‘জনগণের বন্ধু পুলিশ!’- বন্ধুত্বের সংঙ্গা পাল্টাতে হবে!
ইসলাম বিদ্বেষী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে দেশের অন্যতম নিকৃষ্ট জায়গা রমনা পার্কে পুলিশের আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠানের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছে যে, “ পুলিশ জনগণের বন্ধুতে পরিণত হয়েছে!” বিস্ময়কর হলেও সত্য যে এ ধরণের বেকুব মন্ত্রীগুলো একের পর এক পাগলের মত প্রলাপ গেয়েই যাচ্ছে। দেশের রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধ(?!) অন্যতম সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশকে এবার এ মন্ত্রী বলল জনগণের বন্ধু! পুলিশের সন্ত্রাসী কাজকর্মের কিছু তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো:
* গত বছরের ২৬ অক্টোবর কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। [ সূত্র: ক্রাইম বার্তা,২৭শে অক্টোবর ২০১৭]
* ২০১৭ সালের ২৫ই অক্টোবর দুর্নীতির মাধ্যমে ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা উপার্জনের অভিযোগে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাষ চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। [সূত্র: ক্রাইম বার্তা, ২৭শে অক্টোবর ২০১৭]
* সম্প্রতি ফকিরাপুলের জি-নেট টাওয়ারে অভিযানের নামে একটি রিক্রুন্টিং অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয় থেকে এক হাজার দু’শর বেশি পাসপোর্ট জব্দ করে কোটি টাকা ঘুষ দাবি করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির মতিঝিল ইউনিটের উপপরিদর্শক সুশান্ত কুমার রাহুত। শেষ পর্যন্ত ৪৫ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রায় ১১শ’ পাসপোর্ট ফেরত পাওয়া যায়। বাকি ১০১টি পাসপোর্ট জব্দ তালিকায় দেখিয়ে ব্যবসায়ী অনুপমের ভাই প্রবীর বণিক ও তার দুই কর্মচারী মো. রিয়াদ হোসেন ও আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে সিআইডি।[সূত্র: ক্রাইম বার্তা, ২৭শে অক্টোবর ২০১৭]
* আরেক ঘটনায় ২০১৭সালের ১৮ এপ্রিল কাফরুলের কচুক্ষেতের নিউ ওয়েভ ক্লাবে চাঁদাবাজির অভিযোগে ১১ পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়।[ সূত্র: ক্রাইম বার্তা, ২৭শে অক্টোবর ২০১৭]
* যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল বাজারে এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার সময় সিরাজুল ইসলাম নামে এক কনস্টেবল গণপিটুনির শিকার।[সূত্র: One news bd, ১৯শে জুন, ২০১৭]
* “সাধারণ মানুষের সাথে দূরত্ব তৈরি হলেও অপরাধীদের সাথে যশোর পুলিশের সখ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন মহল্লায়, বিপণিবিতান অথবা রেস্তোরাঁয় সাদা পোশাকে কোমরে অস্ত্র ঝুলিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায় পুলিশকে। শহরের মধ্যে অপরাধ প্রবণ এলাকার ফাঁড়িগুলোতে পুলিশের সাথে অপরাধীদের ওঠাবসা বেশি।”[সূত্র: One news bd, ১৯শে জুন, ২০১৭]
* যশোরে বাড়ি তল্লাশি ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষাধিক টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ি তল্লাশির নামে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করার পর যুবক আহসান হাবিব সুজনকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আরও ১লাখ ৯০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।[ সূত্র: One news bd, ১৯শে জুন, ২০১৭]
হাতেগোনা কিছু টুকরো খবর এখানে দিলাম। যাতে স্পষ্ট হয়ে যায় পুলিশের সাথে জনগণের বন্ধুত্বের কথা!!(?) থানায় আটকে রেখে কিশোরী ধর্ষণের মত ঘটনাও ঘটিয়েছে এসকল নিষ্ঠুরপ্রাণের পুলিশবাহিনী। আসলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বন্ধুত্ব বলতে কী বুঝাতে চেয়েছে সেই জানে! এখানে উল্লেখ করা নিউজগুলো সব তাদেরই পত্রিকা থেকে নেওয়া। কিন্তু, পুলিশের সাথে জনসাধারণের বোঝাপড়ার বিষয়টি বাস্তবক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে আরো স্পষ্ট হয়ে যায়। দেশের প্রতিটা অঞ্চলেই পুলিশ নামক জানোয়ারগুলোর কথা মুখে আনতেই মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের জনসাধারণ খুব ভালোভাবেই পুলিশী অত্যাচারের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। তাই, এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে তুলে ধরতে চেষ্টা করে তাহলে তা বেকুবের মত কথাই হওয়ার কথা!
