এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তিন বছরের জন্য কাজের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন দেশটির সাধারণ নাগরিকেরা। ‘ট্যুর অফ ডিউটি’পরিকল্পনার আওতায সাধারণ নাগরিকদের এই সুযোগ দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। এই ব্যবস্থা ইজরায়েল চালু করেছে বহু আগেই। ইজরায়েলে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককেই বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে কিছুটা সময় কাটাতে হয়। এবার ভারতীয় নাগরিকদেরও সেই সুযোগ দিতে চলেছে সেনাবাহিনী।
নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তের ফলে এবার সাধারণ মানুষও তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। অফিসার-সহ বিভিন্ন পদমর্যাদায় কাজ করার সুযোগ পাবেন তারা। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ নন, আধাসেনা ও কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকেও কর্মীদের ভারতীয় সেনায় যুক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে। সাত বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার পরে ফের নিজের নিজের জায়গায় ফিরে যাবেন তারা।
জানা গেছে, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে আলোচনা করছেন ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধানরা। একবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলেই তা ঘোষণা করা হবে। এই সিদ্ধান্তের প্রধান উদ্দেশ্য হল মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেম আরো জাগিয়ে তোলা। সেইসঙ্গে ১৩ লাখ সেনা জওয়ানদের জীবন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি ওয়াকিবহাল করে তোলা।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল অমন আনন্দ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, 'সাধারণ মানুষকে সেনাবাহিনীতে যোগদান করানোর এই পদক্ষেপ সত্যিই নজিরবিহীন। প্রাথমিকভাবে ১০০ অফিসার ও ১০০০ কর্মীকে নিয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্যুর অফ ডিউটি’ বা ‘থ্রি ইয়ার্স শর্ট সার্ভিস’। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই এমন আছেন, যারা সেনা জওয়ান হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার না গড়তে চাইলেও আর্মির জীবন উপভোগ করে দেখতে চান। তাদের জন্য এটা দূরন্ত এক সুযোগ।'
সেনা সূত্রে খবর, এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে ভারতীয় সেনাবাহিনী আর্থিকভাবেও লাভবান হবে। কারণ বর্তমানে ১০ থেকে ১৪ বছরের জন্য জওয়ানদের সেনায় নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তিন বছরের জন্য কাউকে নিয়োগ করা মানে তার কাজের সময় অনেকটা কম। ফলে গ্রাচুইটি, পেনশন ও অন্যান্য প্যাকেজ তিনি পাবেন না। তার জন্য অনেক কম খরচ হবে সেনাবাহিনীর।
খরচ কতটা কম হতে পারে, তা নিয়ে একটা তুলনামূলক আলোচনা করেও দেখা হয়েছে। এই মুহূর্তে একজন জওয়ান প্রশিক্ষণ নিয়ে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার পর ১৪ বছর পরে তার অবসরের মাঝে প্রায় ৫ কোটি ১২ লাখ টাকা খরচ হয় তার পিছনে। যদি কোনো অফিসার র*্যাঙ্কের জওয়ান হন, তাহলে খরচ হয় ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কিন্তু সেখানে একজন তিন বছরের জন্য যুক্ত হলে তার পেছনে মাত্র ৮০ থেকে ৮৫ লাখ টাকা খরচ হবে। এই প্রকল্পের আওতায় যদি প্রথমে ১০০০ জওয়ান নেওয়া হয়, তাহলে সেখানেই সেনাবাহিনীর ১১ হাজার কোটি টাকার খরচ বাঁচে। এই টাকা সেনাকে আরো উন্নত করার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া যুব সম্প্রদায়ের জন্যও এটা বড় সুযোগ। কারণ এক বছরের প্রশিক্ষণ ও তিন বছরের কাজের পরে একটা ভাল চাকরি পাওয়ার সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে তাঁদের। এই সময়ের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস, নিয়মানুবর্তিতা, চাপ সামলানোর মতো অনেক গুণ তাদের মধ্যে গড়ে উঠবে। ফলে বড় কম্পানি তাদের কাজে নিতে চাইবে। এই পদক্ষেপ দু’দিক থেকেই লাভবান হতে পারে বলে মনে করছেন সেনা কর্মকর্তারা।
