আফ্রিকার_এক_মফস্বল_গ্রামের_গল্প
রাতের বেলায় গ্রামের একটা ঘরে ঢুকে গেলাম। পুরু গ্রামে 75/76 টি পরিবার। আলো পেতে গাছে ও খরকুটায় আগুন জ্বালিয়েই অন্ধকার দুর করে থাকে। এছাড়া কোন ঘরেই আলোর জন্য বিশেষ কিছু নজরে পড়েনি।
রাত তখন সাতটা। ইফতার বলতে একটা আইটেম। ম্পিলো বলে থাকে। বাংলাদেশে কখনো দেখিনি। ভুট্টা গাছের মতো দেখতে। ওটার মাথায় ছোট দানার মতো। ঘাসের এক প্রকারের বড় বিচি বললেই সহজ। সেটাকে পানি আর লবন দিয়ে সিদ্ধ করে প্লেটে নিয়েছে। আট সদস্যের পরিবার হলেও প্লেট একটাই। এক প্লেটে দুজন করে চাঁর দফায় খাবার পর্ব শেষ হবে। রাতে শোবার জন্য ঘরে একটা চাটাই বা পাটি। জানা আছে দুইজনের বেশি ধরে না নিশ্চয়। কারন দুই মাস আগে আমিই দিয়েছিলাম চাটাইটা। আমার একটা ফেলে দেওয়া ভাঙ্গা টর্চ ও সেই কুড়ানো বেটারি দিয়েই চলছে। টর্চ আছে তবে আলো নেই। ভাঙ্গা অকেজো একটি রেডিও আছে। বাচ্চাদের খেলনা হিসাবে ব্যবহৃত। চার পাশে দেখার মতো কিছুই পেলাম না। খাট পালং চেয়ার টেবিল সোফা আর কিচেন ডাইনিং শব্দগুলো তাদের ভালবাসি প্রতিদিন নয়। তাদের কাছে এসব শব্দের কোন অস্তিত্য নেই। টয়লেট বলতে কিছু ছন নামক ঘাস বনের লতা দিয়ে ঘেরা একটি গর্ত। পাশেই গোসল খানা। নিচে একটি পাথর আছে। সব শেষে নজর গেল উপর দিকে। পলিথিন আর গাছের ডাল দেখা গেল। উপরে ছনগুলো বাহির থেকে দেখা যায়। নিজের হাতে তৈরী আধা কাঁচা ইটের দেয়াল। দরজাটা
খুলে রেখে দেওয়া হয়। রাতের বেলা বেঁধে রেখে মাটিতে পিঠ লাগাতে পারলেই দুনিয়ার জীবন শেষ হবার জন্য একটু অগ্রসর হয়। জানালাতে প্লাষ্টিকের বস্তা আর গাছের ডাল।
এটা কোন গল্প নয়। আদিম যুগের কোন কাহিনির অংশ নয়। 2017 এর 12 জুনের দেখা ডিজিটাল খলিফার যুগের অপরিচিত মালাউইর জনসাধারনের বাস্তব অবস্থার একটি চিত্র।
পাশের ঘরের লোক গুলো বাইরে শুয়ে আছে। রাতের বেলা বাইরে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জানান ঘরে বিশাক্ত লাল পিপিলিকা। শুইলেই আক্রমন করে। তাই দু সপ্তাহ ধরে বাইরেই রাত কাটান। ছবি নেওয়াটা অনুচিত মনে হল।
বন্ধুরা। এসব লিখার সময় নাই। মনটা চুরমার হয়ে যায়। কত টাকা কত খাবার অপচয় হচ্ছে কত খানে!!!! আর ,,,,,,,, আমরা তো মুসলিম দাবী করি। এক ফোঁটা রক্ত ঝড়লে সকলের ব্যথা হবার কথা।
বি: দ্র: একজন প্রবাসী ভাই বাংলা দশ হাজার টাকা দান করছেন। সেটার তালিকা করতেই গ্রামে যেতে হয়েছে।
