কিভাবে আমি ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করি? _______ সামির খান
ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহনের কোন সুযোগ নেই। সকলকেই ফিরিয়ে দিলাম। ইনবক্স অনেক ভারি হচ্ছে। কিন্তু আমি নিরুপায়। আমার আশে পাশে থাকা প্রায় দশ হাজার ছেলে/মেয়ের মুখে ঈদ বলতে রোজা নেই, এটাই হল ঈদ। নতুন কাপর নতুন জুতা পেলেই যে ঈদ, তাও বলছি না। এক বেলা ভালো খাবারের অভাবে ঈদ শুভেচ্ছা ফিরিয়ে দিচ্ছি না। কিন্তু ছেড়া কাপরে ঈদের জামাতে, একটা পোশাকের জন্য ঈদগাহে আসতে পারে না। এমন লোকের অভাব নেই। ঈদের কোন সেলফি দেখে কলিজায় ঘাঁ লাগে। আমার ভাইদের মধ্যে এতো তফাত হয় কি করে?
কেউ তো হাজার হাজার টাকার সপিং। কেউ গোসলের জন্য একটা বাড়তি কাপড় নেই? ছেড়া পেন্টটাকে ধুয়ে ঈদের দিন পরিধান করবে। কিন্তু ধোয়ার সময় অন্য কাপড় পরিধান করার জন্য একটা ছেড়া নেকড়াও নেই। খোদার কসম এমন লোকের অভাব নেই, যাদের গায়ের পোশাকটার চেয়ে অনেকের গাড়ি মোছার কাপরটা বহুগুনে দামি।
ঈদের দিন উপলক্ষে দুজন প্রতি একটি ডিম পেয়াজ ছাড়াই তেলে ভুনা। আর লবন দিয়ে ভাত। মসলা বলতে বিন্দু মাত্র কোন কিছুর উপস্থিতি নেই। ওয়াল্লাহ ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহনের কোন পরিবেশ আমার নেই।
***
একজন মায়ের বয়ষি নারী, ছেড়া গেঞ্জি পরিহিতা, সেলাই ছাড়া লুঙ্গিতে এসে নামাজের জন্য যখন জামা চায়, চোখ দুটিকে আড়াল করে, নেই বলে বিদায় জানাই। অথচ আবার আমার অন্যাঞ্চলের মাকে যখন জিজ্ঞাসা করি আপনার কাপড় কতটি? সঠিক হিসেব দিতে পারে না। ঈদের কতটি? তাও হিসেব করে বলতে হয়, অমুক থেকে তমুক থেকে মোট এতটি। হায় মুসলিম! একেই বলে সমস্ত মুসলিম একটি দেহ?
***
একটি মাদ্রাসার পরিদর্শন রিপোর্ট।
বিদ্যুৎ নেই।
পানির জন্য এক কিলোমিটার দুর থেকে সংগ্রহ করে চলতে হয়।
ছাত্রী সংখ্যা 65জন, সকলেই এতিম।
একজন শিক্ষিকা।
দৈনিক দুই বেলা অপরিবর্তিত খাবার।
নাস্তার কোন ইন্তেজাম নিজের পক্ষ থেকেও নেই।
বাজার 25 কিলোমিটার, ও লোকাল দোকান 2 কিলোমিটার দুরত্ব।
পরিচালক একজন।
ঈদগাহ ছয় কিলোমিটার দুর।
টয়লেট দুইটি।
থাকার ঘর দুইটি।
খাবার ঘর খোলা মাঠ।
কোরান ও হাদিসের পাঠ দান।
সারা বছর সারা মাস সপ্তাহ কিংবা কোন দিন ছুটি নেই।
মাদ্রাসার বয়ষ 5 মাস।
সামান্য কোন খাবার হলেও সকলে মিলে ভাগাভাগি করে খায়। সাহাবাদের নমুনা।
ঈদের দিনের বিশেষ আয়োজন।
68 জনের একটি ছাগল। দশ কেজি চাল। তেল আর লবনের সাধ ছাড়া আদা রশুন হলুদ মরিচের ঘ্রানও থাকবে না।
আমি কেমন করে ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহন করি??
