ফাঁসির আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আব্দুল হান্নান তার মায়ের সাথে কথা বলতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। জানান, এসময় তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হান্নানের সঙ্গে কথা বলার পর বেরিয়ে এসে এসব কথা জানান স্বজনরা।
এর আগে বুধবার সকাল ৭টার দিকে মুফতি হান্নানকে দেখতে কারাগারে পৌঁছান তার পরিবারের চার সদস্য। তারা হলেন- মুফতি হান্নানের ভাই আলি উজ্জামান মুন্সী, স্ত্রী জাকিয়া পারভীন রুমা এবং দুই মেয়ে নিশাত ও নাজনীন। এরপর ৭টা ১০ মিনিটে সাক্ষাতের অনুমতি পান। প্রায় ৭টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত মুফতি হান্নানের আসেন।
আলি উজ্জামান কারা ফটকের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মুফতি হান্নান সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। মাকে সালাম জানিয়েছেন, তার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
মুফতি হান্নান বলেছেন, যে কদিন হায়াত আছে ওই কদিনই বেঁচে থাকব। দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে নাজাত দান করেন, হেফাজত করেন এবং ঈমানের সঙ্গে যেন মৃত্যুবরণ করতে পারি। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে এ অবস্থায় দাঁড় করানো হয়েছে।
আলি উজ্জামান বলেন, মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হলে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করতে চান। কারা কর্তৃপক্ষকে তিনি এ দাবির কথা জানিয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছে।
মুফতি হান্নান তার সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে বড় ভাইকে অনুরোধ করেছেন এবং সবার সঙ্গে তাদের মিলেমিশে থাকতে বলেছেন। তার মায়ের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করলে কারা কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল নম্বর রেখে দিয়ে বলেছেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সম্ভব হলে মায়ের সঙ্গে হান্নানকে কথা বলিয়ে দেবেন।
সাক্ষাৎকালে মুফতি হান্নান তার স্ত্রীকে বলেন, যে মামলায় তাকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে এটা মিথ্যা মামলা। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এসময় তিনি তার পরিবারের সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুফতি হান্নানের পরিবারের সদস্যদের তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ভেতের পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কথা বলা শুরু করেছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার সকালে এক বার্তায় মুফতি আব্দুল হান্নানের ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের স্বজনদের ডেকে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার মিজানুর রহমান জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার খবর সোমবার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই বন্দিকে জানানো হয়েছে। অপরদিকে তাদের স্বজনদেরও কারাগারে দেখা করতে মঙ্গলবার সকালে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কেউ কারাগারে দেখা করতে আসেননি।
তিনি আরো জানান, তাদের ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। কারাগারে জল্লাদ ও ফাঁসির মঞ্চ সবকিছুই প্রস্তুত আছে। তবে কবে কখন তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হচ্ছে তা জানা যায়নি।
এর আগে আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগী রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচের কপি সোমবার কারাগারে পৌঁছায়।
সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও বিপুল কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি রয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যাত হলে কারাবিধি অনুসারে প্রথম দু’জনের কাশিমপুরে এবং অন্যজনের সিলেটে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হান্নানের সঙ্গে কথা বলার পর বেরিয়ে এসে এসব কথা জানান স্বজনরা।
এর আগে বুধবার সকাল ৭টার দিকে মুফতি হান্নানকে দেখতে কারাগারে পৌঁছান তার পরিবারের চার সদস্য। তারা হলেন- মুফতি হান্নানের ভাই আলি উজ্জামান মুন্সী, স্ত্রী জাকিয়া পারভীন রুমা এবং দুই মেয়ে নিশাত ও নাজনীন। এরপর ৭টা ১০ মিনিটে সাক্ষাতের অনুমতি পান। প্রায় ৭টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত মুফতি হান্নানের আসেন।
আলি উজ্জামান কারা ফটকের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মুফতি হান্নান সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। মাকে সালাম জানিয়েছেন, তার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
মুফতি হান্নান বলেছেন, যে কদিন হায়াত আছে ওই কদিনই বেঁচে থাকব। দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে নাজাত দান করেন, হেফাজত করেন এবং ঈমানের সঙ্গে যেন মৃত্যুবরণ করতে পারি। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে এ অবস্থায় দাঁড় করানো হয়েছে।
আলি উজ্জামান বলেন, মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হলে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করতে চান। কারা কর্তৃপক্ষকে তিনি এ দাবির কথা জানিয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছে।
মুফতি হান্নান তার সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে বড় ভাইকে অনুরোধ করেছেন এবং সবার সঙ্গে তাদের মিলেমিশে থাকতে বলেছেন। তার মায়ের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করলে কারা কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল নম্বর রেখে দিয়ে বলেছেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সম্ভব হলে মায়ের সঙ্গে হান্নানকে কথা বলিয়ে দেবেন।
সাক্ষাৎকালে মুফতি হান্নান তার স্ত্রীকে বলেন, যে মামলায় তাকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে এটা মিথ্যা মামলা। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এসময় তিনি তার পরিবারের সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুফতি হান্নানের পরিবারের সদস্যদের তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ভেতের পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কথা বলা শুরু করেছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার সকালে এক বার্তায় মুফতি আব্দুল হান্নানের ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের স্বজনদের ডেকে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার মিজানুর রহমান জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার খবর সোমবার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই বন্দিকে জানানো হয়েছে। অপরদিকে তাদের স্বজনদেরও কারাগারে দেখা করতে মঙ্গলবার সকালে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কেউ কারাগারে দেখা করতে আসেননি।
তিনি আরো জানান, তাদের ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। কারাগারে জল্লাদ ও ফাঁসির মঞ্চ সবকিছুই প্রস্তুত আছে। তবে কবে কখন তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হচ্ছে তা জানা যায়নি।
এর আগে আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগী রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচের কপি সোমবার কারাগারে পৌঁছায়।
সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও বিপুল কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি রয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যাত হলে কারাবিধি অনুসারে প্রথম দু’জনের কাশিমপুরে এবং অন্যজনের সিলেটে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
Comment