Announcement

Collapse
No announcement yet.

চায়নার কসাইখানা (৪র্থ ও শেশ পোস্ট )

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চায়নার কসাইখানা (৪র্থ ও শেশ পোস্ট )

    "চায়নার কসাইখানা"

    (শেষ কিস্তি)


    সকাল থেকে চীন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান জিওফ্রি নাইসের মনের অবস্থা খুব খারাপ। অথচ আজ তার মন খারাপ হবার কথা ছিলোনা। সমীকরণ অনুসারে হাফ ছেড়ে বাঁচার কথা তার, বিশাল একটা কাজ করে ফেলার তৃপ্তিতে আচ্ছন্ন হয়ে থাকার কথা তার। প্রায় ১ বছর ধরে অমানষিক পরিশ্রম করতে হয়েছে তার টিমের প্রত্যেক সদস্যকে। রাত দিন এক করে খেটেছেন তিনিও। ৫০ জনেরও বেশী মানুষের অভিজ্ঞতা শুনতে হয়েছে তাকে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে। গাদা গাদা তথ্য প্রমাণ নিয়ে তার টিমের সামনে হাজির হয়েছে বিশ্বের আনাচে কানাচে থেকে আসা ইনভেস্টিগেটর, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, লেখক, গবেষক। যাচাই বাছাই করতে হয়েছে সেগুলোও। অনেক দীর্ঘ রাতজাগা, অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চীন ট্রাইবুনাল নিশ্চিত করেছে আসলেই এক মারাত্মক ঘটনা ঘটে গেছে।

    চেয়ারমায়ন হিসেবে জিওফ্রি নাইসের কাঁধে ভার পড়েছে বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করা একুশ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি! এর আগেও এমন কঠিন দায়িত্ব পালন করেছেন জেনোসাইড এক্সপার্ট নাইস। ব্যারিস্টার হিসেবে কাজ করেছেন ৪৮ বছর, ৩৪ বছর কাজ করেছেন বিচারক হিসেবে, কিন্তু আজকে তার মন কিছুতেই স্থির হচ্ছেনা। মন দিতে পারছেন না কিছুতেই। বারবার মাথার মধ্যে ঘাই মারছে একটাই প্রশ্ন- এরকমও হওয়া সম্ভব?

    লন্ডন।
    জুন ১৭,২০১৯।
    প্রশস্ত হলরুম গিজগিজ করছে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা সাংবাদিক, গবেষক, মানবাধিকার কর্মী,আইনজীবীতে। একটু এলোমেলোভাবে যে যার সিট খুঁজে নিচ্ছে। চীন ট্রাইবুন্যালের লিগ্যাল কাউন্সেল হামিদ সাবাই মাইক্রোফোনে ঘোষণা করলেন, জিওফ্রি নাইস আসছেন, উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করুন।

    সবাই আসন গ্রহণ করার পর মাইক্রোফোন টেনে নিয়ে কথা বলা শুরু করলেন জিওফ্রি। মুহূর্তে নীরব হয়ে গেলো হলরুমের গুঞ্জন। পিনপতন নীরবতার মাঝে জিওফ্রি কাঁপা কাঁপা গলায় বলে গেলেন একুশ শতকের সবচেয়ে নির্মম, অস্বস্তিকর, চেপে রাখা সত্য…

    ‘দ্যা চায়না ট্রাইবুনাল এই সিদ্ধান্তে এসে উপনীত হয়েছে যে চীন সরকার ফালুন গং, উইঘুর, কাযাখ বন্দীদের থেকে ব্যাপকমাত্রায় জোরপূর্বক অর্গান হারভেস্টিং করাচ্ছে বছরের পর বছর জুড়ে। জীবন্ত বন্দীদের দেহ থেকেই কিডনি, লিভার, হার্ট, ফুসফুস,কর্নিয়া, স্কিন কেটে নিয়ে বিক্রি করছে চীন। অসংখ্য লোক কেনো নিখোঁজ হচ্ছে, কেনো রহস্যময়ভাবে মারা যাচ্ছে তাঁর সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা চীন সরকারের কাছে নেই। যেমন নেই এতো কমসংখ্যক দাতা, মেডিকেল ইনফাস্ট্রাকচার থাকার পরেও কীভাবে তারা এতো বেশী সংখ্যক অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছে তার জবাব।

