আফগানিস্তানের হেজব-ই ইসলামের নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সাথে শান্তিচুক্তি সই করেছে দেশটির সরকার। কয়েক মাসব্যাপী দীর্ঘ আলোচনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী কাবুলে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তির আওতায় হেকমতিয়ারের বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বে আনীত অভিযোগ থেকে তাকে নিষ্কৃতি দেয়া হয়েছে এবং তার সংগঠনের নির্দিষ্টসংখ্যক বন্দীকে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে একটি চূড়ান্ত চুক্তি আফগানিস্তানে সহিংসতার অবসান ঘটাতে সাহায্য করবে।
এই চুক্তির ফলে দীর্ঘ দিন অন্তরালে থাকা হেকমতিয়ারের জন্য জনসম্মুখে আসা ও রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা ফিরে এসেছে। আফগান সরকার তাদের এই পদক্ষেপকে শান্তির পথে অগ্রসর বলে অভিহিত করেছে। আফগান সরকারের উচ্চ শান্তি পরিষদের প্রধান আহমদ গিলানি বলেন, ‘আমি মনে করি এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের দেশের স্থায়ী শান্তির সূচনা হলো’। তবে কেউ কেউ সমালোচনাও করছেন এই পদক্ষেপের। কাবুলের কাছে এই চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে কিছু তরুণ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই চুক্তিকে ‘হতাহতদের প্রতি অপমান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আফগানিস্তানের রাজনীতিতে একজন আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার। দীর্ঘ দিন ধরেই আফগানিস্তানে একটি ‘ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার’ জন্য লড়াই করেছেন তিনি। তবে বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা, হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে তার সংগঠনের বিরুদ্ধে। আকারে ও কর্মপরিধিতে তালেবানের চেয়ে ছোট হলেও দেশটির নব্বই দশকের গৃহযুদ্ধে তার দল হেজব-ই ইসলামের ছিল বড় ভূমিকা।
আশির দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ে হেকমতিয়ারকে সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, পাকিস্তানসহ অনেক দেশ। তবে পরে পশ্চিমাদের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বিশেষ করে ২০০১ সালে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের পর থেকে আন্তর্জাতিক মিত্রদের সাথে তার বৈরিতা শুরু হয়। আলকায়দা ও তালেবানের সাথে সম্পর্কের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করে।
চুক্তির আওতায় হেকমতিয়ারের বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বে আনীত অভিযোগ থেকে তাকে নিষ্কৃতি দেয়া হয়েছে এবং তার সংগঠনের নির্দিষ্টসংখ্যক বন্দীকে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে একটি চূড়ান্ত চুক্তি আফগানিস্তানে সহিংসতার অবসান ঘটাতে সাহায্য করবে।
এই চুক্তির ফলে দীর্ঘ দিন অন্তরালে থাকা হেকমতিয়ারের জন্য জনসম্মুখে আসা ও রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা ফিরে এসেছে। আফগান সরকার তাদের এই পদক্ষেপকে শান্তির পথে অগ্রসর বলে অভিহিত করেছে। আফগান সরকারের উচ্চ শান্তি পরিষদের প্রধান আহমদ গিলানি বলেন, ‘আমি মনে করি এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের দেশের স্থায়ী শান্তির সূচনা হলো’। তবে কেউ কেউ সমালোচনাও করছেন এই পদক্ষেপের। কাবুলের কাছে এই চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে কিছু তরুণ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই চুক্তিকে ‘হতাহতদের প্রতি অপমান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আফগানিস্তানের রাজনীতিতে একজন আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার। দীর্ঘ দিন ধরেই আফগানিস্তানে একটি ‘ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার’ জন্য লড়াই করেছেন তিনি। তবে বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা, হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে তার সংগঠনের বিরুদ্ধে। আকারে ও কর্মপরিধিতে তালেবানের চেয়ে ছোট হলেও দেশটির নব্বই দশকের গৃহযুদ্ধে তার দল হেজব-ই ইসলামের ছিল বড় ভূমিকা।
আশির দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ে হেকমতিয়ারকে সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, পাকিস্তানসহ অনেক দেশ। তবে পরে পশ্চিমাদের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বিশেষ করে ২০০১ সালে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের পর থেকে আন্তর্জাতিক মিত্রদের সাথে তার বৈরিতা শুরু হয়। আলকায়দা ও তালেবানের সাথে সম্পর্কের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করে।
Comment