Announcement

Collapse
No announcement yet.

ছোপ ছোপ রক্ত আমাকে ঘুমাতে দেয় না--- ড্রোন অপারেটর ব্রান্ডন ব্রাইন্ট

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ছোপ ছোপ রক্ত আমাকে ঘুমাতে দেয় না--- ড্রোন অপারেটর ব্রান্ডন ব্রাইন্ট

    কম্পিউটার স্ক্রিনে চোখ রাখলে রক্তের প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণিকা ছবির পিক্সেল হয়ে ধরা দিত; মুহূর্তেই আমি চোখ বুঝতাম; আমি দেখতে চাইতাম না কারণ সইতে আমার খুব কষ্ট হতো। প্রতিদিনই অসুস্থ হয়ে পড়তাম। মন আর চোখের সংযোগ ঘটাতে পারতাম না। একদিন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে নিষ্পাপ এক শিশু মারা গেল। আমার ঊর্ধ্বতনকে সে কথা বললে তিনি বললেন তুমি ভুল দেখেছো- ওটা কুকুর ছিল!

    আলফ্রেড নোবেল যখন ডিনামাইট আবিস্কার করেন তখন তিনি কল্পনাও করেননি যে তার আবিস্কৃত বস্তুটির প্রধান কাজ হবে ধ্বংস ও যুদ্ধ। চালকবিহীন (ড্রোন) নিয়েও আমরা আলফ্রেড নোবেলের ডিনামাইট আবিস্কারের মতই হিতে বিপরীত ব্যবহার। প্রযুক্তির উভয়পীঠ অত্যন্ত ধারালো। এর মাধ্যমে যুগপৎ সৃষ্টি ও ধ্বংস করা যায়। চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) দূর নিয়ন্ত্রিত হয় কম্পিউটার দ্বারা। তবে এক্ষেত্রে অপারেটর যদি ‘রিমোট হাতে নির্ঝঞ্ঝাট যুদ্ধে’র এক পর্যায়ে হতাশা গ্রাস করে। অস্ত্রের ‘ট্রিগার হ্যাপি’ অনেক সময় নিষিদ্ধ আনন্দের পরিবর্তে মনোবেদনার কারণ হতে পারে। ব্রান্ডন ব্রাইন্ট গত পাঁচ বছর যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটি থেকে নিরবচ্ছিন্ন ড্রোন হামলা পরিচালনা করেছেন। বিশ্বের অন্য প্রান্তের যে কাউকে মুহূতেই শেষ করে দিতে দিতে ব্রাইন্ট আজ ক্লান্ত। হতাশা তাকে গ্রাস করেছে।

    দুঃস্বপ্ন তাকে তাড়া করে ফেরে। মানবতার দৃষ্টিতে অপরাধী ব্রাইন্ট নিজগৃহে ফেরারি। ব্রাইন্টের কথায় ড্রোন আক্রান্ত মানুষের ছোপ ছোপ রক্ত আমাকে ঘুমাতে দেয় না। কত হাজার রক্তের ফোঁটার নিয়ন্তর করে যাওয়াই না আমাকে দেখতে হচ্ছে। তার শরীরের রক্তকণিকা দিয়ে প্রবাহিত লাল রক্তের মতো অন্যের লাল রক্তের প্রতিটি ফোঁটা যেন তাকে শিহরিত করে। তাইতো ব্রাইন্টের স্বগোক্তি কম্পিউটার স্ক্রিনে চোখ রাখলে রক্তের প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণিকা ছবির পিক্সেল হয়ে ধরা দিত; মুহূর্তেই আমি চোখ বুঝতাম; আমি দেখতে চাইতাম না; কারণ সইতে আমার খুব কষ্ট হতো; চোখ খুলতেই আবার বীভৎস আর শিহরণ জাগা দৃশ্য দেখতে হতো।

    এভাবে দিনের পর দিন দেখতে দেখতে মানসিক রোগীতে পরিণত হই। ঘটনার আকস্মিকতায় নিজেকে সামলে নিলেও প্রতিদিনই অসুস্থ হয়ে পড়তাম। মাথায় প্রচণ্ড চাপ তৈরি হতো। মন আর চোখের সংযোগ ঘটাতে পারতাম না। না জানি আক্রান্ত ব্যক্তির কত কষ্টই না হতো। একদিন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে নিষ্পাপ এক শিশু মারা গেল। আমার ঊর্ধ্বতনকে সে কথা বললে তিনি বললেন, তুমি ভুল দেখেছো- ওটা কুকুর ছিল! সেদিন বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম তার কথা শুনে!- এর নামই কি চাকরি! উল্লেখ্য ব্রান্ডন ব্রাইন্ট ২০০৭ সাল থেকে টানা চার বছর যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা ঘাঁটি থেকে ১৬০০ আক্রমণ চালায়। এর আগে, বুধবার মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ এক প্রতিবেদনে ড্রোন হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করে।



    (collected)

  • #2
    আল্লাহ এগুলোকে এভাবেই ধ্বংস করে দিবেন। যখন আক্রমন করত তখন এই অনুভতি গুলো কোথায় ছিল ?
    মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
    রোম- ৪৭

    Comment

    Working...
    X