Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিলিস্তিনে আবার ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিলিস্তিনে আবার ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ

    ফিলিস্তিনে আবার ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ



    ১০ অক্টোবর,২০১৫



    আরটিএনএন
    রামাল্লা: ইহুদিবাদী ইসরাইলি সৈন্যদের গুলিতে অক্টোবরের শুরু থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ১৬ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০,০০০ লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    এর মধ্যে শুক্রবার একদিনেই গাজা সিটি এবং খান ইউনিসে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৬ জন নিহত এবং ২০০ লোক আহত হয়েছে।

    ইসরাইলি বাহিনীর বিষাক্ত গ্যাস বোমা ও তাজা রাবার বুলেটে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত অনেকের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    এদিকে শনিবার সকালে গাজা থেকে ইসরাইলে একটি রকেট হামলা হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

    অন্যদিকে একই সময় অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

    গত মাসে পূর্ব জেরুজালেমে মুসলমানদের অত্যন্ত পবিত্র মসজিদ আল আকসায় নামাজ আদায়ে ইসরাইলি বাহিনী দমনপীড়ন চালালে সর্বশেষ সহিসংতার সৃষ্টি হয়।

    এরপর থেকে সহিংসতা দিনদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    গাজা শাসনকারী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া শুক্রবার জুমার খুতবায় ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের চলমান এই প্রতিরোধ আন্দোলনকে ইন্তিফাদা বা গণঅভ্যুত্থান বলে আখ্যা দিয়েছেন।

    তিনি ইন্তিফাদাকে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এটাই একমাত্র পথ যার মাধ্যমে স্বাধীনতা আসবে।’ .......................


    -----------------------------------------


    ----------------------------------------
    ইসরাইলি হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত


    ০৯ অক্টোবর,২০১৫

    আরটিএনএন
    কাবুল: ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন।

    শুক্রবার অবরুদ্ধ গাজার পূর্বাঞ্চলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

    গত মাসে ইসরাইলি নিরাপত্তাবাহিনী আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ধরপাকড় শুরু করলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। গত কয়েকদিনে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এসবের প্রেক্ষাপটে শুক্রবারের ঘটনা ঘটে।

    ফিলিস্তিনি মেডিকেল সোর্স বলছে, এঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছে। ৭০ এর অধিক আহত হয়েছে। সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    কয়েকশত ফিলিস্তিনি সীমান্তের কাছে বিক্ষোভ করতে গেলে ইসরাইলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে গুলি ছোঁড়া শুরু করে ইসরাইলি পুলিশ।

    অপর দিকে বিক্ষোভে উপস্থিত থাকা গাজাভিত্তিক ফটোগ্রাফার এজ জানুন বলেছেন, ‘এখানকার অবস্থা খুবই খারাপ। এর আগে তারা (পুলিশ) সাধারণত সীমান্তে গুলি করেছে। কিন্তু আজকের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ।’

    তিনি আরো বলেন, ‘প্রথমে তারা রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ছোঁড়ে। এরপর আমাদের ওপর তাজা গোলাবারুদ ছোঁড়ে। বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন এবং হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে, কারণ সংঘর্ষ অব্যাহত আছে।’

    ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘দুইশত ফিলিস্তিনি সীমান্তের কাছে এসে বিক্ষোভ করে। তারা সেনাদের ওপর পাথর ছুঁড়ে মারে এবং জলন্ত টায়ার গড়িয়ে দেয়। এতে সেনারা গুলি চালায়।’

    তিনি বলেন, ‘পাঁচজনকে সরাসরি গুলি করা হয়েছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি, তবে সংঘর্ষ এখনো চলছে।’


    http://anonym.to/?http://www.rtnn.ne...4#.VhkRT1LLfkc

  • #2
    নিউজ

    ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি ইসরাইল ‘বেশি হিংস্র’

    ২২ অক্টোবর,২০১৫


    আরটিএনএন
    ঢাকা: ইসরাইলি প্রশাসন ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর ‘নির্বিচারে সহিংসতা’ চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

    চলতি মাসে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে এরই মধ্যে ১০ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে।

    ডিফেন্স ফর চিল্ড্রেন ইন্টারন্যাশনাল (ডিসিআই) ফিলিস্তিনের এ্যাটর্নি ও ইন্টারন্যাশনাল এ্যাডভোকেসি অফিসার ব্রাড পার্কার বলেন, ‘ইসরাইলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনীদের ওপর সহিংস আক্রমণ ক্রমশ বাড়িয়ে চলছে। তাদের নির্বিচার আক্রমণের শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশুরা।’

    জাতিসংঘের মানবতা বিষয়ক সমন্বয় বিভাগের তথ্যমতে, পশ্চিম তীর ও গাজায় গত ৬ থেকে ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীর আঘাতে ২০১ ফিলিস্তিনি শিশু আহত হয়েছে।
    পার্কার বলেন, ‘অনেক বিশেষজ্ঞের গবেষণায় দেখা গেছে ফিলিস্তিনি শিশুরা বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, আঘাত পরবর্তী বিকলঙ্গতাসহ বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় ভুগছে।’

