কোন পথে সৌদি আরব? অপমানিত এবং অপবিত্র হচ্ছে মক্কা-মাদীনা, কখন জাগবে ঘুমন্ত শার্দূলেরা?
পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কেয়ামত খুব ঘনিয়ে এসেছে। বিশেষ করে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র দুই নগরীর নামধারী রক্ষণাবেক্ষণকারীদের অদ্ভুত অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা দেখে তাই মনে হচ্ছে।
স্বভাবতই মুসলমানদের নিকট সৌদি আরব ও তার অধিবাসীগণ সবসময়ই সম্মানের পাত্র হয়ে থাকেন, কারণ সেখানেই অবস্থিত মুসলিমদের ভালবাসার কেন্দ্রবিন্দু পবিত্র মক্কাতুল মুকাররামা ও মদিনাতুল মুনাওয়ারা। আর সেখানেই ঘুমিয়ে আছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সৌদি বাদশাহর বেশকিছু কর্মকাণ্ড মুসলিমদেরকে শুধু লজ্জিত ও অপমানিত করেনি বরং করেছে কলঙ্কিত।
সম্প্রতি সৌদি বাদশাহ ঘোষণা দিয়েছেন ভিশন ২০৩০, অর্থাৎ সৌদি আর আগের সৌদি থাকছে না; হচ্ছে ডিজিটাল সৌদি। আগে যেখানে পশ্চিমা কালচার নিষিদ্ধ ছিল এখন থেকে সব বৈধ। সিনেমা হল চালু করা, নরীরা খোলামেলা পোশাকে চলাফেরা করা, নারীরা স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখাসহ বিভিন্ন হারাম ও অসৈজন্য মূলক কর্মকাণ্ড এখন থেকে আর নিষিদ্ধ নয়।
যে সৌদিকে রক্ষণশীল দেশ বলা হতো সে সৌদি আর রক্ষণশীল থাকছে না, ২০৩০ সালের মধ্যেই সেটি ইউরোপীয় কোনো দেশ বলে বিবেচিত হবে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ড্রোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি সফরের পরপরই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ভাষ্যমতে, সৌদি আর পূর্বের ইসলামে থাকবে না, এখন থেকে আমরা মধ্যমপন্থা (আমেরিকার তৈরি মডারেট ইসলাম) গ্রহণ করবো এবং ২০৩০ সালের মধ্যেই সৌদি হবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র!
এখানেই শেষ নয়, ‘মধ্যমপন্থা’র ক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। মুসলমানদের চির দুশমন অভিশপ্ত ইহুদিদের জন্য রাসূলের শহর মদিনায় প্রবেশ ছিল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
৬২৯ খ্রিস্টাব্দের সপ্তম হিজরিতে খায়বারের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ইহুদিদের শক্তি খর্ব করা হয়। খায়বারের যুদ্ধে ইহুদিদেরকে মদীনা থেকে বিতাড়িত করতে কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করে বলেন- তিনিই কিতাবধারীদের (ইহুদিদের) মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে প্রথমবার একত্রিত করে তাদের বাড়িঘর থেকে বহিস্কার করেছেন। তোমরা ধারণাও করতে পারনি যে, তারা বের হবে এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদের দূর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর কবল থেকে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর এমনদিক থেকে আসল, যার কল্পনাও তারা করেনি। আল্লাহ তাদের অন্তরে ত্রাস সঞ্চার করে দিলেন। তারা তাদের বাড়িঘর নিজেদের হাতে এবং মুসলমানদের হাতে ধ্বংস করছিল।
অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। -সুরা হাশর, আয়াত ২
অতঃপর জিযিয়া বা কর প্রদানের শর্তে তাদের থাকতে দেওয়া হয় খায়বারের নির্দিষ্ট একটি এলাকায়। কিন্তু তারা সেখানে থেকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করায় হযরত ওমর রা. ইহুদিদের মদিনা থেকে সম্পূর্ণ বিতাড়িত করেন।
পরবর্তিতে ইতিহাসে এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যে, কোনো মুসলমান শাসক কোনো ইহুদিকে মদিনায় প্রবেশের সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সৌদি বাদশাহ রাব্বি বিন তিসইউন নামক চরম মুসলিম বিদ্বেষী এক ইহুদিকে স্বয়ং মসজিদে নববীতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে! এমনকি এই অভিশপ্ত ইহুদি মসজিদে নববীতে নিজের ছবি তুলে টুইটও করেছে!
