Announcement

Collapse
No announcement yet.

অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর, গুলিতে নিহত ৮ মুসলিম, আহত ৯৪ পুলিশকর্মী

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর, গুলিতে নিহত ৮ মুসলিম, আহত ৯৪ পুলিশকর্মী

    অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর, গুলিতে নিহত ৮ মুসলিম, আহত ৯৪ পুলিশকর্মী


    ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের আযাদকামী নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শনিবার ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উপত্যকা।



    এ দিন বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ চৌকিতে হামলা চালায়, নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুড়তে থাকে।

    শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় আট জনের। ৯৪ জন পুলিশ আহত হন। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।


    কুলগানের বিজেপি অফিসেও হামলা চালায় জনতা। বুরহানের মৃত্যুতে শুক্রবার থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা। শনিবার তা আছড়ে পড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর। কার্ফু জারি সত্ত্বেও বুরহানের মরদেহ নিয়ে রাস্তায় নামেন ৫০ হাজার বাসিন্দা। যখনই কোনো স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সেনার গুলিতে নিহত হয়েছে, বাসিন্দারা রাস্তায় নেমেছেন, বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেছেন। এমনকী সেনার সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন। বুরহানের ক্ষেত্রেও সেই একই ছবি ধরা পড়েছে শুক্রবার এবং শনিবারেও।

    হিজবুল মুজাহিদীনের নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবারেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শ্রীনগর এবং দক্ষিণ কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকা। ওয়ানির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দারা বিক্ষোভ সামিল হন। শ্রীনগর-অনন্তনাগ জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে দফায় দফায় গণ্ডগোল হয় তাদের।

    পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন আঁচ পেয়েই রাজ্য প্রশাসন শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মীরের বেশ কিছু জায়গায় কার্ফু জারি করে। রাজ্যের উত্তেজনা প্রবণ জায়গাগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থগিত করে দেওয়া হয় অমরনাথ যাত্রা।



    এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জম্মুর ভগবতী নগর যাত্রী নিবাস থেকে অমরনাথ যাত্রার জন্য পূণ্যার্থীদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বারামুলা থেকে বানিহাল পর্যন্ত রেল পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    বুরহানের মৃত্যুর প্রতিবাদে হুরিয়ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি গিলানি এবং জেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক শনিবার হরতালের ডাক দিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভূস্বর্গ যেন ফের উত্তপ্ত না হয়, সে কারণে হুরিয়তের একাধিক শীর্ষ নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

    জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এ দিন সকালে টুইট করেন, ‘এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে বড় ঘটনা। উপত্যকায় কয়েক দিন উত্তেজনা থাকবে। বুরহানই বন্দুকের শিকার প্রথম নয়, আবার শেষও নয়।’

    শুক্রবার সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বুমডুরা গ্রামে কাশ্মীরে হিজবুলের ‘পোস্টার বয়’ বুরহান ওয়ানিসহ তিনজনকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।

    স্কুল শিক্ষকের ছেলে বুরহান কাশ্মীরের একজন হাই প্রোফাইল হিজবুল নেতা ছিলেন। গত মাসে তার এক সহযোগী তারিক পণ্ডিত পুলওয়ামাতে আত্মসমর্পণ করার পরেই ওয়ানির নেটওয়ার্ক একটু দুর্বল হয়ে পড়ে। তারিককে কাজে লাগিয়ে বুরহানের গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করেছিল পুলিশ। ২০১৪-য় সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্দুক হাতে বুরহানসহ বেশ কয়েক জন কাশ্মীরি যুবককে দেখা গিয়েছিল। তারিকও তাদের মধ্যে একজন ছিল।

    সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার পত্রিকা

    http://gazwatul-hind.blogspot.com/20...g-post_18.html







  • #2
    আল্লাহ কাশ্মিরের মাজলুম মুসলমানদেরকে সাহায্য করুন! তাদেরকে সঠিক জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনুন!

    Comment


    • #3
      এভাবেেই এক ইস্যুতে মুসলিমরা ক্ষেপে উঠবে আর শুরু হবে অব্যাহত লড়াই । পরিশেষে কাশ্মির মুসলিমদের দখলে চলে আসবে। সে অপেক্ষায় রইলাম।

      Comment


      • #4
        " People are naming their boys after my son. I haven’t seen my son for six years. People are taking care of my son—in last six years, that means 2190 days or we can say 5,000 meals. People provided him all the support. People are looking after him. It means Burhan has support. "

        Muzaffar Ahmad Wani
        (Hizbul Mujahideen commander Burhan Muzaffar Wani's father )


        Comment


        • #5
          এখনও অশান্ত কাশ্মির: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪

          হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতের পর থেকে এখনও বিক্ষুব্ধ জম্মু-কাশ্মির। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।


          কাশ্মিরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কাশ্মির স্ক্যান জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিক্ষুব্ধ জনতা ক্রালপুরা কুপওয়ারা থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হন। অপর ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর ফলে বুরহান ওয়ানির ‘এনকাউন্টার’এর পর থেকে চলমান বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।


          নিরাপত্তাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। এর মধ্যে দুই শতাধিক আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, ৪৫০ জনেরও বেশি পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন।


          আহতদের বেশ কয়েকজন চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। প্যালেটের আঘাতে অন্তত ১৯ জন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। শতাধিক আহতের চোখে সার্জারি করা হয়েছে। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।


          চলমান বিক্ষোভে রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ওষুধ ও খাদ্যের সংকট শুরু হয়েছে। এই সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


          উল্লেখ্য, শুক্রবার সেনা ও পুলিশ যৌথ অভিযানে বুরহান ওয়ানিসহ তিন হিজবুল যোদ্ধা নিহত হন। হিজবুল কমান্ডার নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রীনগর এবং দক্ষিণ কাশ্মিরের বেশ কিছু এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় তার বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলাকালে বুরহান নিহত হন বলে দাবি করে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলওয়ামা ও শ্রীনগরের আংশিক অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে কারফিউর আওতায় আসে আশে-পাশের আরও বেশকিছু অঞ্চল।


          সূত্র: কাশ্মির স্ক্যান।

          Comment

          Working...
          X