দাড়ি না কাটলে চাকরি ফিরে পাওয়া যাবে না। এক মুসলিম যুবকের আবেদনের প্রেক্ষিতে জানিয়েদিল সুপ্রিম কোর্ট।
মহারাষ্ট্রের পুলিশ কর্মী জাহিরুদ্দিন শামসুদ্দিন বেদাদে ২০১২ সালে দাড়ি রাখার আবেদন করেন। তার আবেদন মঞ্জুর করা হয়। সমস্যাটা বাধে তারপরেই। মহারাষ্ট্র স্টেট রিজার্ভ পুলিস ফোর্সের সংশোধনী মনে করিয়ে তার দাড়ি রাখার ছাড় খারিজ করা হয়।
দাড়ি কেটে তাকে পুলিশে যোগ দিতে বলা হয়। তিনি অস্বীকার করেন। বেদাদেকে বরখাস্ত করা হয়। সেই থেকে পাঁচ বছর ধরে কাজে বহাল হওয়ার জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতার যুক্তি দেখিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বেদাদে।
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, বেদাদের দাড়ি রাখার আবেদন ধর্মীয় স্বাধীনতার আওতায় পড়ে না। ধর্মীয় কারণে বিশেষ বিশেষ সময়ে এই ছাড় দেওয়া যায়। কেবলমাত্র শিখদেরই সবসময় দাড়ি রাখার অধিকার রয়েছে। সে কথা জানিয়ে বেদাদেকে বেঞ্চের প্রশ্ন, তিনি দাড়ি কাটবেন কিনা। বেদাদে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন।
তখন বিচারপতিরা বলেন, তাহলে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারব না।
Comment