    হান চাইনিজ পুরুষদের সাথে উইঘুরদের জোর করে বিয়ে দেয়া, গুম, খুনসহ অনেক অনেক কারণ আছে চায়নার বিরুদ্ধে অর্গান হারভেস্টিং এর এই অভিযোগ বিশ্বাস করার। আধুনিক সময়ে মুসলিমদের ওপর চালানো ‘সাংস্কৃতিক গনহত্যা’র খুব সামান্য একটা অংশ উঠে এসেছে এই অর্গান হারভেস্টিং এ পুরো চিত্রটা আরো বিশাল, ভয়াবহ।

    আমাদের হাতে আসা তথ্য প্রমাণ এটাই নিশ্চিত করে যে চীনের অর্গান হারভেস্টিং গত শতাব্দীর সবচেয়ে জঘন্য অপরাধগুলোর সমপরিমাণ অপরাধ। গ্যাস চেম্বারে ইহুদীদের গনহত্যা, রুয়ান্ডার গনহত্যার মতোই ভয়াবহ এই অপরাধ

    চীন সরকার, চীনের ডাক্তার, মেডিকেল স্টাফ, মেডিকেল ইন্সটিটিউট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে এয়ারলাইন্স, ট্রাভেল কোম্পানী, ফিনান্সিয়াল এজেন্সি, ইন্সুরেন্স, ল ফার্ম, টুরিস্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান… এদের সাথে কথা বলার সময় প্রত্যেকেরই মাথায় থাকতে হবে যে তারা একদল ক্রিমিনালের সাথে কথা বলছে। [29]

    ট্রাইবুনাল, চীন সরকারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো তারা যেনো প্রতিনিধি পাঠায় লন্ডনে, শুনানিতে, কিন্তু সরকার কোনো আগ্রহ দেখায়নি। চীন একই গীত গেয়ে গিয়েছে বারবার- চীনের বিরুদ্ধে অর্গান হারভেস্টিং এর যে অভিযোগ উঠেছে তা সর্বৈব মিথ্যা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ পর্যন্ত সরকার কোনো প্রমাণই হাজির করতে পারেনি তাদের দাবীর পক্ষে। [30]

    অর্গান ডোনারের সংখ্যা এবং অপারেশন সংখ্যার যে বিশাল গড়মিল ছিলো তা ‘ভুগিচুগি’ মেরে ঠিক করতে চেয়েছিলো সরকার। কিন্তু গবেষকদের কাছে কঠিন ধরা খেয়ে গেছে। অসংখ্য গবেষক জানিয়েছে ব্যাকক্যালকুলেশন করে, অর্থাৎ উত্তর মিলিয়ে উল্টো হিসেব কষে সরকার হিসাব মিলাতে চেয়েছে।

    আগ্রহী পাঠকদের জন্য
    চায়না ট্রাইবুনালের ওয়েবসাইট লিংক- https://chinatribunal.com/
    ফাইনাল জাজমেন্ট রিপোর্ট - https://chinatribunal.com/final-judgement-report/
    রিডিং ম্যাটেরিয়ালস- https://chinatribunal.com/reading-material/

    এতো জঘন্য অপরাধ করার পরেও বেকসুর খালাস পেয়ে যাচ্ছে চীন। চীনের গায়ে ফুলের টোকাটা পর্যন্ত দিচ্ছেনা কেউ। খুবই কম প্রেস কাভারেজ পেয়েছে চীন ট্রাইবুনাল। অথচ দেখেন ট্রাইবুনালের সদস্যরা কতো বাঘা বাঘা পন্ডিত ব্যক্তি। চেয়ারম্যান জিওফ্রি নাইস কিউসি ৪৮ বছর ধরে ব্যারিস্টারি করেছেন, বিচারক ছিলেন ৩৪ বছর। United Nations’ International Criminal Tribunal এ যুগোস্লোভিয়া ইস্যুতে সারবিয়ান প্রেসিডেন্ট Slobodan Milošević এর বিচার পরিচালনা করেছিলেন এই জিওফ্রিই। ট্রাইবুনালের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন অ্যামেরিকা, ইংল্যান্ড, মালেয়শিয়া, ইরান থেকে আসা নামজাদা প্রফেসর, মানবাধিকার আইনজীবী। কেউ যখন সামনে আসছিলোনা তখন একুশ শতকের সবচেয়ে জঘন্য, সিস্টেমেটিক মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন এরা কিন্তু বিশ্বের তাবত বড় বড় সংবাদ মাধ্যমে এদের নিয়ে কোনো মাতামাতিই হয়নি। এই লেখা লেখার আগে আমাদের যেমন কোনো ধারণা ছিলোনা চায়না ট্রাইবুন্যাল নিয়ে তেমনি আমরা শতোভাগ নিশ্চিত আপনাদেরও কেউই বোধহয় নাম শোনেননি চীন ট্রাইবুনালের! [31]

