Announcement

Collapse
No announcement yet.

পৃথিবীতে লিবারেলদের পতন এবং ডানপন্থীদের উত্থান: বাস্তবতা, কারণ এবং শিক্ষা || " দ্বিতীয় পর্ব "

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পৃথিবীতে লিবারেলদের পতন এবং ডানপন্থীদের উত্থান: বাস্তবতা, কারণ এবং শিক্ষা || " দ্বিতীয় পর্ব "

    পৃথিবীতে লিবারেলদের পতন এবং ডানপন্থীদের উত্থান: বাস্তবতা, কারণ এবং শিক্ষা
    দ্বিতীয় পর্ব ( শেষ পর্ব )




    ডানপন্থীদের উত্থানের কারণ এবং এ থেকে মুসলিমদের শিক্ষা
    .
    ডানপন্থী দলগুলোর উত্থান বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তারা সাধারণ মানুষের আবেগ এবং বাস্তব সমস্যাগুলোর সাথে সংযুক্ত কৌশল ব্যবহার করে, যা তাদের নির্বাচনে সফল হতে সাহায্য করছে। নিচে ডানপন্থীদের উত্থানের কয়েকটি প্রধান কারণ এবং কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
    .
    ১. সাধারণ মানুষের বাস্তব সমস্যাগুলোকে কেন্দ্র করে প্রচারণাঃ
    .
    ডানপন্থীরা সাধারণ মানুষের চাকরি, নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার মতো সমস্যাগুলোকে তাদের প্রচারণার মূল বিষয় করে। ভারতে, মোদি সরকার নির্বাচনের আগে কৃষকদের ঋণ মওকুফ এবং ফসলের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা গ্রামীণ ভোটারদের আকৃষ্ট করেছিল। মোদি সরকারের "প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি" প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়েছিল। এর ফলে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।
    .
    যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প 'আমেরিকানদের জন্য চাকরি' নীতির ওপর জোর দিয়ে মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে অনেক সমর্থন পেয়েছিল। তার স্লোগান ছিল, 'মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন (MAGA)', যা আমেরিকান চাকরি এবং আমেরিকান পণ্যকে গুরুত্ব দেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে কর্পোরেট কর কমানো এবং বাণিজ্য সুরক্ষার নীতি গ্রহণ করে ২০১৮ সালে বেকারত্বের হার ৩.৫% এ নেমে আসে, যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।
    .
    ২. আবেগকে কেন্দ্র করে প্রচারণাঃ
    .
    ডানপন্থীরা জাতীয়তা, ধর্ম, এবং ঐতিহ্যের প্রতি মানুষের আবেগ কাজে লাগায়। তারা এমন বার্তা দেয় যা মানুষকে একত্রিত করে এবং একটি গোষ্ঠীর পরিচয় তৈরি করে। ভারতে মোদি সরকার "হিন্দুত্ববাদ" প্রচারণা চালিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী অনুভূতি তৈরি করেছে। এর ফলে তাদের ভোটব্যাংক শক্তিশালী হয়েছে।
    .
    যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের "MAGA" (Make America Great Again) স্লোগান আমেরিকানদের মধ্যে দেশপ্রেম এবং জাতীয় গৌরব বাড়িয়েছে। এটি মধ্যবিত্ত এবং গ্রামীণ জনগণের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছে।
    .
    তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ডানপন্থী রাজনীতির একটি ভালো উদাহরণ। সে মানুষের আবেগ, ধর্মীয় পরিচয় এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বারবার নির্বাচনে জিতেছে। এরদোয়ানের "অভ্যন্তরীণ শত্রু মোকাবিলা" এবং "পশ্চিমা হস্তক্ষেপ বিরোধিতা"র বার্তা মানুষের কাছে প্রাসঙ্গিক হয়েছে, যা তাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য এবং নিরাপত্তা অনুভূতি জাগিয়েছে।
    .
    ৩. সরল বার্তা এবং কার্যকর উদ্যোগঃ
    .
    ট্রাম্পের "MAGA" (Make America Great Again) ভিশন সাধারণ মানুষের আবেগের সাথে মিলেছে। তার সরল ও স্পষ্ট বার্তা মানুষদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছে। ইউরোপের ডানপন্থী দলগুলো "নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষা করো" এবং অভিবাসন বিরোধী বার্তা দিয়ে সহজেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
    .
