Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ০৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৩ হিজরি | ১১ই নভেম্বর , ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ০৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৩ হিজরি | ১১ই নভেম্বর , ২০২১ ঈসায়ী |

    “গণহত্যার প্রস্তুতি : সিসি ক্যামেরা ভেঙে মুসলিমদের উপর হামলা, ‘জয় শ্রী রাম’স্লোগান দিয়ে মুসলিম যুবকেকে নির্যাতন।”


    দিল্লির একটি বস্তিতে গত ২ নভেম্বর রাতে মুসলিম বাসিন্দাদের উপর হামলা চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ।
    বস্তিবাসীরা জানিয়েছে, পুলিশ তাদের বাড়িতে পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের মারধর করে, বাংলাদেশী বলে গালাগাল করে। অবশেষে পুলিশি তাণ্ডবের প্রমাণ নষ্ট করতে এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। অন্যান্য ভিডিও প্রমাণ নষ্ট করে দিয়েছে।

    পুলিশ স্বীকার করেছে যে তারা সেই রাতে বস্তি থেকে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু বরাবরের মতই তারা অন্যায়, সহিংসতা ও নির্যাতনের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    বস্তির বাসিন্দা সাবিনা খাতুন বলেছেন, পুলিশ বলেছে, এই দেশ ছেড়ে চলে যাও, তোমরা সবাই বাংলাদেশী, তোমাদের ওখানেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

    বস্তির আরেক বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী সামিরুল খান বলেছে, পুলিশ সে রাতে আমাকে আটক করে বলেছে, “তোমরা বাংলাদেশিরা, এখান থেকে চলে যাও। তোমরা এখানে পরগাছা”
    হিংস্র পুলিশ গর্ভবতীসহ বেশ কয়েকজন মহিলাকেও লাঞ্ছিত করেছে।

    লাঞ্ছিত হওয়া সেই গর্ভবতী মহিলা সাবিনা খাতুন বলেছেন “আমি তাদের অনুরোধ করছিলাম, “আমি গর্ভবতী, আমাকে মারবেন না।” কিন্তু তারপরও তারা আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। তিনি আরও বলেন, “পুলিশরা মাতাল ছিল। তারা আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমার পেটে ও অন্যত্র মারধর করে। হামলায় আমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

    সাবিনা নামে আরেক নারী বলেন, “আমি যখন তাদের আমাদের গালাগালি না করতে বলেছিলাম, তখন তারা আমার পিঠে মারধর করে। এটা এখন ফুলে গেছে। আমি ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যাই। তারপর তারা ক্যামেরা ভেঙ্গে তাদের হামলার প্রমাণ নষ্ট করে দেয়।”
    “আমরা কি অপরাধ করেছি যে দিল্লি পুলিশ আমাদের মহিলাদের এত নৃশংসভাবে মারধর করেছে? পুলিশের কর্মকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত – কে পুলিশকে আমাদের এভাবে মারধর করার ক্ষমতা দিয়েছে?”

    বস্তির বাসিন্দা মিমি বিবি বলেন,পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয়রাও আমাদের আক্রমণ করেছে।
    বাশারুলের স্ত্রী মিমি বিবি বলেন, ‘ওরা আমার স্বামীকে জুয়ায় জড়িত বলে অভিযোগ করে। পুলিশ যখন আমার স্বামীকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি আমাদের একটি ভিডিও রেকর্ড করতে বলেছিলেন। তারপর পুলিশ ফোনটি ভেঙে দেয়।”

    বাশারুলের চাচাতো ভাই এবং বস্তির বাসিন্দা রাজেশ খান তার দৃশ্যমান ক্ষতিগ্রস্থ ফোনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “যখন তারা মহিলাদের মারধর করছিল, আমি তাদের নির্যাতনের ভিডিও করছিলাম। তারপর তারা আমার মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে।

    মিমি বিবি তার বাসভবনের উপরে রাখা সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “পুলিশরা এখানে এই সিসিটিভি ক্যামেরাটি ভেঙে দিয়েছে। তারা অন্যায়ভাবে হামলা করছিল, তাই তারা কোনো প্রমাণ রেখে যেতে চায়নি। তারা ডি.বি.আর(ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার) নিয়ে গেছে। এটি আমাদের বাড়িতে লাগানো ছিল। যদি পুলিশের দোষ না থাকত, তাহলে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙল কেন?”