    অভিমান ভরা গলায় হামিদ সাবাই বলছিলেন, যারা চীনকে সবসময় সাপোর্ট করে আসে এই ব্যাপারে তারা মুখে তালা দিয়ে আছে। ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সোসাইটি দেখেও না দেখার ভান করছে।

    স্যার জিওফ্রি নাইস ব্যথিত গলায় জানালেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর কর্তব্য ছিলো হতভাগ্য মানুষগুলোকে রক্ষা করার। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় অনেকেই চীনের অর্গান হারভেস্টিং এর ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করছে। কারণ এই ‘সন্দেহ’ তাদের দিচ্ছে উইঘুর কাযাখ মুসলিমদের ব্যাপারে উদাসীন থাকার লাইসেন্স- অর্ডার পাওয়া মাত্রই যাদের জীবন্ত শরীর থেকে অর্গান কেটে নেয়া হয়’ । [32]

    নিজেকে একবার কল্পনা করুন উইঘুর, কাযাখদের জায়গায়। কতোটা কষ্ট নিয়ে মারা যাচ্ছে উইঘুররা, চিন্তা করুন একবার! শরীরের কোথাও একটু কেটে গেলে, ব্লেডের আচড় লাগলেই যন্ত্রণায় জীবন শেষ হয়ে যায় আমাদের! সেখানে আপনার শরীর থেকে ঠান্ডা মাথায় কিডনি, লিভার কেটে নেয়া হলে কতোটা তীক্ষ্ণ বেদনায় ভরে যাবে আপনার পুরো দেহ। অথবা চিন্তা করুন, আপনার বাবা মা, ছোটো ভাইবোন বা আপনজনের কথা। কল্পনা করুন, ওদের কারো ডান বুকে গুলি করেছে হান ফায়ারিং স্কোয়াড। মাটিতে পড়ে গিয়ে তীব্র যন্ত্রণায় আকাশবাতাস কাঁপিয়ে কাতরাচ্ছে আপনার বাবা, মা। ধারালো ছুরি নিয়ে এসে ঝটপট বুক, পেট চিরে ফেলে একটা একটা করে ফুসফুস, কিডনি কেটে নিচ্ছে হান কসাই। চোখের কোণ ঘেষে নেমে আসা সরু একটা কান্নার ধারা মিশে যাচ্ছে রক্তের স্রোতে। এক পোচে উপড়ে ফেলা হল মমতাময়ী মায়ের সেই চোখটাও। অথবা চিন্তা করুন, আপনার সন্তানের কথা, ছোটো ভাই বোনের কথা। ও একটু ব্যাথা পেলে আপনি অস্থির হয়ে ওঠেন। খেলতে বা হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়ে ওর চোখে জল আসলে মনে হয় আপনার দুনিয়াটা ওলটপাল্ট হয়ে গিয়েছে। এখন ভাবুন, আপনার প্রাণপ্রিয় সন্তান বা ভাইবোনকে হান সার্জন কুটি কুটি করে কেটে ফেলছে! কতোটা কষ্ট পাবেন আপনি?

    আমাদের নেতা সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুসলিম উম্মাহ একটা দেহের মতো।

    ‘পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া-মায়া ও স্নেহ-মমতার দিক থেকে গোটা মুসলিম সমাজ একটি দেহের সমতুল্য। যদি দেহের কোনো একটি অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তাহলে বাকি সব অঙ্গ-বিনিদ্রা ও জ্বরাক্রান্ত হয়ে আঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গের সঙ্গে সমব্যথায় ব্যথিত হয়।’ [33]


    আমরা কী এই উম্মাহর অংশ হতে পেরেছি? আমরা কী আমাদের উইঘুর কাযাখ ভাইবোনদের জন্য ব্যাথিত? আমাদের নিজেদের ভাই বোন, বাবা মাকে যদি এভাবে কেউ পশুর মতো জবাই করতো তাহলে আমরা যতোটা ব্যাথিত হতাম উইঘুর কাযাখ ভাইবোনদের জন্য কী তার এক কানাকড়িও ব্যাথা বেদনা অনুভব করি আমরা?


