তাদের মধ্যে একজন মির্জা আলি আহমাদি। সে গত ১০বছর দখলদার মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করেছে। তালেবান মুজাহিদিনরা নিজ দেশ পুনরুদ্ধার করার পর সে তার স্ত্রী-সন্তানসহ আমেরিকার চাকচিক্যের লোভে পরে বিমানবন্দরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। কাবুল বিমানবন্দরের ফটকের বাইরে তখন মার্কিন সহযোগীদের প্রচন্ড ভীড়।

      এ সময় সাহায্যের জন্য এক মার্কিন সেনার কাছে আকুতি জানায় সে। মার্কিন সেনা দেয়ালের উপর থেকে আফগান এই পরিবারের দিকে হাত বাড়ায়। এ সময় নিজ সন্তানকে তুলে দেন ওই মার্কিন সেনার হাতে। খুব অল্প সময় পরই বিমানবন্দরে প্রবেশ করে তারা। কিন্তু তাদের সন্তানকে আর ফিরিয়ে দেননি তাদের একান্ত বিশ্বস্ত মার্কিন সেনাবাহিনী।

      তাদের ধারণা ছিল, মাত্র ১৬ ফুট দূরের ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই নিজ সন্তানকে পাচ্ছেন তারা। সেই ভাবনাই কাল হয়ে দাঁড়াল। চোখের আড়াল করার আড়াই মাস পেরিয়ে গেছে, সেই সন্তানকে তারা এখনও ফেরত পাননি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

      মার্কিন সেনা ও সেনাকমান্ডারদের কাছে তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও কোথাও তার সন্তানের হদিস পাননি তারা। শেষমেশ সেই পরিবারকে আমেরিকায় নিয়ে একটি শরনার্থী কেম্পে রাখা হয়েছে। কিন্তু মায়ের চোখের পানি এখনও ঝরছে পুত্রশোকে।

      তালিবানরা যদিও সবার জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছিল, তবুও এই আফগানরা ইউরোপ-আমেরিকার চকচক রঙিন প্রলেপ দেখে সেসব দেশে শরণার্থী হয়ে পারি জমায়। তবে তারা এখন ঐসব দেশে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ফলে তাদের অনেকেই এখন আফগানিস্তানে ফিরে আসার আকুতি জানাচ্ছে।

      অন্যদিকে, আফগানরা যখন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিল হলুদ মিডিয়া তখন আমেরিকাকে ত্রাণকর্তা ও উদ্ধারকারী হিসেবে প্রচার করেছিল।

      বিপরীতে আমেরিকা যখন তাদের সহযোগীতাকারীদের পশ্চিমা দেশে নিয়ে অধিকারহারা নিস্ব অবস্থায় শরনার্থী কেম্পে ফেলে রাখলো, তাদের সন্তানকে চুরি করে গায়ের করলো অথচ মিডিয়া এখন চুপ। শিশুটির মায়ের আহাজারিতে আকাশ-পাতাল প্রকম্পিত হলো, তবু দালাল মিডিয়া নিশ্চুপ!

      এই কাজটাই যদি তালিবান মুজাহিদিনের বিপক্ষে হতো, দালাল মিডিয়ায় এতোদিনে হইচই শুরু হয়ে যেত। চেচামেচি শুরু করতো তথাকথিত সুশীল, মানবতাবাদী ও নারীবাদীরা। বিবৃতি দিতে শুরু করতো কথিত জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো!

      উল্লেখ্য যে, এই শিশুটিকে যখন আমারিকান সেনাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছিল সেই ছবি হলুদ মিডিয়ায় ফালাও করে প্রচার করছিল। মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে বলা হচ্ছিল, “Desperate Afghan Mothers Threw Babies Over Barbed Wire To Foreign Troops To Save Them From taliban”

      “Mother handed her baby over to US forces to save it from the Taliban”

      অর্থাৎ, ‘তালিবানের হাত থেকে বাঁচতে আফগান মা নিজ সন্তানকে আমেরিকান সেনাদের হাতে তুলে দিচ্ছে।’

      মূলত সাহায্যকারীর হাতে নয়, নিজ সন্তানকে তুলে দিয়েছিল মানবতার মুখোশ পরিহিত বর্বর এক বাহিনীর হাতে। যাদের হাতে লেগে আছে লক্ষ-কোটি বনি আদম সন্তানের রক্ত।

      তথ্যসূত্র:
      ——-
      ১। Baby handed to US soldiers in chaos of Afghanistan evacuation still missing


      ২। ‘Committed to ensuring protection’: Afghan baby handed to US soldiers amid airlift chaos still missing, reveals State Dept-


      ৩। Afghan toddler handed over to US Army, still missing | Afghanistan Crisis | Taliban | World News-
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        “শান্তির ছলনায় অরাজকতা : গণতন্ত্র কী কখনো অহিংস হতে পেরেছে?”

        মানবরচিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে যে পরিমাণ সহিংসতা হয়, তা সারা বছরে সংঘটিত মোট সহিংসতাকেও হার মানায়। এ যেন নির্বাচন নয়, রক্তের হুলিখোলা শুরু হয়।

        কিছুদিন ধরে শুরু হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা চলছে বিরতিহীনভাবে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, আহত নিহত, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ইত্যাদির প্রেক্ষাপটে দেশবাসী দ্বিবাস্বপ্ন দেখেছিল, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে হয়ত অপ্রীতিকর ঘটনা তেমন ঘটবে না। কিন্তু তা যে অসম্ভব সেটাই বাস্তবে লক্ষ করা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটছে।

        গত বৃহস্পতিবার নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চলে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক হামলা-সংঘর্ষ-গোলাগুলি হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত এবং এক মেম্বার প্রার্থীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর করাসহ আগুন দেওয়া হয়।

        নির্বাচনী সংঘাতে চারজন নিহতের একদিন না যেতেই আবারো সংঘর্ষ বাধে নরসিংদীর মেঘনা নদীবেষ্টিত দুর্গম চর আলোকবালীতে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উত্তরপাড়ায় এ সংঘর্ষ বাধে দুই ইউপি মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে।


        এদিকে চারজনের মৃত্যুর একদিন পেরিয়ে গেলেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিশ।

        ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আলোকবালী ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুন হাসান বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে আমরা আগেই টের পেয়েছিলাম। তাই পুলিশকে জানিয়েছি। তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের জন্য আজকে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সক্রিয় থাকলে এই চারটি লোক মারা যেত না।

        টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত প্রত্যক্ষদর্শী মমিন আলী বলেন, সকালে হঠাৎ গুলির শব্দ। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি কাইয়ুম ও রিপনের নেতৃত্বে শত শত লোক অস্ত্র নিয়ে মানুষের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আনেক বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।

        চরাঞ্চলে বিপুল অস্ত্রের মজুত থাকলেও কোনো অস্ত্র উদ্ধারের তথ্যও মিলেনি। এমনকি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার হয়নি। এদিকে গ্রামে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

        স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবারের ঘটনার জের ধরেই শুক্রবার সংঘর্ষ বাধে। আলোকবালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থক ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার প্রার্থী মামুনের লোকজন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ আসাদের সমর্থক ইউপি মেম্বার প্রার্থী জব্বর মিয়ার লোকজনের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন আহত হন।

        কয়েকদিন আগেও নরসিংদীরই রায়পুরায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছিল। নরসিংদী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনি অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক স্থানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

        ওদিকে মেহেরপুরে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই জেলার একটি ইউনিয়নে একজনকে অস্ত্র হাতে নির্বাচনি সভা করতে দেখা গেছে।

        চলমান সহিংসতাগুলোতে কিন্তু কোন বিরোধী দলের উপস্থিতি নেই। আওয়ামীলীগের নেতারাই তাদের নিজের ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার করতে একজন আরেকজনের উপর ঝাঁপিড়ে পড়ছে। একদল আরেকদলের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। আর এটাই মানবরচিত গণতন্ত্রের মাকাল। যার বাহ্যিক কিছু স্লোগান সুন্দর মনে হলেও ভিতরটা কুৎসিত, নোংরা।

        তথ্যসূত্র:
        =======
        ১। ইউপি নির্বাচনে অব্যাহত সহিংসতা: সব অংশীজনকে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে

        ২। ৪ জন নিহতের একদিন পর আবারো সংঘর্ষ

        ৩। আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আপনার মেহনত কে কবুল করুক। আমিন

          Comment


          • #6
            টিভিতে লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছিলো। ফেইজবুকেও লাইভ দেখানো হচ্ছিলো, আমার স্পষ্ট মনে আছে, মনে হয় আমি এখনো দেখতে পাচ্ছি ছোট্র ছেলেটিকে তার মা ইউএস কুকুরের হাতে তুলে দিতে। ইউটিউবে ঘাটাঘাটি করলে হয়ত সেই ভিডিওটি পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের যমুনা টিভিতে আমি কয়েকবার দেখেছি খবরটি দেখাচ্ছে আর বাচ্চাকে ইউএস কুকুরের হাতে হেন্ড ওভার করে দিচ্ছে। আফগানরা ক্ষণস্থায়ী সুখের আশায় দলে দলে ইউরোপ আমেরিকা যাওয়ার প্রতিযোগিতা করেছে! অথচ তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিলো। আমরা ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য ব্যাকুল হয়ে আছি আর তারা ইসলামী রাষ্ট্র থেকে পালায়! আইএস সমস্যা বাদ দিলে আজকের আফগান আমাদের থেকে বহুগুণ ভালো আছে। আল্লাহ আপনি,, ইসলামী ইমারতকে কবুল করুন আমীন।
            اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

            Comment

            Working...
            X