    পোল্যান্ডে ডানপন্থী দল "ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (PiS)" অভিবাসন এবং জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তারা সহজ ভাষায় বার্তা দিয়ে এবং স্থানীয় সমস্যাগুলোতে মনোযোগ দিয়ে মানুষের মন জয় করেছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এবং তার দল "ফিদেজ" (Fidesz) ডানপন্থী জাতীয়তাবাদীর সফল উদাহরণ। অরবান ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে মানুষের সমর্থন পেয়েছে। তার নেতৃত্বে হাঙ্গেরি সামাজিক ও অর্থনৈতিক কৌশলগুলোর মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা শক্তিশালী করেছে। ২০১৫ সালের ইউরোপীয় অভিবাসী সংকটের সময়, অরবান দৃঢ়ভাবে অভিবাসনের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, "হাঙ্গেরি ইউরোপকে রক্ষা করছে।"
    .
    ৪. প্রাক-নির্বাচনী অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানঃ
    .
    ডানপন্থী দলগুলো প্রায়ই নির্বাচনের ঠিক আগে জনগণের কাছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আসে, যা তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে। ভারতে মোদি সরকার ফ্রি রেশন, নগদ অর্থ বিতরণ, এবং প্রধানমন্ত্রীর 'আবাস ইয়োজনার' মতো প্রকল্প চালু করে সাধারণ মানুষদের মধ্যে প্রভাব ফেলে। এই প্রকল্পগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থা বাড়িয়েছে।
    .
    যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টি কর কমানো এবং মধ্যবিত্তদের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করে জনগণের সমর্থন পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২০ সালে ট্যাক্স রিফান্ড বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত করেছিল। রিপাবলিকান পার্টির এই নীতিমালা সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থা বাড়িয়েছে।
    .
    ডানপন্থীরা সাধারণ মানুষের বাস্তব সমস্যা, আবেগ, এবং সহজ বার্তার মাধ্যমে তাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। তারা এমন অঙ্গীকার করে যা সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে পারে এবং নিজেদের জীবনের সাথে মিল রাখে মনে করে। এই কৌশলগুলো তাদের উত্থানের প্রধান কারণ এবং বিশ্ব রাজনীতিতেও তাদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে।
    .
    ইসলামপন্থীদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় -
    .
    বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে লিবারেলদের পতন এবং ডানপন্থীদের উত্থান ইসলামপন্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে এসেছে। এটি শেখায় যে, নেতৃত্ব দিতে হলে শুধু তাত্ত্বিক কথা বা আদর্শ প্রচার করাই যথেষ্ট নয়; বরং মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ, আবেগকে সঠিকভাবে ব্যবহার এবং বাস্তবসম্মত কার্যক্রম চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামপন্থীদের উচিত নিজেদের কৌশল এবং বার্তা সাধারণ মানুষের সাথে মিল রেখে তৈরি করা। নিচে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
    .
    ১. মানুষের প্রয়োজনকে গুরুত্বের সাথে দেখাঃ
    .
    ইসলামপন্থীদের অবশ্যই সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো, যেমন - শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান এবং নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের এমন কর্মসূচি চালু করতে হবে যা মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে। ইসলামিক শাসনের ইতিহাসে খলিফা ওমর ইবনে খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর নেতৃত্বে অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল। তিনি ব্যক্তিগতভাবে জনগণের সমস্যার সমাধানে মনোযোগ দিতেন এবং সবসময় সবার চাহিদা পূরণে চেষ্টা করতেন। শুধু ধর্মীয় আদর্শ প্রচার নয়, বরং স্থানীয় জনগণের জরুরি প্রয়োজনগুলো যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, খাদ্য, এবং আবাসন নিয়ে সরাসরি কাজ করা উচিত। মসজিদ, মাদ্রাসা বা ইসলামিক সংগঠনের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র, সস্তা শিক্ষা সহায়তা, খাদ্য বিতরণ ইত্যাদি কর্মসূচি শুরু করা যেতে পারে।
    .
    ২. আবেগ এবং বাস্তবতার সমন্বয়ঃ