29 রোজার ইফতারির দৃশ্য। 45 জনের জন্য বোরকার ব্যবস্থা হয়েছে।
ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহনের কোন সুযোগ নেই। সকলকেই ফিরিয়ে দিলাম। ইনবক্স অনেক ভারি হচ্ছে। কিন্তু আমি নিরুপায়। আমার আশে পাশে থাকা প্রায় দশ হাজার ছেলে/মেয়ের মুখে ঈদ বলতে রোজা নেই, এটাই হল ঈদ। নতুন কাপর নতুন জুতা পেলেই যে ঈদ, তাও বলছি না। এক বেলা ভালো খাবারের অভাবে ঈদ শুভেচ্ছা ফিরিয়ে দিচ্ছি না। কিন্তু ছেড়া কাপরে ঈদের জামাতে, একটা পোশাকের জন্য ঈদগাহে আসতে পারে না। এমন লোকের অভাব নেই। ঈদের কোন সেলফি দেখে কলিজায় ঘাঁ লাগে। আমার ভাইদের মধ্যে এতো তফাত হয় কি করে?
কেউ তো হাজার হাজার টাকার সপিং। কেউ গোসলের জন্য একটা বাড়তি কাপড় নেই? ছেড়া পেন্টটাকে ধুয়ে ঈদের দিন পরিধান করবে। কিন্তু ধোয়ার সময় অন্য কাপড় পরিধান করার জন্য একটা ছেড়া নেকড়াও নেই। খোদার কসম এমন লোকের অভাব নেই, যাদের গায়ের পোশাকটার চেয়ে অনেকের গাড়ি মোছার কাপরটা বহুগুনে দামি।
ঈদের দিন উপলক্ষে দুজন প্রতি একটি ডিম পেয়াজ ছাড়াই তেলে ভুনা। আর লবন দিয়ে ভাত। মসলা বলতে বিন্দু মাত্র কোন কিছুর উপস্থিতি নেই। ওয়াল্লাহ ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহনের কোন পরিবেশ আমার নেই।
***
একজন মায়ের বয়ষি নারী, ছেড়া গেঞ্জি পরিহিতা, সেলাই ছাড়া লুঙ্গিতে এসে নামাজের জন্য যখন জামা চায়, চোখ দুটিকে আড়াল করে, নেই বলে বিদায় জানাই। অথচ আবার আমার অন্যাঞ্চলের মাকে যখন জিজ্ঞাসা করি আপনার কাপড় কতটি? সঠিক হিসেব দিতে পারে না। ঈদের কতটি? তাও হিসেব করে বলতে হয়, অমুক থেকে তমুক থেকে মোট এতটি। হায় মুসলিম! একেই বলে সমস্ত মুসলিম একটি দেহ?
***
একটি মাদ্রাসার পরিদর্শন রিপোর্ট।
বিদ্যুৎ নেই।
পানির জন্য এক কিলোমিটার দুর থেকে সংগ্রহ করে চলতে হয়।
ছাত্রী সংখ্যা 65জন, সকলেই এতিম।
একজন শিক্ষিকা।
দৈনিক দুই বেলা অপরিবর্তিত খাবার।
নাস্তার কোন ইন্তেজাম নিজের পক্ষ থেকেও নেই।
বাজার 25 কিলোমিটার, ও লোকাল দোকান 2 কিলোমিটার দুরত্ব।
পরিচালক একজন।
ঈদগাহ ছয় কিলোমিটার দুর।
টয়লেট দুইটি।
থাকার ঘর দুইটি।
খাবার ঘর খোলা মাঠ।
কোরান ও হাদিসের পাঠ দান।
সারা বছর সারা মাস সপ্তাহ কিংবা কোন দিন ছুটি নেই।
মাদ্রাসার বয়ষ 5 মাস।
সামান্য কোন খাবার হলেও সকলে মিলে ভাগাভাগি করে খায়। সাহাবাদের নমুনা।
ঈদের দিনের বিশেষ আয়োজন।
68 জনের একটি ছাগল। দশ কেজি চাল। তেল আর লবনের সাধ ছাড়া আদা রশুন হলুদ মরিচের ঘ্রানও থাকবে না।
আমি কেমন করে ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহন করি??
29 রোজার ইফতারির দৃশ্য। 45 জনের জন্য বোরকার ব্যবস্থা হয়েছে।
Comment