ভারত অধিকৃত শ্রীনগর উপনির্বাচনে সহিংসতায় আটজন নিহত হওয়ার পর জম্মু-কাশ্মিরের আঞ্চলিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ও সেখানকার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আজ আমরা সরকারের নীতির পতন দেখতে পাচ্ছি।’ তিনি সরকারকে ‘ঘুম থেকে উঠতে’ বলে সতর্ক করেছেন, ‘কাশ্মিরে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে ভারত।’
১০ এপ্রিল শ্রীনগর লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। তা গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। শ্রীনগরের লোকসভা উপনির্বাচনে প্রার্থীদের অন্যতম ছিলেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা ফারুক আবদুল্লাহ। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করা হচ্ছিল কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির ভাই ক্ষমতাসীন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী তাসাদ্দুক মুফতিকে।
রবিবার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রোববার আট ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনাটি ঘটে শ্রীনগরের কাছে বাদগাম জেলায়। রাজ্য পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সহিংসতায় তাদের প্রায় একশ’ সদস্য আহত হয়েছেন।
ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন, জঙ্গিবাদ দমন করতে ভারত ও পাকিস্তানকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে আসতে হবে।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘পছন্দ করুন, আর না-ই বা করুন, জঙ্গিবাদের হুমকি মোকাবিলার জন্য আপনাদের পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতেই হবে। আর সে আলোচনা এখনই শুরু করা উচিত। আপনাদের ঘুম ভেঙে সামরিক সমাধানের বদলে রাজনৈতিক সমাধানে কাজ শুরু করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাশ্মিরের এক খারাপ ভবিষ্যৎ দেখছি। তরুণরা ক্রমেই ফুঁসে উঠছে, যা এর আগে দেখা যায়নি। তাদের সঙ্গে কথা বলুন। হুরিয়ত এবং অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও কথা বলুন। একটি সমাধানের পথে এগিয়ে যান।’
গত বছর জুলাইয়ে কাশ্মিরের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানিকে অনন্তনাগে কথিত এনকাউন্টারে হত্যা করা হয়। এর পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো উপত্যকা। এ সময়ে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৪ জন বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ১২ হাজার। কারফিউ চলে প্রায় একশ’ দিন ধরে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাশ্মিরের স্বাধীনতার দাবি আন্দোলনরত সংগঠনগুলোর জোট হুরিয়ত কনফারেন্স উপনির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়ায় কাশ্মিরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ১০ তারিখের নির্বাচনে মাত্র সাত শতাংশ ভোট পড়ার পর ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য অনন্তনাগ লোকসভা আসনের উপনির্বাচনের দিন পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ২৫ মে উপনির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মির সরকারের বক্তব্য, রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচনের একেবারেই উপযুক্ত নয়।
নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে রাজ্য প্রশাসনের আশঙ্কা, বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়ে অশান্তি সৃষ্টি করে নির্বাচন পণ্ড করে দিতে পারে। তাই নির্বাচনের দিন পিছিয়ে দেওয়া হলো। মাঝের এই সময়ের মধ্যে উপত্যকার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে।
এদিকে আজও কাশ্মির উপত্যকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। হুরিয়তের ডাকা হরতালের ফলে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, দফতর, এমনকি স্কুল-কলেজও। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিশাল সংখ্যায় পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
১০ এপ্রিল শ্রীনগর লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। তা গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। শ্রীনগরের লোকসভা উপনির্বাচনে প্রার্থীদের অন্যতম ছিলেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা ফারুক আবদুল্লাহ। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করা হচ্ছিল কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির ভাই ক্ষমতাসীন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী তাসাদ্দুক মুফতিকে।
রবিবার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রোববার আট ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনাটি ঘটে শ্রীনগরের কাছে বাদগাম জেলায়। রাজ্য পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সহিংসতায় তাদের প্রায় একশ’ সদস্য আহত হয়েছেন।
ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন, জঙ্গিবাদ দমন করতে ভারত ও পাকিস্তানকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে আসতে হবে।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘পছন্দ করুন, আর না-ই বা করুন, জঙ্গিবাদের হুমকি মোকাবিলার জন্য আপনাদের পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতেই হবে। আর সে আলোচনা এখনই শুরু করা উচিত। আপনাদের ঘুম ভেঙে সামরিক সমাধানের বদলে রাজনৈতিক সমাধানে কাজ শুরু করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাশ্মিরের এক খারাপ ভবিষ্যৎ দেখছি। তরুণরা ক্রমেই ফুঁসে উঠছে, যা এর আগে দেখা যায়নি। তাদের সঙ্গে কথা বলুন। হুরিয়ত এবং অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও কথা বলুন। একটি সমাধানের পথে এগিয়ে যান।’
গত বছর জুলাইয়ে কাশ্মিরের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানিকে অনন্তনাগে কথিত এনকাউন্টারে হত্যা করা হয়। এর পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো উপত্যকা। এ সময়ে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৪ জন বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ১২ হাজার। কারফিউ চলে প্রায় একশ’ দিন ধরে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাশ্মিরের স্বাধীনতার দাবি আন্দোলনরত সংগঠনগুলোর জোট হুরিয়ত কনফারেন্স উপনির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়ায় কাশ্মিরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ১০ তারিখের নির্বাচনে মাত্র সাত শতাংশ ভোট পড়ার পর ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য অনন্তনাগ লোকসভা আসনের উপনির্বাচনের দিন পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ২৫ মে উপনির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মির সরকারের বক্তব্য, রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচনের একেবারেই উপযুক্ত নয়।
নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে রাজ্য প্রশাসনের আশঙ্কা, বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়ে অশান্তি সৃষ্টি করে নির্বাচন পণ্ড করে দিতে পারে। তাই নির্বাচনের দিন পিছিয়ে দেওয়া হলো। মাঝের এই সময়ের মধ্যে উপত্যকার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে।
এদিকে আজও কাশ্মির উপত্যকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। হুরিয়তের ডাকা হরতালের ফলে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, দফতর, এমনকি স্কুল-কলেজও। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিশাল সংখ্যায় পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
(বাংলাট্রিবিউন
)
Comment