খাওয়ার জন্য আর ঘাসও পাচ্ছে না সিরিয়ার মানুষ
আবু আবদুল রহমান চারদিন ধরে কিছু খাননি। ক্ষুধা ও দুর্বলতায় আবদুল রহমান ও তার পরিবারের লোকজন ঘরের মধ্যে নড়াচড়া করাই কমিয়ে দিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, যে শক্তি শরীরে অবশিষ্ট আছে নড়াচড়া করলে তাও শেষ হয়ে যাবে। আবদুল রহমান ও তার পরিবার সিরিয়ার মাদায়া শহরে বাস করছেন।
‘শহরে জীবিত কোনও বিড়াল বা কুকুর নেই। এমনকি যে গাছের পাতা খেয়ে আমরা এতদিন ছিলাম তাও এখন আর সহজে পাওয়া যাচ্ছে না’, ওই শহরের বাসিন্দা আলি সাদ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে এভাবেই খাদ্যাভাবের কথা বলছিলেন।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে ২৫ কিলো মিটার উত্তর-পশ্চিমের শহর মাদায়া। শহরের বাসিন্দারা অপুষ্টিতে ভুগছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনী জুলাইয়ে শহরটিতে অবরোধ আরোপের পর থেকে জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহও কমে গেছে। রেডক্রস জানিয়েছে, নিজেদের উষ্ণ রাখতে শহরের বাসিন্দারা প্লাস্টিক পোড়াচ্ছে।
রহমান জানান, এই পরিস্থিতিতে দিন যতই গড়াচ্ছে তার পরিবারের বেঁচে থাকার আশাও কমে যাচ্ছে। বাস্তব পরিস্থিতি বলে বোঝানোর চেষ্টা করা ধুলোজমা মাটিতে এয়ারব্রাশিং করার মতো- নিস্তেজ কণ্ঠে বলে যান তিনি।
সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বুধবার জানায়, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত মাদায়া শহরে শিশুসহ অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসাদ বাহিনীর অবরোধ ও পুঁতে রাখা মাইনের কারণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ আসাদ বাহিনীকে সহযোগিতা দিচ্ছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়,মাদায়াতে অন্তত তিনশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্ট জানান, মাদায়ার প্রায় ৪০ হাজার মানুষের খাবার ও ওষুধের যোগান নেই বললেই চলে।
দামেস্ক’র রেড ক্রসের মুখপাত্র পাওয়েল মাদায়ার পরিস্থিতি ভয়ানক বলে জানান। তিনি বলেন, ‘মানুষ ক্ষুধার্ত এবং প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও নেই বিদ্যুৎ কিংবা জ্বালানি।’ স্থানীয় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানান, লোকজন বেঁচে থাকার জন্য ঘাস খাওয়া শুরু করেছে। ডা. খালেদ মোহাম্মদ বলেন,‘আমরা অসুস্থদের দুধ সরবরাহ করতে পারছি না। আজও (বুধবার) অপুষ্টির কারণে দশ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।’
সিরিয়ার আসাদবিরোধী জাতীয় জোট মাদায়ার পরিস্থিতিকে ‘মানবিকতার বিপর্যয়’ হিসেবে সতর্ক করেছে।
জানুয়ারিতে জাতিসংঘের উদ্যোগে জেনেভাতে শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা। গত ৫ বছর ধরে চলমান সংঘর্ষে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন
http://www.bd-first.net/newsdetail/detail/34/181370
আবু আবদুল রহমান চারদিন ধরে কিছু খাননি। ক্ষুধা ও দুর্বলতায় আবদুল রহমান ও তার পরিবারের লোকজন ঘরের মধ্যে নড়াচড়া করাই কমিয়ে দিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, যে শক্তি শরীরে অবশিষ্ট আছে নড়াচড়া করলে তাও শেষ হয়ে যাবে। আবদুল রহমান ও তার পরিবার সিরিয়ার মাদায়া শহরে বাস করছেন।
‘শহরে জীবিত কোনও বিড়াল বা কুকুর নেই। এমনকি যে গাছের পাতা খেয়ে আমরা এতদিন ছিলাম তাও এখন আর সহজে পাওয়া যাচ্ছে না’, ওই শহরের বাসিন্দা আলি সাদ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে এভাবেই খাদ্যাভাবের কথা বলছিলেন।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে ২৫ কিলো মিটার উত্তর-পশ্চিমের শহর মাদায়া। শহরের বাসিন্দারা অপুষ্টিতে ভুগছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনী জুলাইয়ে শহরটিতে অবরোধ আরোপের পর থেকে জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহও কমে গেছে। রেডক্রস জানিয়েছে, নিজেদের উষ্ণ রাখতে শহরের বাসিন্দারা প্লাস্টিক পোড়াচ্ছে।
রহমান জানান, এই পরিস্থিতিতে দিন যতই গড়াচ্ছে তার পরিবারের বেঁচে থাকার আশাও কমে যাচ্ছে। বাস্তব পরিস্থিতি বলে বোঝানোর চেষ্টা করা ধুলোজমা মাটিতে এয়ারব্রাশিং করার মতো- নিস্তেজ কণ্ঠে বলে যান তিনি।
সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বুধবার জানায়, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত মাদায়া শহরে শিশুসহ অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসাদ বাহিনীর অবরোধ ও পুঁতে রাখা মাইনের কারণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ আসাদ বাহিনীকে সহযোগিতা দিচ্ছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়,মাদায়াতে অন্তত তিনশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্ট জানান, মাদায়ার প্রায় ৪০ হাজার মানুষের খাবার ও ওষুধের যোগান নেই বললেই চলে।
দামেস্ক’র রেড ক্রসের মুখপাত্র পাওয়েল মাদায়ার পরিস্থিতি ভয়ানক বলে জানান। তিনি বলেন, ‘মানুষ ক্ষুধার্ত এবং প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও নেই বিদ্যুৎ কিংবা জ্বালানি।’ স্থানীয় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানান, লোকজন বেঁচে থাকার জন্য ঘাস খাওয়া শুরু করেছে। ডা. খালেদ মোহাম্মদ বলেন,‘আমরা অসুস্থদের দুধ সরবরাহ করতে পারছি না। আজও (বুধবার) অপুষ্টির কারণে দশ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।’
সিরিয়ার আসাদবিরোধী জাতীয় জোট মাদায়ার পরিস্থিতিকে ‘মানবিকতার বিপর্যয়’ হিসেবে সতর্ক করেছে।
জানুয়ারিতে জাতিসংঘের উদ্যোগে জেনেভাতে শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা। গত ৫ বছর ধরে চলমান সংঘর্ষে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন
http://www.bd-first.net/newsdetail/detail/34/181370
Comment