    ইস.লাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের আত্মিক এবং শারীরিক উভয় প্রয়োজন পূরণ করে। ইসলামপন্থীদের উচিত ইসলামের মানবিক ও ন্যায়বিচারের বার্তা প্রচার করা এবং তা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সাথে মিলিয়ে তোলা। সামাজিক সমস্যাগুলো যেমন দারিদ্র্য কমানো বা শিশুদের শিক্ষা উন্নয়নের মতো বিষয়গুলিতে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে দেখানো দরকার। উদাহরণস্বরূপ, জাকাত সঠিকভাবে ব্যবহার করা এবং সুবাহি মক্তবের নিয়ম আবার চালু করা। শুধু ধর্মীয় আবেগ জাগানোই নয়; সেই আবেগকে সত্যিকার সমাধানে রূপান্তর করতে হবে। যেমন, "শরিয়াহ আইন" বলার পরিবর্তে, সেই আইনের সামাজিক কল্যাণমূলক দিকগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে (যেমন ন্যায়বিচার, সুদের বিরুদ্ধে অবস্থান, ধনী-গরিবের মধ্যে সম্পদ ভাগ করা) তা স্পষ্ট করা দরকার।
    .
    ৩. প্রযুক্তি ও মিডিয়ার সঠিক ব্যবহারঃ
    .
    ইসলামপন্থীদের উচিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসলামের বার্তা প্রচার করা। ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করতে এবং ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। পিআর ফার্ম এবং বট আইডির মতো টুলসের প্রচার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। ইসলামপন্থীরা বড় বই বা লেকচারের পরিবর্তে সহজ ভাষা, গ্রাফিক্স, ভিডিও এবং ছোট লেখায় ইসলামের কল্যাণমুখী দিকগুলো তুলে ধরতে পারে। ইসলামফোবিয়া বা ভুল প্রচারণা মোকাবিলায় সোশ্যাল মিডিয়াতে শক্তিশালী ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ টিম থাকতে পারে, যারা গুজব বা উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার খণ্ডন করবে। এবং এগুলোর ব্যাপক ব্যবহার এবং প্রচার থাকতে হবে। অনলাইনে ইসলামের ইতিহাস, বিজ্ঞান, অর্থনীতি ইত্যাদির ওপর কোর্স বা লাইভ সেমিনার চালু করা যেতে পারে। ইসলামপন্থীরা ‘ইসলামিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ বা ডিজিটাল শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম গড়তে পারেন।
    .
    ৪. মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিরোধঃ
    .
    ইসলামফোবিয়া এবং মুসলিম বিরোধী প্রচারণা মোকাবিলার জন্য ইসলামপন্থীদের কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে। মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ তৈরি করতে হবে এবং সত্যের প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে, যাতে তারা মিথ্যা প্রচারণার শিকার না হয়। এর জন্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে আরও বেশি উপস্থিতি থাকতে হবে, ইনশাআল্লাহ্‌। ইসলামপন্থীদের দরকার শক্তিশালী গবেষণা দল, যারা তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করবেন। এতে মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়ে উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে।
    .