কে এই রাব্বি বিন তিসইউন?
জানা গেছে, রাব্বি বিন তিসইউন হলো এক গোঁড়া ইহুদি ব্লগার। সে ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখি করেছে এবং এখনো করছে। উইকিপিডিয়ার বরাতে জানা যায়, সে ঈসা আ. কে নিয়েও অনেক কাল্পনিক গল্প রচনা করেছে। অথচ আজ তাকেই মসজিদে নববীতে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে!
ছিঃ! শত ধিক্কার সৌদি বাদশাহ ও তার লয়লস্করকে, যারা ইসলামের লেবাস ধারণ করে মুসলিমদের ধোঁকা দিচ্ছে। যারা ইসলামের প্রাণকেন্দ্রে জন্ম নিয়েও ইসলামের শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়েছে। যারা মক্কা-মদিনার খাদেম সেজে মক্কা-মদিনাকে কলঙ্কিত করেছে।
ওই সমস্ত আলেমের প্রতি করুণা হয়, যারা অসচেতনতার কারণে এখনো সৌদি বাদশাহর সাফাই গেয়ে যাচ্ছেন। আপনারা চোখকান খুলুন! দেখুন আপনারা কোথায় আছেন আর ইসলাম কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে।
আর জেনেশুনে যারা সৌদি সৌদি বলে গলা ফাটাচ্ছেন, আপনাদের শুধু বলবো, আল্লাহকে ভয় করুন! জানি না আপনারা আল্লাহর সামনে কিভাবে মুখ দেখাবেন। কোন চেহারা নিয়ে আল্লাহর সামনে হাজির হবেন। মনে রাখবেন, আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে হেদায়েত দেন না।
পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কেয়ামত খুব ঘনিয়ে এসেছে। বিশেষ করে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র দুই নগরীর নামধারী রক্ষণাবেক্ষণকারীদের অদ্ভুত অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা দেখে তাই মনে হচ্ছে।
স্বভাবতই মুসলমানদের নিকট সৌদি আরব ও তার অধিবাসীগণ সবসময়ই সম্মানের পাত্র হয়ে থাকেন, কারণ সেখানেই অবস্থিত মুসলিমদের ভালবাসার কেন্দ্রবিন্দু পবিত্র মক্কাতুল মুকাররামা ও মদিনাতুল মুনাওয়ারা। আর সেখানেই ঘুমিয়ে আছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সৌদি বাদশাহর বেশকিছু কর্মকাণ্ড মুসলিমদেরকে শুধু লজ্জিত ও অপমানিত করেনি বরং করেছে কলঙ্কিত।
সম্প্রতি সৌদি বাদশাহ ঘোষণা দিয়েছেন ভিশন ২০৩০, অর্থাৎ সৌদি আর আগের সৌদি থাকছে না; হচ্ছে ডিজিটাল সৌদি। আগে যেখানে পশ্চিমা কালচার নিষিদ্ধ ছিল এখন থেকে সব বৈধ। সিনেমা হল চালু করা, নরীরা খোলামেলা পোশাকে চলাফেরা করা, নারীরা স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখাসহ বিভিন্ন হারাম ও অসৈজন্য মূলক কর্মকাণ্ড এখন থেকে আর নিষিদ্ধ নয়।
যে সৌদিকে রক্ষণশীল দেশ বলা হতো সে সৌদি আর রক্ষণশীল থাকছে না, ২০৩০ সালের মধ্যেই সেটি ইউরোপীয় কোনো দেশ বলে বিবেচিত হবে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ড্রোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি সফরের পরপরই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ভাষ্যমতে, সৌদি আর পূর্বের ইসলামে থাকবে না, এখন থেকে আমরা মধ্যমপন্থা (আমেরিকার তৈরি মডারেট ইসলাম) গ্রহণ করবো এবং ২০৩০ সালের মধ্যেই সৌদি হবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র!
