Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রথম আলোর রিপোর্টঃ ৮২ ভাগ জঙ্গি (আল্লাহর সৈনিক) সামাজিক মাধ্যম থেকে উদ্বুদ্ধ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রথম আলোর রিপোর্টঃ ৮২ ভাগ জঙ্গি (আল্লাহর সৈনিক) সামাজিক মাধ্যম থেকে উদ্বুদ্ধ

    ২৫০ জঙ্গির ওপর চালানো সমীক্ষার প্রতিবেদন

    ৮২ ভাগ জঙ্গি সামাজিক মাধ্যম থেকে উদ্বুদ্ধ

    দেশে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া তরুণদের ৮২ শতাংশই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও তাঁরা এই মাধ্যম ব্যবহার করছেন।

    গ্রেপ্তার হওয়া ২৫০ জন জঙ্গির ওপর চালানো এক সমীক্ষার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ। এই ২৫০ জনের মধ্যে ৫৬ শতাংশ বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম থেকে আসা। ২২ শতাংশ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা। অন্যরা নানা জায়গা থেকে আসছেন। ১২ থেকে ১৪ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৪ দেশের পুলিশপ্রধানদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।



    পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাস প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা অপরাধ (সাইবার অপরাধ) মোকাবিলার জন্য। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনকে মডেল বলে মনে করছে বাংলাদেশ পুলিশ। দেশ দুটি সাইবার অপরাধ মোকাবিলার ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে।

    পুলিশপ্রধানদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ছড়ানো সন্ত্রাসবাদ কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তার কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ জন্য ১৪টি দেশ একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথাও ভাবছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করছে।

    ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমও বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের উত্থানের অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, ৩০ মার্চ সিঙ্গাপুরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে দেশভিত্তিক আলাদা ডেস্ক ও ধারা অন্তর্ভুক্ত করাসহ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হবে।

    এ বিষয়ে অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করার অর্থ হবে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। তাঁর মতে, কোনো দেশের সরকার যখন দুর্বল ভিত্তির ওপর থাকে তখন এ ধরনের নজরদারি করে, যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে। কিন্তু এর ফল ভালো হয় না। জনগণের করের টাকায় মূল্যবান জিনিসপত্র কিনে মানুষকে শুধু হয়রানিই করা হয়।

    এ বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের মত হচ্ছে, দেশে প্রচলিত যে আইন আছে, সেটা ঠিকমতো বাস্তবায়ন করলে আর কিছুই লাগে না। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেটা করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আড়ি পাতার নামে যা হয়, তা অনেকটাই শিশুসুলভ কাজ।

    পুলিশপ্রধানদের সম্মেলনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে তৈরি করা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গোপনীয়) মো. মনিরুজ্জামান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫০ জন জঙ্গির ধরন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের ৮০ শতাংশ নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে থ্রিমা, উইচ্যাট, মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপস ব্যবহার করেছে। কেউ কেউ পৃথক অ্যাপও তৈরি করে নিয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব জঙ্গি শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভুয়া পরিচয় দিয়ে তৈরি আইডি ব্যবহার করা। এ ছাড়া প্রয়োজন শেষে দ্রুত তথ্য মুছে ফেলার প্রবণতা, দ্রুত প্রযুক্তি পরিবর্তন ও সরকারের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ না থাকা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

    মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইনে জঙ্গিরা সার্বক্ষণিক যে প্রচার করে, তা রোধ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। একক কোনো দেশের পক্ষে এটা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এসব সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে বিভিন্ন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ জরুরি। জঙ্গিদের তৎপরতা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। প্রযুক্তি জ্ঞানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো আগের চেয়ে সমৃদ্ধ হলেও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে অনেক সময় পেরে উঠছে না৷

    গত কয়েক বছরে ব্লগার, লেখক-প্রকাশকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ফেসবুক ও টুইটারে। হত্যার পর দায় স্বীকারের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম৷ গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের হত্যার কথা জঙ্গিরা ওই রাতেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করে৷

    পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকও সম্প্রতি বলেছেন, দেশি জঙ্গি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বিদেশি জঙ্গিদের ‘ভার্চ্যুয়াল জগতে’ যোগাযোগ আছে। তবে দেশে যারা হামলা করছে, তারা দেশেই বেড়ে ওঠা।

    নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক এলাহী চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইন জগতের নিয়ন্ত্রণ নিতে জঙ্গি সন্ত্রাসীরা বিনিয়োগ করছে। এসব ঠেকাতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনেক তৎপর হতে হবে। এর সঙ্গে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত।

    পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এ সমস্যা নিরসনে কী করা যায়, ঢাকায় পুলিশপ্রধানদের সম্মেলনের মাধ্যমে তার বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে। যেমন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পুলিশের সফল আলোচনা হয়েছে। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশকে তদন্ত ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি গোয়েন্দা সরঞ্জাম দেওয়ার কথাও বলেছে। শ্রীলঙ্কা ও চীনের সঙ্গেও একই ধরনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চীনের প্রযুক্তি ব্যাপারে খুবই আশাবাদী পুলিশ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এ বছর পুলিশকে ২০০ কোটি টাকার সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে বলে পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
    Last edited by Green bird; 03-22-2017, 07:26 PM.

  • #2
    আমাদের সকলেরই অনলাইনে জিহাদী কর্মকান্ডকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। আল্লাহ সহজ করুন।
    কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

    Comment


    • #3
      তাদের পরাজয়টা তাদের মুখ থেকে ধীরে ধীরে বের হচ্ছে.. ইন.. মু‘মিন রাই বিজয়ী হবে ইন..
      দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
      জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

      Comment


      • #4
        প্রযুক্তি জ্ঞানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো আগের চেয়ে সমৃদ্ধ হলেও
        আল&#2509 সন্ত্রাসীদের সঙ্গে অনেক সময় পেরে উঠছে না৷

        আল্লাহর কসম তোমরা পারবে ও না।
        وان جند الله هم الغالبون

        আল্লাহর সৈনিকগনই বিজয়ী।

        Comment


        • #5
          অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদেরকে বিজয় দিবেন ইন..আল্লাহ বলেন যে আল্লাহর রাস্তাই যুদ্দ্য করবে ফলে সে হত্যা হক বা মৃত্যু বরন করুক উবাইয়ের ক্ষেত্রে আজরে আজিম

          Comment


          • #6
            অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদেরকে বিজয় দিবেন ইন..আল্লাহ বলেন যে আল্লাহর রাস্তাই যুদ্দ্য করবে ফলে সে হত্যা হক বা মৃত্যু বরন করুক উবাইয়ের ক্ষেত্রে আজরে আজিম

            Comment


            • #7
              মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক, আমরা কথাটার সত্যতা পেয়েছি।
              আলহামদুলিল্লাহ।
              দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার,ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

              Comment


              • #8
                Originally posted by Goraba View Post
                প্রযুক্তি জ্ঞানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো আগের চেয়ে সমৃদ্ধ হলেও
                আল্ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে অনেক সময় পেরে উঠছে না৷

                আল্লাহর কসম তোমরা পারবে ও না।
                وان جند الله هم الغالبون

                আল্লাহর সৈনিকগনই বিজয়ী।
                বিইযনিল্লাহ....

                Comment

                Working...
                X