রাখাইনের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা রোহিঙ্গারা পানি আর ঘাস খেয়ে বেঁচে আছে: রয়টার্স
মিয়ানমারের রাখাইনের সহিংসতা কবলিত এলাকাগুলোর একটি মংডু। এই শহরের উত্তর দিকে প্রধান সড়কের ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রামগুলোতে বসবাস ছিল কয়েক হাজার মানুষের। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে সবগুলো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।হানাদার বাহিনীর ভয়ে তাদের বনজঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। সেখানে ঘাস আর পানি খেয়ে তাদের মানবেতর জীবনযাপনের চিত্র উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
ওই গ্রামের একজন শিক্ষক রয়টার্সকে বলেছেন, “৮০০টি পরিবারের মধ্যে এখন আছে মাত্র ১০০টির মতো পরিবার। যারা রয়ে গেছে তাদেরকে সেনাদের সঙ্গে লুকোচুরি করে থাকতে হচ্ছে। কারণ সেনারা সকালে গ্রামে আসে। সেনারা গ্রামে আসলে তারা জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে এবং রাতে বাড়িতে ফিরে আসে।”
তিনি আরো বলেন, “আজ সন্ধ্যায় খাওয়ার মতো কোনও খাবার নেই আমাদের। কী করার আছে? আমরা জঙ্গলের কাছাকাছি থাকি। সেখানে অনেক ঘাস রয়েছে; যা আমরা খাচ্ছি। এরপর একটু পানি সংগ্রহ করে পান করছি। এভাবেই বেঁচে আছি আমরা।” সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলার সরকারি নির্দেশনা থাকায় ওই শিক্ষকের নাম প্রকাশ করেনি রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিনিধিরা উত্তর রাখাইনের মংডু, বুথিয়াডাউং ও রাথেডাউং এলাকায় দুবার গিয়েছেন। তারা মংডু থেকে সবচেয়ে বেশি সহিংসতাকবলিত এলাকা কিয়েইন চাউং এলাকায় সড়ক পথে গাড়ি চালিয়ে গেছেন। প্রতিনিধিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে খুব কম কথা বলেছেন। কারণ বহিরাগত কারও সঙ্গে কথা বলতে তারা ভয় পাচ্ছে। বেশিরভাগ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে ফোনে সেই এলাকাগুলোতে যেখানে সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে না।
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ৩০টি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর ভয়াবহ ও নৃশংস সামরিক অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যে সহিংসতায় প্রায় হাজারখানেক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
রাথেডাউং এলাকাতেও রাখাইন ও রোহিঙ্গাদের বাস ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ও ত্রাণকর্মীদের মতে, সেখানে ২১টির মধ্যে ১৬টি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট পাঁচটি গ্রামে খাবার ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বাসিন্দারা রাখাইনদের হুমকির মুখে রয়েছে।
সেনাবাহিনীর অভিযানে সহযোগিতাকারী দুই রাখাইন বৌদ্ধ কর্মকর্তার সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে কথা বলা হয়। এদের একজন টিন টুন সয়েই। সে জানায়, সেনাবাহিনীর ত্বরিত পদক্ষেপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলার পরদিনই প্রায় এক হাজার ৬০০ বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। টিন টুন বলেন, তারা (রোহিঙ্গা) সংখ্যায় অনেক বেশি। তারা এখানে থাকলে আমাদের বেঁচে থাকা মুশকিল। তারা সবাই চলে যাওয়াতে আমি খুব খুশি।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে, উত্তর রাখাইনের ২১৪টি গ্রামের কয়েক হাজার বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ- http://www.reuters.com/article/us-my...-idUSKCN1C219I
মিয়ানমারের রাখাইনের সহিংসতা কবলিত এলাকাগুলোর একটি মংডু। এই শহরের উত্তর দিকে প্রধান সড়কের ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রামগুলোতে বসবাস ছিল কয়েক হাজার মানুষের। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে সবগুলো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।হানাদার বাহিনীর ভয়ে তাদের বনজঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। সেখানে ঘাস আর পানি খেয়ে তাদের মানবেতর জীবনযাপনের চিত্র উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
ওই গ্রামের একজন শিক্ষক রয়টার্সকে বলেছেন, “৮০০টি পরিবারের মধ্যে এখন আছে মাত্র ১০০টির মতো পরিবার। যারা রয়ে গেছে তাদেরকে সেনাদের সঙ্গে লুকোচুরি করে থাকতে হচ্ছে। কারণ সেনারা সকালে গ্রামে আসে। সেনারা গ্রামে আসলে তারা জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে এবং রাতে বাড়িতে ফিরে আসে।”
তিনি আরো বলেন, “আজ সন্ধ্যায় খাওয়ার মতো কোনও খাবার নেই আমাদের। কী করার আছে? আমরা জঙ্গলের কাছাকাছি থাকি। সেখানে অনেক ঘাস রয়েছে; যা আমরা খাচ্ছি। এরপর একটু পানি সংগ্রহ করে পান করছি। এভাবেই বেঁচে আছি আমরা।” সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলার সরকারি নির্দেশনা থাকায় ওই শিক্ষকের নাম প্রকাশ করেনি রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিনিধিরা উত্তর রাখাইনের মংডু, বুথিয়াডাউং ও রাথেডাউং এলাকায় দুবার গিয়েছেন। তারা মংডু থেকে সবচেয়ে বেশি সহিংসতাকবলিত এলাকা কিয়েইন চাউং এলাকায় সড়ক পথে গাড়ি চালিয়ে গেছেন। প্রতিনিধিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে খুব কম কথা বলেছেন। কারণ বহিরাগত কারও সঙ্গে কথা বলতে তারা ভয় পাচ্ছে। বেশিরভাগ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে ফোনে সেই এলাকাগুলোতে যেখানে সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে না।
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ৩০টি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর ভয়াবহ ও নৃশংস সামরিক অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যে সহিংসতায় প্রায় হাজারখানেক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
রাথেডাউং এলাকাতেও রাখাইন ও রোহিঙ্গাদের বাস ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ও ত্রাণকর্মীদের মতে, সেখানে ২১টির মধ্যে ১৬টি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট পাঁচটি গ্রামে খাবার ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বাসিন্দারা রাখাইনদের হুমকির মুখে রয়েছে।
সেনাবাহিনীর অভিযানে সহযোগিতাকারী দুই রাখাইন বৌদ্ধ কর্মকর্তার সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে কথা বলা হয়। এদের একজন টিন টুন সয়েই। সে জানায়, সেনাবাহিনীর ত্বরিত পদক্ষেপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলার পরদিনই প্রায় এক হাজার ৬০০ বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। টিন টুন বলেন, তারা (রোহিঙ্গা) সংখ্যায় অনেক বেশি। তারা এখানে থাকলে আমাদের বেঁচে থাকা মুশকিল। তারা সবাই চলে যাওয়াতে আমি খুব খুশি।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে, উত্তর রাখাইনের ২১৪টি গ্রামের কয়েক হাজার বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ- http://www.reuters.com/article/us-my...-idUSKCN1C219I
Comment