ফ্রান্সে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অবমাননাকারী শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করেছে একজন মুসলিম।
ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিম প্যারিসের সান্ত-অনোরিন নামক স্থানে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে একজন ইতিহাসের শিক্ষককে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও সেটা নিয়ে আলোচনা করার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। জানা গেছে হামলাকারী মুসলিম ঐ স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক এবং তিনি একজন আফগান মুসলিম।
.
ফ্রান্সের ক্রুসেডার প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানে উপস্থিত হয়ে এই নব্য-ক্রুসেড নেতা দাবী করেন, "বাক-স্বাধীনতা(!) প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে প্রাণ হারালো একজন শিক্ষক।"
.
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলাকারী মুসলিম বড় একটি ছুরি ও এয়ারসফট পিস্তল নিয়ে আসেন। ওই শিক্ষক যে স্কুলে শিক্ষকতা করেন সেটার সামনেই সেই ইসলাম বিদ্বেষী শিক্ষকের ওপর মহান আল্লাহর নামে "আল্লাহু আকবর" তাকবীর দিয়ে হামলা করেন ওই মুসলিম। পুলিশ কাছাকাছি যাওয়ার আগেই ওই শিক্ষকের গলা কেটে ফেলেন হামলাকারী মুসলিম। এরপর পুলিশ সেখানে পৌঁছে হামলাকারীকে আত্মসমর্পন করতে বলে। কিন্ত হামলাকারী মুসলিম আত্মসমর্পন করতে অস্বীকৃতি জানালে ৬০০ মিটার দূর থেকে গুলি করে তাকে ঘটনাস্থলেই শহীদ করে ফেলে সন্ত্রাসী ফ্রেন্স পুলিশ।
.
জানা যায় ১০ দিন আগে ওই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন দেখিয়েছিলেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে বেশ কিছু সময় মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনা করেছিলো। ওই ঘটনার পর ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরাও শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলো। কিন্ত কথিত বাক-স্বাধীনতার অজুহাতে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
.
উল্লেখ্য, প্রকৃত ইসলামকে বিকৃত করে "ফ্রেন্স-ইসলাম" তৈরী করতে ইসলামের নানা বিধান বিকৃত করার পদক্ষেপ নিয়েছে ফ্রান্স সরকার। এছাড়া ইসলাম বিদ্বেষী নানা পদক্ষেপ এর কারণে ইতোমধ্যে মুসলিমদের আক্রোশের মুখে পড়েছে ফ্রান্স সরকার।
Collected
Comment