بسم الله الرحمن الرحيم
(জেল থেকে আফিয়া সিদ্দিকী রহিমাহুল্লাহর একটি চিঠি, চিঠিটা পড়লে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না)
“বাগরাম জেল থেকে মজলুম মহিয়সী আফিয়া সিদ্দিকীর লেখা সেই চিঠিটি! হে আমার ঘুমন্ত/মৃত জাতি” আমার নাম ডঃ আফিয়া সিদ্দিকি, আমি Massachusetts Institute Of Technology (USA) থেকে লেখাপড়া শেষ করেছি, আমার তিনটি বাচ্চা রয়েছে আমি তাদের খবর জানিনা, হয়ত তাদেরকে মেরে ফেলা হয়েছে, আমার উদ্দেশ্য ছিল আপনাদের সহায়তায় অর্জিত আমার উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আমার জাতিকে সাহায্য করা। আমাকে অপহরন করা হয় আমার নিজের দেশ ‘পাকিস্তান’ থেকে আমার দেশের তথাকথিত নামধারি মুরতাদ সেনাবাহিনী দ্বারা এবং আমায় বিক্রি করে দেয়া হয় আমেরিকার কাছে। এর পর তারা আমার উপর চালায় পাশবিক অত্যাচার। নির্দয়ভাবে নির্যাতন করা হয়, আঘাত করা হয় এবং ধর্ষন করা হয় একের পর এক! আমার কয়েদী নম্বার দেয়া হয়েছে ৬৫০। আমি এখন মুসলিম দেশ আফগানিস্তানের কারাগার থেকে আমার বন্দী জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে দোয়া করি আমার ভাই সেই মুহাম্মদ বিন কাশিমের জন্য। আমি সারা বিশ্বের জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশের জনসংখ্যার মুসলিমদের বোন। ইসলামের শুরু থেকেই আমার জাতি ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত তাদের ভাই/বোনদের হেফাযত করার জন্য এবং শত্রুর কবল থেকে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য। হযরত উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বলেছিলেন- “যদি কোন কুকুর ফুরাত নদীর ধারে মরে থাকে তাহলে শেষ বিচারের দিন উমর সেই কুকুরের মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে। এই মুহুর্তে আমি নিজে নিজে হাঁটতে পারিনা! আমার একটি কিডনি বের করে ফেলা হয়েছে! বুকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে এবং আমার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে! আমার জন্য সব ধরনের মেডিক্যাল এবং বৈধ ও সাধারণ সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাখান করা হয়েছে! এটা নিশ্চিত নয় যে আমি বেচে থাকব না মরে যাব। আমি তোমাদের জন্য বোন হওয়ার যে মর্যাদা তার রদ চাই। আমি একজন গর্বিত মুসলিম, আমি নূরে মুজাসসাম হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার অনুসারী, হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু), ওমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু), উসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু), আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু), এবং তার সকল সাহাবী ও তার সকল সঠিক ও সত্যপন্থি অনুসারীদের কন্যা। আমি তোমাদের বোন হতে চাইনা! আমার উদ্ধারকারী আল্লাহ এবং আমি তার কাছে সাহায্য ও করুণা চাই, তোমাদের কাছে নয়। আমি কোন পাকিস্তানি হতে চাই না, যাদের রয়েছে ৬ লক্ষ সৈন্যবহিনী, বিশেষ ফোর্স এস,এস,জি কিন্তু তারা আমাকে রক্ষা করতে ব্যার্থ হয়েছে। তারা আমাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু যখন আমি সাহায্যের জন্য তাদের দিকে তাকিয়ে থাকলাম তখন তারা আমাকে প্রত্যাখান করল। আমার সেই মুসলিম উম্মাহ বলে ডাকা! লোকদের রয়েছে লক্ষ লক্ষ সৈন্যবাহিনী সব ধরনের ট্যাঙ্ক, বন্দুক, জঙ্গি বিমান, সাবমেরিন, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে জবাব দেয়ার ব্যাপারে তোমাদের চিন্তার কিছু নেই, কারন তোমাদেরকে এ বিষয়ে কোন প্রশ্নও করা হবেনা এবং তোমাদেরকে কোন উত্তরও দেওয়া লাগবেনা। এজন্য যে তোমরা কেউ মুসলিম হিসাবে আমার ভাই নও, এবং ইসলাম ধর্মের জন্য ও ইসলামের অন্তর্ভুক্তির জন্য ও আমার ভাই নও। তোমরা কেউ আরবী, কেউ ইরানী, কেউ ফিলিস্তিনী, কেউ আফ্রিকানী, কেউ পাকিস্তানী, কেই হিন্দুস্তানী, কেউ বাংলাদেশী, কেউ মালেশিয়ানী, কেউ ইন্দোনেশিয়ানী, কেউ দক্ষীন এশীয় হতে পারো, তবে তোমরা কেউ মুসলিম নও। আমার কথায় যদি তোমর তোমরা আঘাত পেয়ে থাক তাহলে আমি খুবই দুঃখিত, কিন্তু তোমরা কেউ এটা চিন্তাও করতে পারবে না যে, আমি কি ধরনের আঘাত প্রাপ্ত!