    সামিরুল খান বলেন, “ওরা আমাদের দরজায় লাথি মারছিল। আমার বাবা বাড়িতে খাচ্ছিল, যখন ওরা ঢুকে ওকে তুলে নিয়ে গেল। ওরা আমার সামনেই ওকে মারধোর করে। ওরা আমাদের বাড়ি থেকে শুরু করে সারা রাস্তা মারছিল।


    ২রা নভেম্বর মধ্যবর্তী রাতের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ স্থানীয় কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

    মুসলিম নির্যাতনের আরেক ঘটনা ঘটে মধ্যপ্রদেশে। হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস হিসাবে একটি দীপাবলির মিম দেওয়ার তুচ্ছ অভিযোগ এনে মুসলিম যুবকের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে একদল উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসী।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা যায়, একদল উগ্র হিন্দু ‘জয় শ্রী রাম’স্লোগান দিতে দিতে মুসলিম যুবকের বাড়িতে যায়। সেখানে আত্মীয়স্বজনের সামনেই যুবকের উপর এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে।

    তথ্যসূত্র:
    ======
    ১। বস্তিতে হামলার ভিডিও লিঙ্ক


    ২।’Police Assaulted Us, Broke CCTV Cams’: Residents of North West Delhi Slum

    ৩। মুসলিম যুবককে মারধর

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    জায়নিস্ট আগ্রাসন : ফিলিস্তিনি বন্দীদের পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ, আবারও আল-আকসায় ইহুদি অনুপ্রবেশ

    কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বেদম প্রহার ও অমানবিক নির্যাতন করে দখলদার ইসরাইল। উক্ত খবরটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা ২০১৯ সালে প্রকশ করেছিল।

    এ ঘটনার পর কয়েকটি ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা ইসরাইলি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। ইসরাইল সরাসরি এমন নির্যাতনের খবর নাকচ করে দিয়ে বলেছিল আল-জাজিরায় প্রচারিত খবরটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা এ অযুহাতে ইসরাইল এ অভিযোগটি বাতিল করে দেয়।

    ফলে সম্প্রতি আল-জাজিরার অনুসন্ধানমূলক টিম ‘দ্য হিডেন ইজ মোর ইমেনস’ এ ঘটনার সাথে জড়িত ইসরাইলের কারাগার ও নির্যাতনকারীদের ছবি প্রকাশ করেছে। অনুসন্ধানে কারাগারটির নাম, স্থান ও নির্যাতনকারী পুলিশদের পরিচয় প্রকাশ কর হয়।

    রিপোর্টে বলা হয়, কারাগারটি দখলদার ইসরাইলের মরু অঞ্চলে অবস্থিত। এটির নাম নেগেভ কারাগার। এছাড়াও এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে আল-জাজিরা।

    ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দীদের শিকল দিয়ে বেদম মারধর করা হচ্চে। বন্দীদের পিটিয়ে পশুর মতো একটি স্থানে জড়ো করা হচ্ছে। এরপর তাদের দিকে কুকুর লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইসরাইলি পুলিশের এ বর্বর নির্যাতনে বেশ কয়েকজন বন্দী গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের দাঁত পড়ে যায়। এছাড়াও কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে জ্ঞান ফেরার পর চিকিৎসা না দিয়ে সাথে সাথেই পূনরায় তাদের কারাগারে নেয়া হয়।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে আল-জাজিরা জানায়, ঘটনার সময় উক্ত কক্ষটির মেঝে রক্তে ভেসে গিয়েছিল।

    উল্লেখ যে, দখলদার ইসরাইলের পাশবিক নির্যাতনের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ছিল নিরব। আর এ নিরবতাকে দখলদার রাষ্ট্রের প্রতি মৌন সম্মতি হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ঘটনা এটিই প্রতীয়মান হয় যে ফিলিস্তিনি-ইসরাইল সংঘাত ও ইসরাইলের বর্বর নির্যাতনের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনোই এগিয়ে আসবে না।

