২০১৮ সালে মুসলমানের জন্য আরেকটি বড় সমস্যা : গোল্ডেন রাইস বা ভিটামিন চাল
‘ভিটামিন এ’ সমৃদ্ধ চাল, শুনতেই কত সুন্দর শোনায়। সাধারণত চালের মধ্যে ভিটামিন নেই বললেই চলে, কিন্তু এ চালাটি কত ভালো। ভিটামিন এ আছে। ভিটামিনের কারণে ধারণ করেছে হলুদ বর্ণ ! বাস্তবতা হচ্ছে এ চালের পেছনে রয়েছে ইহুদীবাদীদের গভীর ষড়যন্ত্র।
২০১৫ সালে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী জানায়, বাংলাদেশ চাল গবেষণা ইন্সটিটিউট এর সাথে বহুজাতিক সিনজেন্টা কোম্পানির চুক্তি হয়েছে এই গোল্ডেন রাইস উৎপাদনে এবং ২০১৮ সালের মধ্যে এই চাল পাওয়া যাবে। তাই এ বছর বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই কঠিন সময়, কারণ মাছে-ভাতে বাঙ্গালীর ভাতের মধ্যে ঢুকতে পারে বিষ।
গোল্ডেন রাইস কি ?
গোল্ডেন রাইস হচ্ছে জেনেটিকাল মোটিফাইড বা জিএমও ফুড। জিএম (জেনেটিকাল মোডিফাইড) ফুড ক্ষতিকর হওয়ায় সারা বিশ্ব বর্তমানে জিএম ফুড বর্জন চলছে, ইউরোপের ২৬টি দেশের মধ্যে ১৯টি দেশে জিএম ফুড চাষ বন্ধ হয়েছে। ফিলিপাইনে গোল্ডেন রাইস ব্যান করার জন্য সাধারণ জনগণ আন্দোলন পর্যন্ত করেছে। সেখানে বাংলাদেশে এ ধানের উদপাদন হওয়া সত্যিই আশ্চর্যজনক!
গোল্ডেন রাইস খেলে কি ক্ষতি হতে পারে:
১) প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
২) গর্ভবতী নারী খেলে তার সন্তানের জন্মগত ত্রুটি (birth defects) ঘটতে পারে ।
৩) যে মানুষ কম পরিমাণ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে, সে এ ধরনের চাল খেলে তার শরীরের বিষাক্ততা দেখা দিতে পারে।
৪) যে মানুষ ডায়রিয়ায়, ক্ষুদ্রান্ত্রেও প্রদাহসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত, সে এ ধরনের চাল খেলে শরীরের নানাবিধ বিষাক্ততা দেখা দিতে পারে।
৫) হজম প্রক্রিয়ায় বিটা ক্যারোটিন (গোল্ডেন রাইসে আছে) পরিবর্তিত হয়ে রেটিনল বা রেটিনোইক এসিড তে রূপান্তরিত হতে পারে, যা চর্বি বা plasma তে জমা হতে পারে কিন্তু এর প্রভাব বিষাক্ত ।
৬) ভিটামিন-এ স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন এ হাইপার-ভিটামিনোসিস এবং tera logenicity ভিটামিন-এ জনিত বিষাক্ততা তলপেট, নাকে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং শিশুদের Fontanelle সৃষ্টি করতে পারে।
৭) দীর্ঘমেয়াদী বিষাক্ততা হাড় ও হাড়ের সংযোগস্থলগুলোর ব্যথা সৃষ্টি, চুল পড়া, শুষ্কতা জ্বর, ওজন হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ, ঠোঁটে ফাটলের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
উল্লেখ্য সিজজেন্টা কোম্পানির চেয়্যারম্যান হচ্ছে জে মার্টিন টেইলর, যে বিশ্বনিয়ন্ত্রক ইহুদীবাদীদের অন্যতম সদস্য (বিল্ডারবার্গ মেম্বার)। আরো উল্লেখ্য, এই গোল্ডেন রাইসের মাধ্যমে শুধু শারীরিক ক্ষতি নয়, বাংলাদেশে পুরো ধানবীজ সিনজেন্টার হাতে চলে যাবে, যেখান থেকে বেড়িয়ে আসা বাংলাদেশের কৃষকের পক্ষে আর সম্ভব নয়।
আমার যতদূর মনে পড়ে, ২০১৪-১৫ সালে এ গোল্ডেন রাইসের বিরুদ্ধে ফিল্ড পর্যায়ে ব্যাপক লেখালেখি ও আন্দোলন হয়েছিলো। (যদিও মেইনস্ট্রিম মিডিয়া তা এড়িয়ে যায়)
লেখাগুলো পড়তে পারেন-
ক) গোল্ডেন রাইসের বাজারজাতকরণের প্রচেষ্টা বন্ধ করুন
খ) ‘গোল্ডেন রাইস’ কতটা গোল্ডেন?
http://techmorich.com/health-medicine/golden-rice-512,
গ) ‘গোল্ডেন রাইস চাষীদের অধিকার কেড়ে নেবে'
ঘ) জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফুড : গোল্ডেন রাইস : কৃষিতে করপোরেট আগ্রাসন
ঙ) ২০১৫ একটি ফেসবুক পেজে লেখা,
এত লেখালেখির পরও ২০১৭ সালে খবর এসেছে ২০১৮ সালে গোল্ডেন রাইস বাজারে আসছে। এটা নিয়ে কিছুদিন আগে কৃষকরাও আন্দোলন করেছে
কিন্তু তারপরও সরকার এ প্রজেক্ট থেকে পিছু হটছে না।
হিসেবটা খুব সোজা- দেখানো হবে ভিটামিন খাওয়ানো হবে বিষ। বাংলাদেশের জনসংখ্যা হ্রাস করা হবে, বাংলাদেশের মানুষকে আফ্রিকার জনগণের মত দুর্বল অসুস্থ করা হবে। অসুস্থ-দুর্বল গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সোজা।
.
Comment