রাতের বেলায় গ্রামের একটা ঘরে ঢুকে গেলাম। পুরু গ্রামে 75/76 টি পরিবার। আলো পেতে গাছে ও খরকুটায় আগুন জ্বালিয়েই অন্ধকার দুর করে থাকে। এছাড়া কোন ঘরেই আলোর জন্য বিশেষ কিছু নজরে পড়েনি।
রাত তখন সাতটা। ইফতার বলতে একটা আইটেম। ম্পিলো বলে থাকে। বাংলাদেশে কখনো দেখিনি। ভুট্টা গাছের মতো দেখতে। ওটার মাথায় ছোট দানার মতো। ঘাসের এক প্রকারের বড় বিচি বললেই সহজ। সেটাকে পানি আর লবন দিয়ে সিদ্ধ করে প্লেটে নিয়েছে। আট সদস্যের পরিবার হলেও প্লেট একটাই। এক প্লেটে দুজন করে চাঁর দফায় খাবার পর্ব শেষ হবে। রাতে শোবার জন্য ঘরে একটা চাটাই বা পাটি। জানা আছে দুইজনের বেশি ধরে না নিশ্চয়। কারন দুই মাস আগে আমিই দিয়েছিলাম চাটাইটা। আমার একটা ফেলে দেওয়া ভাঙ্গা টর্চ ও সেই কুড়ানো বেটারি দিয়েই চলছে। টর্চ আছে তবে আলো নেই। ভাঙ্গা অকেজো একটি রেডিও আছে। বাচ্চাদের খেলনা হিসাবে ব্যবহৃত। চার পাশে দেখার মতো কিছুই পেলাম না। খাট পালং চেয়ার টেবিল সোফা আর কিচেন ডাইনিং শব্দগুলো তাদের ভালবাসি প্রতিদিন নয়। তাদের কাছে এসব শব্দের কোন অস্তিত্য নেই। টয়লেট বলতে কিছু ছন নামক ঘাস বনের লতা দিয়ে ঘেরা একটি গর্ত। পাশেই গোসল খানা। নিচে একটি পাথর আছে। সব শেষে নজর গেল উপর দিকে। পলিথিন আর গাছের ডাল দেখা গেল। উপরে ছনগুলো বাহির থেকে দেখা যায়। নিজের হাতে তৈরী আধা কাঁচা ইটের দেয়াল। দরজাটা
খুলে রেখে দেওয়া হয়। রাতের বেলা বেঁধে রেখে মাটিতে পিঠ লাগাতে পারলেই দুনিয়ার জীবন শেষ হবার জন্য একটু অগ্রসর হয়। জানালাতে প্লাষ্টিকের বস্তা আর গাছের ডাল।
এটা কোন গল্প নয়। আদিম যুগের কোন কাহিনির অংশ নয়। 2017 এর 12 জুনের দেখা ডিজিটাল খলিফার যুগের অপরিচিত মালাউইর জনসাধারনের বাস্তব অবস্থার একটি চিত্র।
পাশের ঘরের লোক গুলো বাইরে শুয়ে আছে। রাতের বেলা বাইরে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জানান ঘরে বিশাক্ত লাল পিপিলিকা। শুইলেই আক্রমন করে। তাই দু সপ্তাহ ধরে বাইরেই রাত কাটান। ছবি নেওয়াটা অনুচিত মনে হল।
বন্ধুরা। এসব লিখার সময় নাই। মনটা চুরমার হয়ে যায়। কত টাকা কত খাবার অপচয় হচ্ছে কত খানে!!!! আর ,,,,,,,, আমরা তো মুসলিম দাবী করি। এক ফোঁটা রক্ত ঝড়লে সকলের ব্যথা হবার কথা।
বি: দ্র: একজন প্রবাসী ভাই বাংলা দশ হাজার টাকা দান করছেন। সেটার তালিকা করতেই গ্রামে যেতে হয়েছে।
Comment