    গত মাসে আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনীর অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে আসছে ইসরাইলি সেনা ও অবৈধ বসতিতে বসবাসকারী ইহুদিরা।

    চলতি মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।

    বিক্ষোভকারী তরুণ ও শিশুদের ওপর অচেতন করা গ্যাস, স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও ভারী গোলাবারুদ ব্যবহার করছে ইসরাইলি সেনারা।

    এমনকি অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের হত্যার উদ্দেশ্যে সরাসরি গুলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    রামাল্লাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আল-হকের গবেষণা ও এ্যাডভোকেসি বিষয়ক সমন্বয়ক মেনাসাবেলা ইসরাইলের এ আচরণকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।


    সূত্র: আলজাজিরা



    -----------------------------------------------------


    ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে আরো তিন ফিলিস্তিনি নিহত

    ২২ অক্টোবর,২০১৫


    জেরুজালেম: ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বরতার মধ্যে ফিলিস্তিনিরা বুধবার আরো একটি সংঘাতময় দিন পার করেছে।

    এদিন সহিংসতায় কমপক্ষে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫ ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছে।

    স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, বুধবার পশ্চিম তীরের হেবরনে সহিংসতায় ইসরাইলি বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত টিয়ার গ্যাসে দম বন্ধ হয়ে হাশেম আল আজেহ নামক ৫৪ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি নিহত হন।

    এদিকে রামাল্লার নিকট অবৈধ এডাম বসতির বাহিরে এক ইসরাইলি সৈন্যকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টার অভিযোগে ওই সৈন্যর গুলিতে মুতাজ আতাল্লা কাসেম নামক ২২ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি যুবকের মৃত্যু হয়।

    এছাড়া বুধবার রাতে পশ্চিমতীরের গাস এজিয়ন বসতিতে এক ফিলিস্তিনি ইসরাইলি সেনাদের উপরে তার গাড়ি উঠিয়ে দিলে ৪ সৈন্যআহত হয় এবং বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছে, ওই গাড়িচালককে সেনারা গুলি করে হত্যা করেছে।

    এদিকে চলমান সহিংসতায় চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ৫৩ ফিলিস্তিনি ও ৮ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।


    সূত্র:আলজাজিরা




    -----------------------------------------------


    যুদ্ধ ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর যেভাবে প্রভাব ফেলছে


    22 Oct, 2015

    সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে বলে মন্তব্য করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপ। ইসরাইলি সেনাদের আল-আকসা মসজিদ জবরদখল করাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

    মানবাধিকার গ্রুপের বরাত দিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে চলমান সংঘাতের সময় ফিলিস্তিনি শিশুদের ব্যাপারে ইসরাইল সীমাহীন বাড়াবাড়ির (disproportionate violence) পন্থা অবলম্বন করছে। শুধুমাত্র চলতি (অক্টোবর ২০১৫) মাসেই অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে যায়নবাদী ইসরাইলি দখলদাররা।

    ফিলিস্তিনে কর্মরত শিশুদের রক্ষামূলক আন্তর্জাতিক সংস্থা “ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল (Defence for Children International (DCI)- Palestine)” এর আইন কর্মকর্তা (attorney and international advocacy officer) ব্রাড পার্কার (Brad Parker)আলজাজিরাকে বলেন, পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত পরিবেশে ইসরাইলি সেনারা কোন ধরনের নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি নির্মম আচরণ করছে।

    মানবাধিকার ইস্যুতে সহায়তা প্রদানের জন্য কর্মরত জাতিসংঘের অফিস (United Nations Office for the Coordination of Humanitarian Affairs) এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র ৬-১২ অক্টোবর ২০১৫-এই এক সপ্তাহেই অন্তত ২০১জন ফিলিস্তিনি শিশু ইসরাইলি হামলায় আহত হয়েছে। আর এটা কেবলমাত্র পশ্চিম তীর (West Bank) এবং গাজা অঞ্চলের ইসরাইলি বাড়াবাড়ির হিসাব।

    হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবাধিকার সুরক্ষা কেন্দ্রের (Harvard University's Carr Centre for Human Rights) গবেষক ফেডারিকা ডি আলেজান্দ্রা (Federica D'Alessandra) বলেন, অল্প সময়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া নৃশংসতা ফিলিস্তিনি শিশুদের মধ্যে গভীর মানসিক ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।

    গবেষক আলেজান্দ্রা আরও বলেন, বহু বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে জানা গেছে হতাশা, উৎকণ্ঠা, বিপদ-পরবর্তী উদভ্রান্তি এবং নানা ধরনের মানসিক জটিলতা ক্রমেই আচ্ছন্ন করে ফেলছে ফিলিস্তিনি শিশুদের।

    উল্লেখ্য গত মাসে (সেপ্টেম্বর ২০১৫) আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি দখলদারদের জবরদখলকে কেন্দ্র করে পশ্চিম তীর, গাজা ও ইসরাইলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