ইসলাম বিদ্বেষী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে দেশের অন্যতম নিকৃষ্ট জায়গা রমনা পার্কে পুলিশের আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠানের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছে যে, “ পুলিশ জনগণের বন্ধুতে পরিণত হয়েছে!” বিস্ময়কর হলেও সত্য যে এ ধরণের বেকুব মন্ত্রীগুলো একের পর এক পাগলের মত প্রলাপ গেয়েই যাচ্ছে। দেশের রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধ(?!) অন্যতম সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশকে এবার এ মন্ত্রী বলল জনগণের বন্ধু! পুলিশের সন্ত্রাসী কাজকর্মের কিছু তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো:
* গত বছরের ২৬ অক্টোবর কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। [ সূত্র: ক্রাইম বার্তা,২৭শে অক্টোবর ২০১৭]
* ২০১৭ সালের ২৫ই অক্টোবর দুর্নীতির মাধ্যমে ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা উপার্জনের অভিযোগে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাষ চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। [সূত্র: ক্রাইম বার্তা, ২৭শে অক্টোবর ২০১৭]
* সম্প্রতি ফকিরাপুলের জি-নেট টাওয়ারে অভিযানের নামে একটি রিক্রুন্টিং অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয় থেকে এক হাজার দু’শর বেশি পাসপোর্ট জব্দ করে কোটি টাকা ঘুষ দাবি করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির মতিঝিল ইউনিটের উপপরিদর্শক সুশান্ত কুমার রাহুত। শেষ পর্যন্ত ৪৫ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রায় ১১শ’ পাসপোর্ট ফেরত পাওয়া যায়। বাকি ১০১টি পাসপোর্ট জব্দ তালিকায় দেখিয়ে ব্যবসায়ী অনুপমের ভাই প্রবীর বণিক ও তার দুই কর্মচারী মো. রিয়াদ হোসেন ও আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে সিআইডি।[সূত্র: ক্রাইম বার্তা, ২৭শে অক্টোবর ২০১৭]
* আরেক ঘটনায় ২০১৭সালের ১৮ এপ্রিল কাফরুলের কচুক্ষেতের নিউ ওয়েভ ক্লাবে চাঁদাবাজির অভিযোগে ১১ পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়।[ সূত্র: ক্রাইম বার্তা, ২৭শে অক্টোবর ২০১৭]
* যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল বাজারে এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার সময় সিরাজুল ইসলাম নামে এক কনস্টেবল গণপিটুনির শিকার।[সূত্র: One news bd, ১৯শে জুন, ২০১৭]
* “সাধারণ মানুষের সাথে দূরত্ব তৈরি হলেও অপরাধীদের সাথে যশোর পুলিশের সখ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন মহল্লায়, বিপণিবিতান অথবা রেস্তোরাঁয় সাদা পোশাকে কোমরে অস্ত্র ঝুলিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায় পুলিশকে। শহরের মধ্যে অপরাধ প্রবণ এলাকার ফাঁড়িগুলোতে পুলিশের সাথে অপরাধীদের ওঠাবসা বেশি।”[সূত্র: One news bd, ১৯শে জুন, ২০১৭]
* যশোরে বাড়ি তল্লাশি ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষাধিক টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ি তল্লাশির নামে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করার পর যুবক আহসান হাবিব সুজনকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আরও ১লাখ ৯০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।[ সূত্র: One news bd, ১৯শে জুন, ২০১৭]
হাতেগোনা কিছু টুকরো খবর এখানে দিলাম। যাতে স্পষ্ট হয়ে যায় পুলিশের সাথে জনগণের বন্ধুত্বের কথা!!(?) থানায় আটকে রেখে কিশোরী ধর্ষণের মত ঘটনাও ঘটিয়েছে এসকল নিষ্ঠুরপ্রাণের পুলিশবাহিনী। আসলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বন্ধুত্ব বলতে কী বুঝাতে চেয়েছে সেই জানে! এখানে উল্লেখ করা নিউজগুলো সব তাদেরই পত্রিকা থেকে নেওয়া। কিন্তু, পুলিশের সাথে জনসাধারণের বোঝাপড়ার বিষয়টি বাস্তবক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে আরো স্পষ্ট হয়ে যায়। দেশের প্রতিটা অঞ্চলেই পুলিশ নামক জানোয়ারগুলোর কথা মুখে আনতেই মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের জনসাধারণ খুব ভালোভাবেই পুলিশী অত্যাচারের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। তাই, এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে তুলে ধরতে চেষ্টা করে তাহলে তা বেকুবের মত কথাই হওয়ার কথা!
Comment