    এদিকে আবারও কয়েক ডজন উগ্র ইহুদি পুলিশি পাহারায় আল-আকসা মসজিদে অনুপ্রবেশ করেছে।

    গতো মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় তারা মসজিদে অনুপ্রবেশ করে। এ-সময় ইহুদিরা মুসলিমদের বিভিন্নভাবে উস্কানি দেয়।

    সম্প্রতি আল-আকসায় ইহুদিদের অনুপ্রবেশ অনেক বেড়েগেছে। গতো অক্টোবর মাসেই অন্তত ৩০০০ হাজার ইহুদি আল-আকসা মসজিদে অনুপ্রবেশ করেছিল।

    বারবার উগ্র ইহুদিদের আল-আকসায় অনুপ্রবেশকে আল-আকসা মসজিদ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা পশ্চিম তীরে ইহুদিদের অবৈধ বসতি নির্মাণের ঘোষণা দেয়ার বহুবছর আগ থেকেই দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করতে শুরু করেছিল। যেমনটি তারা ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বহুবছর আগ থেকে পরিকল্পনা করে সফল হয়েছিল।

    এ অবস্থায় ইসলামের প্রথম কেবলা আল-আকসা ও ফিলিস্তিনকে উদ্ধারে মুসলিম জাতিকে সুপরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    তথ্যসূত্র :
    =======

    ১। Breaking| Al Jazeera investigation reveals identities of Israeli jailers involved in inhumane torture –


    ২। Video link-


    ৩। Israeli settlers break into Al-Aqsa Mosque in Jerusalem, provoke Palestinians-
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      “হামলাকারী ছেড়ে নির্যাতিতদের বিরুদ্ধে মামলা : হামলার পোস্ট দেওয়ায় কঠোর অবস্থানে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ”

      পুলিশের নীরব ভূমিকার কারণে ত্রিপুরার মুসলিমদের উপর উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংঘগঠনগুলোর হামলা-নির্যাতনের ঘটনাগুলো আরো বেগবান হয়েছিল। মুসলিমদের মসজিদ, বাড়িঘর ও দোকানপার্টে হামলা হামলা বন্ধের কোন চেষ্টাই করেনি।

      যারা হামলা করেছে তাদেরও কোন বিচার হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ।

      পক্ষান্তরে যে সমস্ত মুসলিমরা টুইটারে হামলার ভিডিও ফুটেজ ও বর্ণনা দিয়ে পোস্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধেই এখন ফৌজদারি মামলা দায়ের করছে পুলিশ।

      ৬ই নভেম্বর, ত্রিপুরা পুলিশের পশ্চিম আগরতলা থানা ১০২ টি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। রাজ্যের পুলিশ দাবি করেছে যে এই হ্যান্ডেলগুলি ঘটনার বিষয়ে “বিকৃত এবং আপত্তিকর” পোস্ট করেছে। সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট এবং অন্যদের এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি রাজ্যে “সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা” সৃষ্টি করতে পারে এই অযুহাতে ৩ নভেম্বর টুইটারে পুলিশের চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতের কঠোর আইনের অধীনে বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সন্ত্রাস বিরোধী আইন, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA), 1967, এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC), 1860 এর ধারায়।

      টার্গেট করা হ্যান্ডেলগুলির নিবন্ধন বিবরণ: “নিবন্ধনের তারিখ থেকে” ব্রাউজিং হিস্টরি, এই হ্যান্ডেলগুলিতে লগ ইন করতে ব্যবহৃত আইপি ঠিকানাগুলির তালিকা, লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর এবং লিঙ্ক করা অ্যাকাউন্ট সবকিছু মিলিয়ে তাদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।

      অথচ, হিন্দুরা সমাবেশ থেকে মসজিদগুলোতে হামলা চালায়। মুসলিমদের বাড়িঘরে, দোকানে আগুন দেয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে অবমাননাকর স্লোগান দেয়, যেমন ‘মুহাম্মদ কে বাপ কা নাম, জয় শ্রী রাম’ (মুহাম্মদের পিতার নাম, জয় শ্রী রাম)। নাউযুবিল্লাহ।