    এ সময় ইসরাইলি সেনারা টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট এবং তাজা বিস্ফোরক ব্যবহার করে। শুধু ফিলিস্তিনি প্রতিবাদকারীই নয়, ফিলিস্তিনের কোমলমতি শিশুদের ওপরও ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা এসব অস্ত্র প্রয়োগ করে।
    চলতি (অক্টোবর ২০১৫) মাসের ১ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি দখলদাররা। নিরস্ত্র বিক্ষোভকারী থেকে শুরু করে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ ফিলিস্তিনিরাও রেহাই পায়নি এই হত্যাযজ্ঞ থেকে। এ সময় ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের মুখে নিহত হন ৮ ইসরাইলি।

    সমালোচকরা মনে করেন, শিশুদের বিরুদ্ধে অন্তত ভয়াবহ শক্তিমত্তা প্রদর্শন করার কোন দরকার ছিল না। শিশুদের সাথে সকল পরিস্থিতিতেই শিশুসুলভ আচরণ করাই সার্বজনীন মানবাধিকারের দাবি। কিন্তু এই মানবিক বিষয়টিকে প্রতিনিয়ত ভূলুন্ঠিত করে চলছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা।

    ইসরাইলের গুলি কর ও হত্যা কর নীতি:

    ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল (Defence for Children International (DCI)- Palestine) এর আইন কর্মকর্তা (attorney and international advocacy officer) ব্রাড পার্কার আরও বলেন, ক্রমেই এমন আশংকা দানা বাঁধছে যে ইসরাইল “গুলি কর ও হত্যা কর (shoot-to-kill)” নীতি অবলম্বন করেছে। আর এই নীতির ফলে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের প্রবণতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

    গত ৫ অক্টোবর (২০১৫) বেথেলহেমে বিক্ষোভ করার সময় আবদেল রহমা আবদুল্লাহ (Abdel Rahman Abdullah)নামের ১৩ বছরের এক ফিলিস্তিনি কিশোরের ওপর নির্মমভাবে গুলি চালায় ইসরাইলি দখলদাররা।

    পরে অবশ্য গতানুগতিক পন্থায় ইসরাইল দাবি করে ভুলক্রমে ওই কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে। ইসরাইলি সেনারা মূলত কাছের আরেকজন বয়স্ক ফিলিস্তিনিকে টার্গেট করে গুলি ছুড়েছিল।

    মানবাধিকার আইন কর্মকর্তা ব্রাড পার্কার আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বিধান অনুযায়ী, জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে একান্ত বাধ্য হয়েই কেবল গুলি করা যায়। অথচ আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই যে কোন বিক্ষোভ চলাকালেই কোন ধরনের হামলা বা ঝুঁকির শিকার না হয়েও ইসরাইলি সেনারা অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করে চলছে। গত মাসে ইসরাইল অন্তত ৫ বার শান্তিপূর্ণভাবে চলা ফিলিস্তিনি বিক্ষোভের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়।

    গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর ২০১৫) ইসরাইলি সেনারা ইয়াবাদ (Yabad) নামের পশ্চিম তীরের উত্তরের একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং সাকের হারজাল্লাহ (Saqir Herzallah) নামের ১৪ বছরের এক তরুনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। এ সময় সাকের তাদের পারিবারিক ওলিভ বাগানে কাজ করছিল। স্থানীয় গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়।

    ফিলিস্তিনের রামাল্লাকেন্দ্রীক মানবাধিকার সংগঠন আল হকের (Al-Haq) দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১ অক্টোবর (২০১৫) থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি দখলদাররা ফিলিস্তিনিদের ওপর এ ধরনের অন্তত ৪৮টি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার মধ্যে ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর চালানো সহিংস আক্রমনও রয়েছে।

    আল হকের আইন গবেষক (legal research and advocacy coordinator) মনা সাবেল্লা (Mona Sabella) অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর এমনকি ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর চালানো নৃশংস হামলার জন্য ইসরাইলিদের খুব কমই জবাবদিহি করা হয়। এসব অমানবিক কার্যকলাপের জন্য কখনই তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হয় না বললেই চলে। (সূত্র: আলজাজিরা ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম)




    -----------------------------------------


    ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র কখনোই হবে না : ইসরাইলি মন্ত্রীর হুঙ্কার

    20 Oct, 2015

    ইসরাইলের বিচারমন্ত্রী আয়েলেত শ্যাকেড জোর গলায় বলেছেন, 'আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। কখনোই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে না।'

    তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে সম্প্রতি এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেছেন।

    তিন সপ্তাহ আগেও তিনি আল জাজিরার আপফ্রন্টে একই ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।

    কেবল এই বিচারমন্ত্রীই নন, আরো অনেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিপক্ষে থাকার কথা ঘোষণা করেছেন।

    এমনকি বর্তমান প্রধামন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ১৯৭৮ সালে তরুণ বয়সে বলেছেন, আলাদা রাষ্ট্র গঠনের অধিকার কি ফিলিস্তিনিদের আছে। না, তাদের সেই অধিকার নেই।

    সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর


    Comment

    Working...
    X