আতিয়া মহলের বাসিন্দাদের মালামাল বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ, স্বর্ণ-টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে যে বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা ছিল সেই ‘আতিয়া মহলে’র ভাড়াটিয়াদের নিজ নিজ ইউনিটের মালামাল বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে পুলিশ তাদের মালামাল বুঝিয়ে দেয়। তবে ভবনের অধিকাংশই ভাড়াটিয়াই অভিযোগ করেছেন, যেভাবে তারা ঘরের ভেতর তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র ফেলে রেখে গিয়েছিলেন, সেগুলো আর সেখানে তারা পাননি। এমনকি অনেকের আলমিরাও ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। অধিকাংশ আসবাবপত্র ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বলেন, ‘পুলিশের কাছে থাকা তালিকা অনুযায়ী আমরা আতিয়া মহলের ২৮ পরিবারের মধ্যে মালামাল বুঝিয়ে দিয়েছি। তারা মালামাল নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। তবে ভাড়াটিয়াদের অধিকাংশ মালামালই বোমা আর গুলির আঘাতে নষ্ট হয়ে গেছে।’
মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আতিয়া মহলের বাসিন্দাদের
স্বর্ণ ও টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভাড়াটিয়াদের অনেকেই এ অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে।’
আতিয়া মহলের দ্বিতীয় তলার ৬ নম্বর ইউনিটের ভাড়াটিয়া শিরিনী বেগম বলেন, ‘রুমের ভেতরে ৪৫ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ ছিল। খুঁজে পাইনি। এগুলো গেল কোথায়?’ তিনি আরও জানান, ‘আতিয়া মহল থেকে বের হওয়ার পর ঘরে স্বর্ণ ও টাকা আছে বলে বাসার মালিক উস্তার আলীকে জানাই। তিনি কোনও উদ্যোগ নেননি। এবিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।’
একই ভবনের অপর ভাড়াটিয়া ডা. শ্যাম সুন্দর ঘোষ বলেন, ‘অধিকাংশই ফার্নিচার পোড়া। ঘরের ভেতর থেকে টাকা ও স্বর্ণ উধাও। এগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে রক্ষিত থাকার কথা ছিল।’
মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আতিয়া মহলের বাসিন্দাদের
আলমগীর হোসেন নামের আরেক ভাড়াটিয়া জানান, ‘জীবনে যা সঞ্চয় করছিলাম তা শেষ! পুলিশ শুধু পোড়া মালামাল বুঝাইয়া দিছে।’
আতিয়া মহলের আরেক ভাড়াটিয়া রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সব মাল বুঝিয়া পাইছি। কোনও কিছুই খোয়া যায়নি। দক্ষিণ সুরমার আরেকটি নতুন বাসা ভাড়া নিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ মধ্যরাতে আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। ওই রাত থেকে ভবনটি ঘিরে রাখার পর ২৫ মার্চ সকাল থেকে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামের অভিযানে নামে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোরা। প্রথমে আতিয়া মহলের ৩০টি ফ্ল্যাটে আটকে পড়া ২৮টি পরিবারের ৭৮ জন সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। পরে শুরু হয় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। ২৮ মার্চ অভিযান শেষে চার জঙ্গি নিহতের খবর জানায় সেনাবাহিনী। অভিযান চলাকালে ২৫ মার্চ আতিয়া মহলের কাছেই পাঠানপাড়ায় বিস্ফোরণে র*্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত হন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে যে বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা ছিল সেই ‘আতিয়া মহলে’র ভাড়াটিয়াদের নিজ নিজ ইউনিটের মালামাল বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে পুলিশ তাদের মালামাল বুঝিয়ে দেয়। তবে ভবনের অধিকাংশই ভাড়াটিয়াই অভিযোগ করেছেন, যেভাবে তারা ঘরের ভেতর তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র ফেলে রেখে গিয়েছিলেন, সেগুলো আর সেখানে তারা পাননি। এমনকি অনেকের আলমিরাও ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। অধিকাংশ আসবাবপত্র ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বলেন, ‘পুলিশের কাছে থাকা তালিকা অনুযায়ী আমরা আতিয়া মহলের ২৮ পরিবারের মধ্যে মালামাল বুঝিয়ে দিয়েছি। তারা মালামাল নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। তবে ভাড়াটিয়াদের অধিকাংশ মালামালই বোমা আর গুলির আঘাতে নষ্ট হয়ে গেছে।’
মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আতিয়া মহলের বাসিন্দাদের
স্বর্ণ ও টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভাড়াটিয়াদের অনেকেই এ অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে।’
আতিয়া মহলের দ্বিতীয় তলার ৬ নম্বর ইউনিটের ভাড়াটিয়া শিরিনী বেগম বলেন, ‘রুমের ভেতরে ৪৫ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ ছিল। খুঁজে পাইনি। এগুলো গেল কোথায়?’ তিনি আরও জানান, ‘আতিয়া মহল থেকে বের হওয়ার পর ঘরে স্বর্ণ ও টাকা আছে বলে বাসার মালিক উস্তার আলীকে জানাই। তিনি কোনও উদ্যোগ নেননি। এবিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।’
একই ভবনের অপর ভাড়াটিয়া ডা. শ্যাম সুন্দর ঘোষ বলেন, ‘অধিকাংশই ফার্নিচার পোড়া। ঘরের ভেতর থেকে টাকা ও স্বর্ণ উধাও। এগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে রক্ষিত থাকার কথা ছিল।’
মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আতিয়া মহলের বাসিন্দাদের
আলমগীর হোসেন নামের আরেক ভাড়াটিয়া জানান, ‘জীবনে যা সঞ্চয় করছিলাম তা শেষ! পুলিশ শুধু পোড়া মালামাল বুঝাইয়া দিছে।’
আতিয়া মহলের আরেক ভাড়াটিয়া রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সব মাল বুঝিয়া পাইছি। কোনও কিছুই খোয়া যায়নি। দক্ষিণ সুরমার আরেকটি নতুন বাসা ভাড়া নিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ মধ্যরাতে আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। ওই রাত থেকে ভবনটি ঘিরে রাখার পর ২৫ মার্চ সকাল থেকে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামের অভিযানে নামে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোরা। প্রথমে আতিয়া মহলের ৩০টি ফ্ল্যাটে আটকে পড়া ২৮টি পরিবারের ৭৮ জন সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। পরে শুরু হয় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। ২৮ মার্চ অভিযান শেষে চার জঙ্গি নিহতের খবর জানায় সেনাবাহিনী। অভিযান চলাকালে ২৫ মার্চ আতিয়া মহলের কাছেই পাঠানপাড়ায় বিস্ফোরণে র*্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত হন।
Comment