এখানেই শেষ নয়, ‘মধ্যমপন্থা’র ক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। মুসলমানদের চির দুশমন অভিশপ্ত ইহুদিদের জন্য রাসূলের শহর মদিনায় প্রবেশ ছিল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
৬২৯ খ্রিস্টাব্দের সপ্তম হিজরিতে খায়বারের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ইহুদিদের শক্তি খর্ব করা হয়। খায়বারের যুদ্ধে ইহুদিদেরকে মদীনা থেকে বিতাড়িত করতে কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করে বলেন- তিনিই কিতাবধারীদের (ইহুদিদের) মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে প্রথমবার একত্রিত করে তাদের বাড়িঘর থেকে বহিস্কার করেছেন। তোমরা ধারণাও করতে পারনি যে, তারা বের হবে এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদের দূর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর কবল থেকে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর এমনদিক থেকে আসল, যার কল্পনাও তারা করেনি। আল্লাহ তাদের অন্তরে ত্রাস সঞ্চার করে দিলেন। তারা তাদের বাড়িঘর নিজেদের হাতে এবং মুসলমানদের হাতে ধ্বংস করছিল।
অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। -সুরা হাশর, আয়াত ২
অতঃপর জিযিয়া বা কর প্রদানের শর্তে তাদের থাকতে দেওয়া হয় খায়বারের নির্দিষ্ট একটি এলাকায়। কিন্তু তারা সেখানে থেকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করায় হযরত ওমর রা. ইহুদিদের মদিনা থেকে সম্পূর্ণ বিতাড়িত করেন।
পরবর্তিতে ইতিহাসে এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যে, কোনো মুসলমান শাসক কোনো ইহুদিকে মদিনায় প্রবেশের সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সৌদি বাদশাহ রাব্বি বিন তিসইউন নামক চরম মুসলিম বিদ্বেষী এক ইহুদিকে স্বয়ং মসজিদে নববীতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে! এমনকি এই অভিশপ্ত ইহুদি মসজিদে নববীতে নিজের ছবি তুলে টুইটও করেছে!
কে এই রাব্বি বিন তিসইউন?
জানা গেছে, রাব্বি বিন তিসইউন হলো এক গোঁড়া ইহুদি ব্লগার। সে ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখি করেছে এবং এখনো করছে। উইকিপিডিয়ার বরাতে জানা যায়, সে ঈসা আ. কে নিয়েও অনেক কাল্পনিক গল্প রচনা করেছে। অথচ আজ তাকেই মসজিদে নববীতে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে!
ছিঃ! শত ধিক্কার সৌদি বাদশাহ ও তার লয়লস্করকে, যারা ইসলামের লেবাস ধারণ করে মুসলিমদের ধোঁকা দিচ্ছে। যারা ইসলামের প্রাণকেন্দ্রে জন্ম নিয়েও ইসলামের শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়েছে। যারা মক্কা-মদিনার খাদেম সেজে মক্কা-মদিনাকে কলঙ্কিত করেছে।
ওই সমস্ত আলেমের প্রতি করুণা হয়, যারা অসচেতনতার কারণে এখনো সৌদি বাদশাহর সাফাই গেয়ে যাচ্ছেন। আপনারা চোখকান খুলুন! দেখুন আপনারা কোথায় আছেন আর ইসলাম কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে।
আর জেনেশুনে যারা সৌদি সৌদি বলে গলা ফাটাচ্ছেন, আপনাদের শুধু বলবো, আল্লাহকে ভয় করুন! জানি না আপনারা আল্লাহর সামনে কিভাবে মুখ দেখাবেন। কোন চেহারা নিয়ে আল্লাহর সামনে হাজির হবেন। মনে রাখবেন, আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে হেদায়েত দেন না।
Comment