সাংস্কৃতিক জাগরণের ধ্বজাধারী মেজবাহ কামালরাই প্রকৃত নারী নির্যাতনকারী
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে চলছে গোলটেবিল আলোচনা। সেই আলোচায় বিশেষ অতিথি ঢাবি শিক্ষক মেজবাহ কামাল।আলোচনার সিদ্ধান্ত : ‘নারী নির্যাতন বন্ধে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক জাগরণ’
ফেসবুকে একটা স্টাটাস পড়লাম সেখানে কোন এক নূরুন্নবী নামক একজন বলেন:
“মেজবাহ কামাল স্যার তেমন একটা ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না, নানা এনজিও কার্যক্রম-নানা জায়গায় খ্যাপ মারা এসেবই ব্যস্ত থাকেন। তারপরও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়া চিন্তিত এটা আমার ভাল লেগেছে। এক দিকে তিনি যেমন ক্লাস নেন না, অন্যদিকে যৌন কেলেংকারীতেও তিনি জড়িত। একদিন আমার সামনেই সম্ভবত ২০০২ অথবা ২০০৩ সালের দিকে তার রুম থেকে এক ছাত্রী কাদতে কাদতে বের হয়ে দৌড়াচ্ছিল আর স্যার পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছিল, আমিও তাদের পেছনে দৌড়ানো শুরু করলাম-আমার পেছনে আরো কয়েকজন দৌড়ানো শুরু করলো, আমরা স্যারকে থামালাম-জানতে চাইলাম কি হইছে? স্যার বললো 'তেমন কিছু না-আমি একটু উত্তেজিত ছিলাম'। এই ঘটনাটি সে সময়ের সকল জাতীয় পত্রিকায় এসেছিল।“
বর্তমান স্কুলগুলোতেও লুইচ্চা টাইপের স্যারগুলো খালি মেয়েদের সংস্কৃতি, মানে নাচ-গান-নাটকের কথা বলে। কালচার রুমে গেলে বোঝা যায় যে, লুইচ্চা স্যারগুলো কেন মেয়েদের সংস্কৃতির কথা বলে কালচার রুমে ডাকে। মেয়েগুলো নাচ-গানের সময় তা দেখে লুইচ্চা স্যারগুলো চোখের আরাম নেয়। শুধু তাই না, ক্লাস ছাড়াও তারা আরো বাড়তি সময় নেয়, সেই বাড়তি সময় তারা কি সুবিধা পায়, সেটা হয়ত সাধারণদের অজানা।
আসলে এসব সংস্কৃতিবাদীগুলো হচ্ছে নারী নিপীড়নের ভাগাড়। ইউরোপের অবস্থা দেখুন, সংস্কৃতিবাদীরা অনেক নারীমূর্তি বানিয়েছে, কিন্তু সবগুলো নারী মূর্তি ন্যাংটো। তারমানে নারীদের ন্যাংটো বানানো তাদের আসল সংস্কৃতি। কিন্তু নারীরা সেটা বোঝে না অথবা না বোঝার ভান করে থাকে।
কিছুদিন আগে লাক্স সুন্দরী ফারিয়া শাহরিন মিডিয়ায় সংস্কৃতির নামে মেয়েদের কিভাবে বেশ্যা হতে হয় সেটা প্রকাশ করেছিলো।এতে হয়ত তার উপর অনেকেই ক্ষেপেছে, কিন্তু তার কথা যে মিথ্যা সেটা কেউ বলতে পারেনি।
আসলেই যারা বেশি সংস্কৃতি সংস্কৃতি করে, তারাই নারীদের উপর বেশি নিপীড়ন চালায়। এসব সংস্কৃতিবাদীগুলোকে সমাজ থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে পারলেই সমাজে নারী নির্যাতন অনেকাংশে কমে আসবে ইনশাআল্লাহ।
.
Comment