সূত্র- এনডিটিভি, দ্য ওয়াল।
নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তের ফলে এবার সাধারণ মানুষও তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। অফিসার-সহ বিভিন্ন পদমর্যাদায় কাজ করার সুযোগ পাবেন তারা। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ নন, আধাসেনা ও কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকেও কর্মীদের ভারতীয় সেনায় যুক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে। সাত বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার পরে ফের নিজের নিজের জায়গায় ফিরে যাবেন তারা।
জানা গেছে, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে আলোচনা করছেন ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধানরা। একবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলেই তা ঘোষণা করা হবে। এই সিদ্ধান্তের প্রধান উদ্দেশ্য হল মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেম আরো জাগিয়ে তোলা। সেইসঙ্গে ১৩ লাখ সেনা জওয়ানদের জীবন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি ওয়াকিবহাল করে তোলা।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল অমন আনন্দ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, 'সাধারণ মানুষকে সেনাবাহিনীতে যোগদান করানোর এই পদক্ষেপ সত্যিই নজিরবিহীন। প্রাথমিকভাবে ১০০ অফিসার ও ১০০০ কর্মীকে নিয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্যুর অফ ডিউটি’ বা ‘থ্রি ইয়ার্স শর্ট সার্ভিস’। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই এমন আছেন, যারা সেনা জওয়ান হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার না গড়তে চাইলেও আর্মির জীবন উপভোগ করে দেখতে চান। তাদের জন্য এটা দূরন্ত এক সুযোগ।'
সেনা সূত্রে খবর, এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে ভারতীয় সেনাবাহিনী আর্থিকভাবেও লাভবান হবে। কারণ বর্তমানে ১০ থেকে ১৪ বছরের জন্য জওয়ানদের সেনায় নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তিন বছরের জন্য কাউকে নিয়োগ করা মানে তার কাজের সময় অনেকটা কম। ফলে গ্রাচুইটি, পেনশন ও অন্যান্য প্যাকেজ তিনি পাবেন না। তার জন্য অনেক কম খরচ হবে সেনাবাহিনীর।
খরচ কতটা কম হতে পারে, তা নিয়ে একটা তুলনামূলক আলোচনা করেও দেখা হয়েছে। এই মুহূর্তে একজন জওয়ান প্রশিক্ষণ নিয়ে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার পর ১৪ বছর পরে তার অবসরের মাঝে প্রায় ৫ কোটি ১২ লাখ টাকা খরচ হয় তার পিছনে। যদি কোনো অফিসার র*্যাঙ্কের জওয়ান হন, তাহলে খরচ হয় ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কিন্তু সেখানে একজন তিন বছরের জন্য যুক্ত হলে তার পেছনে মাত্র ৮০ থেকে ৮৫ লাখ টাকা খরচ হবে। এই প্রকল্পের আওতায় যদি প্রথমে ১০০০ জওয়ান নেওয়া হয়, তাহলে সেখানেই সেনাবাহিনীর ১১ হাজার কোটি টাকার খরচ বাঁচে। এই টাকা সেনাকে আরো উন্নত করার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া যুব সম্প্রদায়ের জন্যও এটা বড় সুযোগ। কারণ এক বছরের প্রশিক্ষণ ও তিন বছরের কাজের পরে একটা ভাল চাকরি পাওয়ার সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে তাঁদের। এই সময়ের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস, নিয়মানুবর্তিতা, চাপ সামলানোর মতো অনেক গুণ তাদের মধ্যে গড়ে উঠবে। ফলে বড় কম্পানি তাদের কাজে নিতে চাইবে। এই পদক্ষেপ দু’দিক থেকেই লাভবান হতে পারে বলে মনে করছেন সেনা কর্মকর্তারা।
সূত্র- এনডিটিভি, দ্য ওয়াল।
Comment