      স্থানীয় মুসলিমরা জানিয়েছেন, “পুলিশ যদি জনতাকে থামানোর চেষ্টা করত, তাহলে আমাদের দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হতো না।
      রোয়াতে স্থানীয়রা এবং দোকানের মালিকরা বলেছেন যে দোকানের সারিগুলো শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের নয়। অথচ, শুধুমাত্র মুসলিম মালিকানাধীন স্থাপনাগুলিকে বেছে হামলা করা হয়।

      স্থানীয় মুসলিম দোকানদার সানোহর আলী বলেন, “আমাদের গ্রামের হিন্দুরাও সমাবেশে অংশ নিয়েছে। “তা নাহলে জনতা কিভাবে জানবে কোন দোকানগুলো মুসলিমদের?” আমরা কখনো হিন্দু মুসলিমদের আলাদা মনে করতাম না তাদের সাথে বসে গল্প গুজব করতাম, চা নাস্তা খেতাম।

      এতো শত চাক্ষুষ প্রমাণ থাকার পরেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষে না নিয়ে পুলিশ এখন নির্যাতিত মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদেরকেই গ্রেফতার করছে।

      তথ্যসূত্র:
      ======
      ১। After Tripura Muslims Faced Mob Attacks, Muslim Twitter Handles Nationwide Face Police Action

      ২। ত্রিপুরায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন দিয়েছে –

      ৩। ত্রিপুরায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন দিয়েছে –

      ৪। ত্রিপুরায় মুসলিমদের ওপর হামলা –

      ৫. ত্রিপুরায় আবারও মুসলিমদের বাড়িঘর-দোকানপাট-মসজিদে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর –
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গণহত্যার প্রস্তুতি : পুলিশ হেফাজতে মুসলিম যুবককে নির্যাতনের পর ফাঁসিতে হত্যা।

        উত্তরপ্রদেশে পুলিশি হেফাজতে ২১ বছর বয়সী এক মুসলিম যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কাশগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম আলতাফ, পেশায় শ্রমিক।
        হিন্দু ধর্মালম্বী এক কিশােরীকে অপহরণের মিথ্যে অভিযােগ তুলে গত মঙ্গলবার ঐ যুবককে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তারপরই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় যুবকের। সন্ধ্যায় থানার শৌচাগারের সামনে থেকে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

        মৃতের পরিবার অভিযোগ, তাকে লকআপে পুলিশ নির্যাতন করেছে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।

        কাসগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বোত্রে রোহন প্রমোদ স্বীকার করেছে যে, আলতাফকে মঙ্গলবার সকালে একটি মেয়ের সাথে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছিল।

        আলতাফের পরিবার তার মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ী করে। যেখানে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছিল হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ করে তারা।

        পুলিশ হেফাজতে ছেলে আলতাফকে হত্যার অভিযোগ তুলে পিতা চান্দ মিয়া বলেন, “কাসগঞ্জ পুলিশ ৮ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে আমার বাড়িতে আসে। আমার ছেলেকে মেয়ের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশের অভিযোগ শুনে আমি নিজেই আমার ছেলে আলতাফকে পুলিশে সোপর্দ করি। পুলিশ ঘণ্টাখানেক পর তাকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও কয়েক ঘণ্টা পরও সে ফেরেনি। পরে শুধু তার মৃত্যুর খবর আমাদের কাছে পৌঁছেছে।”

        চান্দ মিয়া বলেন, “আজ সকালে যখন আমি পুলিশ ফাঁড়িতে তার খোঁজ খবর নিতে যাই, তখন তারা আমাকে অপমান করে বের করে দেয়,”

        চান্দ মিয়া আরো বলেন, “আমার ছেলে শারীরিকভাবে ফিট ছিল। পুলিশ তাকে অত্যাচার না করলে সে কিভাবে মারা যায়?