    হয়তো কিছুটা মন খারাপ আমাদেরও হয় ফেইসবুক স্ক্রল করার সময় উইঘুরদের সংবাদ জেনে। কোনো ভিডিও দেখে। কিছুক্ষণ আনমনা হয়ে থাকি, কষে শুয়োরের বাচ্চা বলে গালি দেই চাইনিজদের। তারপর আবার ফিরে যাই আবার স্বাভাবিক জীবনে। খুব সতর্ক থাকি, যাতে ‘কৃত্রিম কোনো গ্লানিবোধ’ আমাদের পেয়ে না বসে। আমাদের সাজানো গোছানো নিশ্চিন্ত নির্ভাবনাময় জীবনে মন খচখচানির অনুভূতি যেন চলে না আসে তার জন্য ঘিরে রাখি আমাদের বুকের সীমান্ত। মেতে উঠি হাসি ঠাট্টায়, শুষে নিতে চাই জীবনের সকল রং, রুপ, রস, গন্ধ। এসি রুমে বসে দারস দিয়ে, ফেইসবুকে দু চারটা ইসলামী পোস্ট দিয়ে উম্মাহর বিশাল খেদমত করে ফেলি। তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে নরম বিছানায় বউকে জড়িয়ে ধরে ঘুম দেই। .

    যদি আমাদের নিজেদের বাবা মার ওপর এমন বিভীষিকা নেমে আসতো তাহলে আমরা কী এভাবে চুপ করে থাকতাম? শুধু দু’আই করে যেতাম? আর কিছু করার নেই আমাদের? সত্যিই কিছু করার নেই? আমরা কী আসলেই এক দেহ এক উম্মাহর অংশ?


    ফালুন গঙের অর্গান হারভেস্টিং নিয়ে সাড়াজাগানো বই লিখা হয়েছিলো। বিশ্ববাসীকে সচেতন করা হয়েছিলো। উইঘুর কাযাখদের জন্য কেউ কী এমন কিছু করবে?


    একসময় দুষ্ট, চঞ্চল বাচ্চাদের মানবপাচারের গল্প শুনিয়ে ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়াতেন মা’রা। বাবু, ঘুমাও, না হলে ছেলেধরা এসে তোমাকে ধরে নিয়ে যাবে। তারপর ইয়া বড় এক ছুরি দিয়ে কেটে নিবে তোমার কলিজা, এক পোচে কেটে নিবে হৃদপিণ্ড, কচকচ করে চিবিয়ে খাবে। বাবু ঘুমাও’। রাজ্যের ভয় নেমে আসতো বাবুটার চোখে। ছোট্টবুকের দুপদুপানি নিয়ে ভয়ে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরতো সে। তারপর একসময় ঘুমিয়ে যেতো !
    ঘুমিয়ে গিয়েছি আমরা, ঘুমিয়ে গিয়েছে মুসলিম উম্মাহ। শিশুর মতোই ঘুমিয়ে গেছে আমাদের নেতারা, উম্মাহর তথাকথিত কান্ডারিরা । [34,35]



    (শেষ)


    আগের কিস্তিগুলো পড়ুন
    চায়নার কসাইখানা (প্রথম / দ্বিতীয় কিস্তি) https://www.dawahilallah.com/showthr...B%26%232494%3B
    চায়নার কসাইখানা (তৃতীয় কিস্তি) https://www.dawahilallah.com/showthr...%26%232463%3B)
    চায়নার কসাইখানা (চতুর্থ কিস্তি) https://www.dawahilallah.com/showthr...%26%232463%3B)


    রেফারেন্সঃ
    [29] China Tribunal Final Judgment Film - 2019 (English)- https://tinyurl.com/tm76f4r
    [30] New Horrors: #China Harvesting Muslim Organs in Concentration Camps -- https://tinyurl.com/u3gqc3k
    [31] Bloody Harvest—How Everyone Ignored the Crime of the Century- https://tinyurl.com/te6lshr
    [32] China Tribunal Final Judgment Film - 2019 (English)- https://tinyurl.com/tm76f4r
    [33] মুসলিম : ৬৭৫১
    [34] Dr. Enver Tohti: Chinese regime harvesting organs from Uighur detainees in the concentration camps- https://tinyurl.com/vd74bjp
    [35] Muslims Are Being “Slaughtered on Demand” For Their Organs in China- https://tinyurl.com/shzzwgd

  • #2
    আহ! আমাদের মুসলিমদের আজ কী হয়ে গেল!? কোনো মুসলিম কি নেই..যে উইঘুর ও কাযাখ মুসলিমদের রক্তের বদলা গ্রহণ করবে? আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে এর যথাযথ বদলা নেয়ার তাওফিক দান করুন,আমীন ইয়া রব্বাশ-শুহাদায়ি ওয়াল মুজাহিদীন!
    বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
    কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

    Comment

    Working...
    X