
গতকাল রবিবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাহ প্রদেশের মরদান শহরে আব্দুল ওয়ালী খান ইউনিভার্সিটিতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটূক্তি করার অপরাধে সহপাঠীরা গণমাধ্যম শাখার মিশআল খান নামক এক কুলাঙ্গারকে হত্যা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায় ২৩ বছর বয়সী এই কুলাঙ্গারকে সহপাঠীরা প্রচণ্ড মারধর করার ফলে সে নিহত হয়েছে, পুলিশ বলছে তার শরীরে গুলি পাওয়া গিয়েছে। ডিআইজি মরদান আলম জানিয়েছে সে ফেসবুকে একটি পেজে নিয়মিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটূক্তি করে পোস্ট দিত, ফলে সহপাঠীরা জানতে পেরে তাকে প্রচণ্ড প্রহার করে, এবং ফায়ারিংঅ হয় এতে সে মারা যায়।
উল্লেখ্য এই কুলাঙ্গারের লাশ তার গ্রামের বাড়ি সওয়াবিতে গেলে স্থানীয় মসজিদের ইমাম জানাজা পড়াতে অস্বীকৃতি জানান, ফলে এক টেকনেশিয়ান দ্বারা তার জানাজা পড়ান হয়, স্থানীয় অধিবাসী সালমান আহমাদ জানান জানাজা শেষে মানুষ সেই টেকনেশিয়ানকেও অপমানিত ও লাঞ্চিত করে।
সুত্র আরও জানায় এই কুলাঙ্গারের রুমে কাল মার্ক্স ও চে গুয়ে ভরার ছবি ঝুলানো রয়েছে, ফলে সে সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা ও রাজনীতিতে জড়িত তার সুস্পষ্ট প্রমান পাওয়া যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর সুত্রে জানা যায় গতকাল সে ছাত্রদের সামনে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করতে থাকে, এক পর্যায়ে ফেসবুকেও তার আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তির বিষয়টি সামনে চলে আসলে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে উঠে, এবং তার রুমের দরজা ভেঙ্গে টেনে হেঁচড়ে বের করে হত্যা করে।
সুত্র আরও জানায় একই অপরাধে তার সাথে গণমাধ্যম শাখার ছাত্র আব্দুল্লাহ নামি এক কুলাঙ্গারকেও ছাত্ররা পিটিয়ে আহত করে।
উল্লেখ্য সরকার হামলায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে ইনকয়ারি করছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানী এক বার্তায় বলেছেন-
পাকিস্তানে দুইশত পত্রিকা ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট অসংখ্য কুলাঙ্গার রাসুল অবমাননার সাথে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ইসলাম ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার এই কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে একশন না নিয়ে উল্টো ধর্মপ্রাণ মানুষের বিরুদ্ধে একশন নিচ্ছে। তিনি পাকিস্তানের কতিপয় আলেমদের প্রতিও অভিযোগ উথাপন করেন যে, এই ঘটনায় তারা চেঁচামেচি করছে যে, আইন নিজের হাতে নেওয়া ঠিক নয় ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু যখন বার্মায় মুসলমানদের শরীরকে কিমা-কাবাব বানানো হয়, সিরিয়ায় নির্বিচারে বম্বিং চালানো হ্য, তখন এই শায়েখদের কোন বার্তা পাওয়া যায়না।
পরিশেষে তিনি পাকিস্তানের জনসাধারণকে টিটিপিতে যোগদানের আহবান জানান।

হামলার ভিডিও
https://www.youtube.com/watch?v=HSr5YMxaDrw
আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা তাদের এই রসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম্মের প্রতি প্রেমকে আরও বাড়িয়ে দেন এবং সহীহ পথে ব্যায় করার তৌফীক দেন... আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন!!!
Comment