        “আমরা বারবার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা করেছি কিভাবে আলতাফ মারা গেছে এবং শৌচাগার কোথায় ছিল কিন্তু কিছুই বলা হয়নি। তারা থানায় ফিট করা সিসিটিভি ফুটেজ দিতেও অস্বীকৃতি জানায় বলে,” তিনি দাবি করেন।

        তবে আলতাফের বাবা চান্দ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আমার সন্তানকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। তবে তারা তাকে ফাঁসিতে লটকিয়ে হত্যা করেছে। শুধুমাত্র মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সন্দেহে তারা তাকে হত্যা করে। তাকে তুলে নেওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়নি। তাকে ক্রমাগত পুলিশ লক আপে রাখা হয় এবং পরে তাকে হত্যা করা হয়।”

        কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত এসএইচও রমেশ প্রসাদ বলেছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ফাঁসিতে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

        তথ্যসূত্র:
        ======

        ১। Altaf’s ‘Custodial Murder’ in Uttar Pradesh & Absence of CCTV in Police Stations


        ২। https://tinyurl.com/evtt98cp

        ৩। Altaf’s father, Chand Miyan spoke to reporters..video
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          উইঘুর গণহত্যা স্বীকার করলেও অ্যামেরিকা আশ্রয় দেয় নি কাউকে, চীনা অর্থে তুরস্কও চুপ!

          আমেরিকা বহুবার উইঘুরদের উপর চলমান নির্যাতনের ব্যপারে চীনকে নিন্দা জানিয়েছে, আফগান নারীদের মতো তাদের জন্যেও মায়াকান্না কেঁদেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন উইঘুর শরণার্থীকে তাদের দেশে স্বীকৃতি দেয় নি তারা। যদিও কিছুদিন থেকে আমেরিকা প্রশাসন উইঘুরদের জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করছে, তবুও সেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উইঘুর শরণার্থীদের কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। বেশ কিছু উইঘুর চীন থেকে আশ্রয়ের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও আদতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে এখনও উদ্বাস্তুর মতো জীবন যাপন করছে।

          এদিকে চীন উইঘুরদের ফেরত দিতে অন্যান্য দেশকে চাপ প্রয়োগ করছে। ইতোমধ্যে ২০১৫ সালে থাইল্যান্ড ১০০ জন উইঘুরকে ও ২০১৭ সালে মিশর ২০ জন উইঘুর শিক্ষার্থীকে চীনের কাছে ফেরত দেয়।

          এদিকে তুরস্ক প্রায় হাজার খানেক উইঘুরের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। উইঘুরদের দাবি যে, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে কারণ তাদের নাগরিক পাসপোর্টের মেয়াদ হয় শেষ আর না হলে শেষের দিকে। আর তুরস্ক তাদেরকে নাগরিক অধিকার দিতেও খুব একটা ইচ্ছুক নয়।

          ২০২০ সালের ২৬ডিসেম্বর তুরস্ক এবং চাইনিজ সরকারের মাঝে একটি চুক্তি হয়, যার কারণে তুরস্ক থেকে উইঘুরদের চীনে ফেরত যাবার প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যায়। যার কারণে অনেক উইঘুররা এখন চিন্তিত এবং তারা এখন চাচ্ছে ইউরোপে পাড়ি জমাতে।

          চীনের কমিউনিস্ট সরকার ১৯৪৯ সালে অবৈধভাবে উইঘুরদের জমি দখল করে। প্রায় ৭০ বছরের বেশি সময় থেকে তারা উইঘুরদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। উইঘুরদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। ২০১৭ সালে প্রায় ১০-২০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে তারা অবৈধভাবে কথিত ‘রিএজ্যুকেশন ক্যাম্পে’ আটক রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে। সেখানে তাদেরকে জোর করে চাইনিজ মতাদর্শ গ্রহণ করতে বাধ্য করছে।

          আর এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে কথিত বিশ্ব সম্প্রদায় এবং মুসলিম নামধারি স্যেকুলার গাদ্দার শাসকেরা উইঘুর মুসলিমদের সাথে এমন প্রতারণার খেলাই খেলছে, ঠিক যেমনটা পাকিস্তান খেলে থাকে কাশ্মীরি মুসলিমদের নিয়ে।

          তথ্যসূত্র:
          ========

          ১। U.S. did not accept a single Uyghur refugee in 2020-2021 even though it recognizes Uyghur Genocide


          ২. Turkey rejects citizenship applications of Uyghurs
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            “কর্মসূচিতে অনিয়মিত হওয়ায় দুই ঢাঃবিঃ শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন ছাত্রলীগের”

            ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনিয়মিত হয়ে পড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর মারধর ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগ।

            ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতিত হওয়া শিক্ষার্থীরা হচ্ছে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের নৃবিজ্ঞান বিভাগের আরিফুল ইসলাম ও থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের তরিকুল ইসলাম।

            নির্যাতিত আরিফুল সাংবাদিকদের জানায়, “পড়ালেখা ও পরীক্ষার কারণে আমি এবং তরিকুল বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মসূচি ও গেস্ট রুমে অনিয়মিত হয়ে যাই। এ কারণে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তারা আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টাও করে কিন্তু আমাদের রুমটা প্রশাসনের মাধ্যমে বরাদ্দ হওয়ায় সেটি করতে তারা ব্যর্থ হয়।”

            আরিফুল আরো বলে,”গত ৭ নভেম্বর, রবিবার রাতে আমি এবং আমার বন্ধু তরিকুল রুমে ঘুমাচ্ছিলাম। রাত আড়াইটার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী সিফাত উল্লাহ এবং মাহমুদ অর্পণ আমাদের রুমে আসে। তারা আমাদের ৩৫১ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আরও চারজন উপস্থিত ছিলো।

            তারা শুরুতে আমাদের বকাবকি করে। বকাবকির একপর্যায়ে উত্তেজিত সিফাত ও মাহমুদ আমাদের দিকে রড, স্টাম্প নিয়ে তেড়ে আসে। সেখানে উপস্থিত থাকা অন্যান্য ছাত্রলীগ কর্মীরা এসময় আমাদের দুইজনকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। তারপর তারা রড ও স্ট্যাম্প ফেলে দিয়ে আমাদের কিল-ঘুষি মারতে থাকে।

            একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মী সিফাত ও মাহমুদ আমাকে দেয়ালের সঙ্গে গলা চেপে ধরে। আমি অ্যাজমা রোগী হওয়ায়, আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ইনহেলার নিতে হবে জানালেও তারা আমাকে ছাড়েনি। আমি অসুস্থ হয়ে রুমেই শুয়ে পড়ি। এ সময় তারা আমাদের বাবা-মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।

            রাত চারটার দিকে আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়। যাওয়ার সময় তারা আমাদের ৮ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। হল ত্যাগ না করলে আমাদের হত্যা করে হলের পানির ট্যাংকের পেছনে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় ছাত্রলীগ। ভয়ে আমরা রাতেই হল থেকে বের হয়ে যাই।”

            রাতভর নির্যাতনের শিকার আরিফ জানায়, আমাদের যখন রুম থেকে ডেকে নেওয়া হয়, তখন আমি হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী ইমরান সাগর ভাইকে ফোন দেই। সে বলে, ‘যাও, দেখো তারা কী বলে।’ নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ কর্মীরাও জানায়, তারা ইমরান ভাইকে জানিয়েই আমাদের রুমে এসেছে। সুতরাং, আমাদের মারধরের ব্যাপারে ইমরান সাগর ভাইয়ের নির্দেশ ছিল।

            জানা যায়, নির্যাতনকারী দুই ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে সিফাত উল্লাহ সিফাত উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের এবং মাহমুদুর রহমান অর্পণ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ইংলিশ ফর স্পিকার্স অব আদার ল্যাঙ্গুয়েজেস বিভাগের ছাত্র।

            উল্লেখ্য, এর আগেও সাধারণ ছাত্রদের উপর নির্যাতন করার কারণে ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল এ দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে।

            নির্যাতনকারী এই দুই দুষ্কৃতকারী হল ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং ক্যাম্পাসে হল ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ইমরান সাগরের ছোট ভাই হিসেবে পরিচিত।

            নির্যাতিত আরিফুল জানায়,”নির্যাতনের সময় ৩৫১ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের উক্ত দুই কর্মীর সঙ্গে আরো চার লীগ কর্মী উপস্থিত ছিলো। তারা হলো, চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাকিল, রেজওয়ান, তাসকিন ও মারুফ। এদের মধ্যে শাকিল উর্দু বিভাগের আর রেজওয়ান ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের।”

            তথ্যসূত্র:
            =======
            ১। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X