সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে আফগানিস্তানে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোটের হামলার ১৭ বছর পার হলো। এই প্রায় দেড় যুগেও ‘সন্ত্রাসবাদে’র অবসান হয়নি। এখনো সৈন্য সরিয়ে নেয়নি আমেরিকা। আজও সে দেশে তালেবান জঙ্গিদের হামলায় তটস্থ থাকতে হয় আমেরিকার মদদপুষ্ট আফগান সরকারি বাহিনীকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে অবস্থান জায়েজ করতে আমেরিকানদের মিথ্যাচারও অব্যাহত রয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক নিবন্ধে বলা হয়, আফগান যুদ্ধে ২ হাজার ২০০-রও বেশি আমেরিকান নিহত হয়েছে। তালেবান জঙ্গিদের দমন এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তায় আমেরিকার ব্যয় হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি ডলার। এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গোটা ইউরোপের পুনর্গঠনে ব্যয় করা অর্থের চেয়েও বেশি। এত অর্থ খরচ করায় আমেরিকানরা তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতে তাদের দেখাতে হচ্ছে যে তালেবানরা হেরে যাচ্ছে এবং দেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো আমেরিকার হামলার পর যেকোনো সময়ের চেয়ে ২০১৭ সালে তালেবানরা অনেক বেশি এলাকা দখলে নিয়েছে। গত মাসে মাত্র এক সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ দুটি আফগান ঘাঁটির দখল নিয়েছে এবং গজনি শহরে জঙ্গি হামলায় ২০০ আফগান পুলিশ কর্মকর্তা ও সৈন্য নিহত হয়েছে।
আমেরিকার সামরিক বাহিনী বলছে, আফগান সরকার দেশের ৫৬ শতাংশ এলাকা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বা প্রভাব বিস্তার করেছে। কিন্তু এই হিসাবে ফাঁকি আছে। বস্তুত, অনেক জেলায় শুধু জেলা সদর ও সেনাছাউনি আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, অবশিষ্ট এলাকা তালেবানদের নিয়ন্ত্রণাধীন। (অ্যামেরিকার স্বীকারোক্তি অনুস্বারে ৫৬ ভাগ তাদের দখলে বাকিটা তালিবানের, কিন্তু সেখানেও শুভাঙ্করের ফাঁকি)
নথি অনুযায়ী, একজন তালেবান জঙ্গির বিপরীতে ১০ জন বা তারও বেশি আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছে। কিন্তু কিছু আফগান কর্মকর্তার হিসাব বলছে, তাদের সৈন্য বা পুলিশ কর্মকর্তাদের এক-তৃতীয়াংশ ‘প্রেতাত্মা’। কারণ, তাঁরা চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। যদিও কাগজে-কলমে তাঁদের নাম এখনো আছে। .....................।
লিংকঃ https://www.prothomalo.com/northamer...A6%B9%E0%A6%A4
নিউইয়র্ক টাইমসের এক নিবন্ধে বলা হয়, আফগান যুদ্ধে ২ হাজার ২০০-রও বেশি আমেরিকান নিহত হয়েছে। তালেবান জঙ্গিদের দমন এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তায় আমেরিকার ব্যয় হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি ডলার। এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গোটা ইউরোপের পুনর্গঠনে ব্যয় করা অর্থের চেয়েও বেশি। এত অর্থ খরচ করায় আমেরিকানরা তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতে তাদের দেখাতে হচ্ছে যে তালেবানরা হেরে যাচ্ছে এবং দেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো আমেরিকার হামলার পর যেকোনো সময়ের চেয়ে ২০১৭ সালে তালেবানরা অনেক বেশি এলাকা দখলে নিয়েছে। গত মাসে মাত্র এক সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ দুটি আফগান ঘাঁটির দখল নিয়েছে এবং গজনি শহরে জঙ্গি হামলায় ২০০ আফগান পুলিশ কর্মকর্তা ও সৈন্য নিহত হয়েছে।
আমেরিকার সামরিক বাহিনী বলছে, আফগান সরকার দেশের ৫৬ শতাংশ এলাকা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বা প্রভাব বিস্তার করেছে। কিন্তু এই হিসাবে ফাঁকি আছে। বস্তুত, অনেক জেলায় শুধু জেলা সদর ও সেনাছাউনি আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, অবশিষ্ট এলাকা তালেবানদের নিয়ন্ত্রণাধীন। (অ্যামেরিকার স্বীকারোক্তি অনুস্বারে ৫৬ ভাগ তাদের দখলে বাকিটা তালিবানের, কিন্তু সেখানেও শুভাঙ্করের ফাঁকি)
নথি অনুযায়ী, একজন তালেবান জঙ্গির বিপরীতে ১০ জন বা তারও বেশি আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছে। কিন্তু কিছু আফগান কর্মকর্তার হিসাব বলছে, তাদের সৈন্য বা পুলিশ কর্মকর্তাদের এক-তৃতীয়াংশ ‘প্রেতাত্মা’। কারণ, তাঁরা চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। যদিও কাগজে-কলমে তাঁদের নাম এখনো আছে। .....................।
লিংকঃ https://www.prothomalo.com/northamer...A6%B9%E0%A6%A4
Comment