    পৃথিবীর বর্তমান রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে লিবারেলদের পতন এবং ডানপন্থীদের উত্থান আমাদের জন্য একটি বড় শিক্ষা। এটি দেখায় যে, মানুষ সেই নেতাদের পছন্দ করে, যারা তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা এবং আবেগ বুঝতে পারে এবং বাস্তবসম্মত সমাধান দিতে পারে। লিবারেলদের পতনের প্রধান কারণ হলো তাদের কথা এবং কাজের মধ্যে মিল না থাকা এবং আদর্শিক চিন্তাধারা বাস্তবতার সাথে না মিলানো। অন্যদিকে, ডানপন্থীরা মানুষের বাস্তব সমস্যা, আবেগ এবং স্থানীয় চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের রাজনৈতিক শক্তি বাড়িয়েছে।
    .
    ইসলামপন্থীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। মুসলমানদের নেতৃত্বকে অবশ্যই মানুষের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিতে হবে, আবেগ এবং বাস্তবতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে এবং মানুষের সাথে কার্যকর সংযোগ স্থাপন করতে হবে। শুধুমাত্র ধর্মীয় আদর্শ প্রচার করা নয়, বরং মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া মাধ্যমেই মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব শক্তিশালী হতে পারে।
    .
    এটি মনে রাখা জরুরি যে, মানুষ তাদের জীবনের মৌলিক চাহিদা, নিরাপত্তা, এবং ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চায়। মানুষ তার মৌলিক চাহিদা ও নিরাপত্তা খোঁজে, নেতৃত্ব কেবল তাত্ত্বিক হলেই হবে না। নেতৃত্ব কেবল তাত্ত্বিক নীতি নয়; বরং মানুষের চাহিদা, আবেগ এবং সামাজিক বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করতে হবে।
    .
    এ ব্যাপারে শাইখ আবু মুস/আব আস-সু/রী (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন, যার ব্যাপারে আমরা অনেকে উদাসীন থাকি। কথাটা ভাল ভাবে আমাদের অনুধাবন করা উচিৎ। শাইখ বলেন-
    الناس صحيح بَايعوا على الموت وعلى السمع والطاعة وعلى غيره ولكن الإنسان عندما يجوع ويجد إمرأته جائعة وولده مقتول فحتى لو أراد لن يستطيع أن يفكر بصورة صائبة، ولن يستطيع أن يجاهد بصورة صائبة، وسيعيد حسابَته مرة وأخرى ويقول لك "أنت لم تحمن، أنا أريد أن آكل قبل أن أجاهد"
    .
    এটা ঠিক যে, মানুষ আপনাকে বায়া-ত দিয়েছে মৃত্যুর উপর, শ্রবণ-আনুগত্যের উপর, আরও অন্য কিছুর উপর। কিন্তু মানুষ যখন ক্ষুধার্ত হবে, নিজ স্ত্রীকে ক্ষুধার্ত পাবে, সন্তানকে নিহত দেখবে, তখন সে চাইলেও সঠিক ভাবে চিন্তা করতে পারবে না, সঠিক ভাবে জিহা -দ করতে পারবে না। সে তার হিসাব বার বার কষবে। আপনাকে বলবে, আপনি আমাকে রক্ষা করছেন না, আমি জিহা -দের আগে খেতে চাই ......
    .
    আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, ডানপন্থীরা বামপন্থীদের মতই আমাদের শত্রু। আমাদের দাওয়াতে উভয় দলকেই রদ করতে হবে। উভয় দলই চরমপন্থি, আর ইসলাম হচ্ছে মধ্যমপন্থা। ইসলামকে সঠিকভাবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করলে বাম ও ডান-উভয় পন্থাই মুখ থুবড়ে পড়বে, ইনশাআল্লাহ। সামনে কোন দিন সম্ভব হলে ডানপন্থীদের রদ করার উপর লেখার ইচ্ছা রইলো। ওয়া মা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ।​

  • #2
    আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের এই ফিতনাগুলো মোকাবেলার তাওফিক দিন, আমীন

    Comment

    Working...
    X