ভূস্বর্গখ্যাত কাশ্মীর আবার অশান্ত হয়ে উঠেছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের কুপওয়াড়া জেলার হান্দোয়ারায় গত মঙ্গলবার এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে। এর পরেই দ্রুত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় জনতার দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটেছে পাঁচজনের। আহত প্রায় অর্ধশত।
রাজনৈতিক ইতিহাসবিদ সিদ্দিক ওয়াহিদ মনে করেন, সাম্প্রতিক বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলাগুলো হতাশাগ্রস্ত তরুণ কাশ্মীরিদের মনে ‘আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে’। এমনিতেই এসব তরুণের বেশির ভাগই সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে খুবই ক্ষুব্ধ। এর ওপর প্রতিদিনই অধিকার হরণ ও দমনপীড়নের অভিযোগ উঠছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে।’
রাজ্যের কাকাপোরা এলাকায় রাজপথে নামা এক ছাত্রও ওয়াহিদের কথারই প্রতিধ্বনি করেন,
‘কাশ্মীরি জনগণের সঙ্গে প্রজন্মের পর প্রজন্মের সঙ্গে যা করা হয়েছে এবং হচ্ছে, তা আমরা কিভাবে ভুলতে পারি?’
তবে সংঘাতপূর্ণ ও বিতর্কিত হিমালয় উপত্যকাটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর বক্তব্য ভিন্ন। আধাসামরিক সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের মহাপরিচালক (আইজি) নলীন প্রভাত বলেন, স্থানীয় অধিবাসীরা মুজাহিদদের সমর্থন করছে। এতে করে তারা নিজেদের বিপদে ঠেলে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করছে না। তাঁর মতে, এই প্রবণতা যথেষ্ট ভয়ের।
মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের একটি পক্ষ অনেক দিন ধরেই ভারত শাসনের বিরোধিতা করে আসছে। মুজাহিদদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সাম্প্রতিক বন্দুকযুদ্ধের সময় মূলত ক্ষুব্ধ তরুণরা ঘটনাস্থলে চলে আসছে। তাদের কারণে মুজাহিদদের একাধিকবার নিরাপদে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি আইজি প্রভাতের, মুজাহিদবিরোধী অভিযানের সময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে মোকাবিলা করা খুবই কঠিন কাজ। তারা আমাদের লক্ষ্য থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করা যাচ্ছে না।’
স্বাধীনতার দাবিতে অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে এক হয়ে যাওয়ার দাবিতে কাশ্মীরে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। তখন থেকেই ভারতীয় বাহিনী ওই আন্দোলন দমনে মাঠে নেমেছে। এ পর্যন্ত সংঘাতে বহু মানুষ মারা গেছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যায় বিপুল সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের কারণে সহিংসতা অনেক কমেছে। তবে তা সত্ত্বেও ২০০৮ ও ২০১০ সালে ভারতীয় শাসনবিরোধী গণআন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছিল।
সূত্র :
afp.com
kalerkantho.com
রাজনৈতিক ইতিহাসবিদ সিদ্দিক ওয়াহিদ মনে করেন, সাম্প্রতিক বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলাগুলো হতাশাগ্রস্ত তরুণ কাশ্মীরিদের মনে ‘আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে’। এমনিতেই এসব তরুণের বেশির ভাগই সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে খুবই ক্ষুব্ধ। এর ওপর প্রতিদিনই অধিকার হরণ ও দমনপীড়নের অভিযোগ উঠছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে।’
রাজ্যের কাকাপোরা এলাকায় রাজপথে নামা এক ছাত্রও ওয়াহিদের কথারই প্রতিধ্বনি করেন,
‘কাশ্মীরি জনগণের সঙ্গে প্রজন্মের পর প্রজন্মের সঙ্গে যা করা হয়েছে এবং হচ্ছে, তা আমরা কিভাবে ভুলতে পারি?’
তবে সংঘাতপূর্ণ ও বিতর্কিত হিমালয় উপত্যকাটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর বক্তব্য ভিন্ন। আধাসামরিক সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের মহাপরিচালক (আইজি) নলীন প্রভাত বলেন, স্থানীয় অধিবাসীরা মুজাহিদদের সমর্থন করছে। এতে করে তারা নিজেদের বিপদে ঠেলে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করছে না। তাঁর মতে, এই প্রবণতা যথেষ্ট ভয়ের।
মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের একটি পক্ষ অনেক দিন ধরেই ভারত শাসনের বিরোধিতা করে আসছে। মুজাহিদদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সাম্প্রতিক বন্দুকযুদ্ধের সময় মূলত ক্ষুব্ধ তরুণরা ঘটনাস্থলে চলে আসছে। তাদের কারণে মুজাহিদদের একাধিকবার নিরাপদে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি আইজি প্রভাতের, মুজাহিদবিরোধী অভিযানের সময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে মোকাবিলা করা খুবই কঠিন কাজ। তারা আমাদের লক্ষ্য থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করা যাচ্ছে না।’
স্বাধীনতার দাবিতে অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে এক হয়ে যাওয়ার দাবিতে কাশ্মীরে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। তখন থেকেই ভারতীয় বাহিনী ওই আন্দোলন দমনে মাঠে নেমেছে। এ পর্যন্ত সংঘাতে বহু মানুষ মারা গেছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যায় বিপুল সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের কারণে সহিংসতা অনেক কমেছে। তবে তা সত্ত্বেও ২০০৮ ও ২০১০ সালে ভারতীয় শাসনবিরোধী গণআন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছিল।
সূত্র :
afp.com
kalerkantho.com
Comment