এক কারারক্ষীকে গলা কেটে ও আরেক কারারক্ষীকে হাত-পা বেঁধে কারাগার থেকে পালিয়েছে আট বন্দী। তারা নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (এসআইএমআই) সদস্য। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ভারতের ভোপাল কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
এরই মধ্যে এ ঘটনায় কারা তত্ত্বাবধায়ক ও তিনজন নিরাপত্তারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, সন্ত্রাসীরা প্রথমে একজন রক্ষীর হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ ঘটনা দেখে এগিয়ে এলে প্রধান কনস্টেবল রামা শঙ্করকে ইস্পাতের পাত ও কাচের ভাঙা টুকরো দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর তারা বিছানার চাদরের সাহায্যে সীমান্তদেয়াল টপকায়। তারা এ ঘটনার জন্য দেওয়ালির রাতকে বেছে নেয়। কারণ, ওই রাতে চারপাশের বাজির শব্দে কান পাতা দায়।
পালিয়ে যাওয়া এই আটজনের মধ্যে তিনজন ২০১৩ সালে ভোপাল থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায় একটি কারাগার ভেঙে পালিয়েছিল। তারা কারাগারের শৌচাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়েছিল।
ভোপাল পুলিশের মহাপরিদর্শক যোগেশ চৌধুরী এএফপিকে বলেন, ‘এখন আমাদের প্রধান কাজ হলো তাদের ধরা। তারা কীভাবে পালিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় কারাগারের কারও হাত আছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে।’
এসআইএমআইয়ের বিরুদ্ধে ভয়াবহ বোমা হামলার কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে এদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত সরকার। ২০০৬ সালে মুম্বাইয়ে কমিউটার ট্রেনে ধারাবাহিক বোমা হামলার জন্য পুলিশ এ সংগঠনকে দায়ী করে। ওই ঘটনায় ১৮৭ জন নিহত হয়েছিল। নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে ৯/১১ হামলার পর ২০০১ সালে সরকার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
কয়েক দশক ধরে সংগঠনটির শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র:
এরই মধ্যে এ ঘটনায় কারা তত্ত্বাবধায়ক ও তিনজন নিরাপত্তারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, সন্ত্রাসীরা প্রথমে একজন রক্ষীর হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ ঘটনা দেখে এগিয়ে এলে প্রধান কনস্টেবল রামা শঙ্করকে ইস্পাতের পাত ও কাচের ভাঙা টুকরো দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর তারা বিছানার চাদরের সাহায্যে সীমান্তদেয়াল টপকায়। তারা এ ঘটনার জন্য দেওয়ালির রাতকে বেছে নেয়। কারণ, ওই রাতে চারপাশের বাজির শব্দে কান পাতা দায়।
পালিয়ে যাওয়া এই আটজনের মধ্যে তিনজন ২০১৩ সালে ভোপাল থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায় একটি কারাগার ভেঙে পালিয়েছিল। তারা কারাগারের শৌচাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়েছিল।
ভোপাল পুলিশের মহাপরিদর্শক যোগেশ চৌধুরী এএফপিকে বলেন, ‘এখন আমাদের প্রধান কাজ হলো তাদের ধরা। তারা কীভাবে পালিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় কারাগারের কারও হাত আছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে।’
এসআইএমআইয়ের বিরুদ্ধে ভয়াবহ বোমা হামলার কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে এদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত সরকার। ২০০৬ সালে মুম্বাইয়ে কমিউটার ট্রেনে ধারাবাহিক বোমা হামলার জন্য পুলিশ এ সংগঠনকে দায়ী করে। ওই ঘটনায় ১৮৭ জন নিহত হয়েছিল। নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে ৯/১১ হামলার পর ২০০১ সালে সরকার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
কয়েক দশক ধরে সংগঠনটির শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র:
Comment