By-ডঃ আফিয়া সিদ্দিকী,
(জেল থেকে আফিয়া সিদ্দিকী রহিমাহুল্লাহর একটি চিঠি, চিঠিটা পড়লে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না)
“বাগরাম জেল থেকে মজলুম মহিয়সী আফিয়া সিদ্দিকীর লেখা সেই চিঠিটি! হে আমার ঘুমন্ত/মৃত জাতি” আমার নাম ডঃ আফিয়া সিদ্দিকি, আমি Massachusetts Institute Of Technology (USA) থেকে লেখাপড়া শেষ করেছি, আমার তিনটি বাচ্চা রয়েছে আমি তাদের খবর জানিনা, হয়ত তাদেরকে মেরে ফেলা হয়েছে, আমার উদ্দেশ্য ছিল আপনাদের সহায়তায় অর্জিত আমার উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আমার জাতিকে সাহায্য করা। আমাকে অপহরন করা হয় আমার নিজের দেশ ‘পাকিস্তান’ থেকে আমার দেশের তথাকথিত নামধারি মুরতাদ সেনাবাহিনী দ্বারা এবং আমায় বিক্রি করে দেয়া হয় আমেরিকার কাছে। এর পর তারা আমার উপর চালায় পাশবিক অত্যাচার। নির্দয়ভাবে নির্যাতন করা হয়, আঘাত করা হয় এবং ধর্ষন করা হয় একের পর এক! আমার কয়েদী নম্বার দেয়া হয়েছে ৬৫০। আমি এখন মুসলিম দেশ আফগানিস্তানের কারাগার থেকে আমার বন্দী জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে দোয়া করি আমার ভাই সেই মুহাম্মদ বিন কাশিমের জন্য। আমি সারা বিশ্বের জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশের জনসংখ্যার মুসলিমদের বোন। ইসলামের শুরু থেকেই আমার জাতি ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত তাদের ভাই/বোনদের হেফাযত করার জন্য এবং শত্রুর কবল থেকে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য। হযরত উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বলেছিলেন- “যদি কোন কুকুর ফুরাত নদীর ধারে মরে থাকে তাহলে শেষ বিচারের দিন উমর সেই কুকুরের মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে। এই মুহুর্তে আমি নিজে নিজে হাঁটতে পারিনা! আমার একটি কিডনি বের করে ফেলা হয়েছে! বুকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে এবং আমার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে! আমার জন্য সব ধরনের মেডিক্যাল এবং বৈধ ও সাধারণ সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাখান করা হয়েছে! এটা নিশ্চিত নয় যে আমি বেচে থাকব না মরে যাব। আমি তোমাদের জন্য বোন হওয়ার যে মর্যাদা তার রদ চাই। আমি একজন গর্বিত মুসলিম, আমি নূরে মুজাসসাম হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার অনুসারী, হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু), ওমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু), উসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু), আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু), এবং তার সকল সাহাবী ও তার সকল সঠিক ও সত্যপন্থি অনুসারীদের কন্যা। আমি তোমাদের বোন হতে চাইনা! আমার উদ্ধারকারী আল্লাহ এবং আমি তার কাছে সাহায্য ও করুণা চাই, তোমাদের কাছে নয়। আমি কোন পাকিস্তানি হতে চাই না, যাদের রয়েছে ৬ লক্ষ সৈন্যবহিনী, বিশেষ ফোর্স এস,এস,জি কিন্তু তারা আমাকে রক্ষা করতে ব্যার্থ হয়েছে। তারা আমাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু যখন আমি সাহায্যের জন্য তাদের দিকে তাকিয়ে থাকলাম তখন তারা আমাকে প্রত্যাখান করল। আমার সেই মুসলিম উম্মাহ বলে ডাকা! লোকদের রয়েছে লক্ষ লক্ষ সৈন্যবাহিনী সব ধরনের ট্যাঙ্ক, বন্দুক, জঙ্গি বিমান, সাবমেরিন, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে জবাব দেয়ার ব্যাপারে তোমাদের চিন্তার কিছু নেই, কারন তোমাদেরকে এ বিষয়ে কোন প্রশ্নও করা হবেনা এবং তোমাদেরকে কোন উত্তরও দেওয়া লাগবেনা। এজন্য যে তোমরা কেউ মুসলিম হিসাবে আমার ভাই নও, এবং ইসলাম ধর্মের জন্য ও ইসলামের অন্তর্ভুক্তির জন্য ও আমার ভাই নও। তোমরা কেউ আরবী, কেউ ইরানী, কেউ ফিলিস্তিনী, কেউ আফ্রিকানী, কেউ পাকিস্তানী, কেই হিন্দুস্তানী, কেউ বাংলাদেশী, কেউ মালেশিয়ানী, কেউ ইন্দোনেশিয়ানী, কেউ দক্ষীন এশীয় হতে পারো, তবে তোমরা কেউ মুসলিম নও। আমার কথায় যদি তোমর তোমরা আঘাত পেয়ে থাক তাহলে আমি খুবই দুঃখিত, কিন্তু তোমরা কেউ এটা চিন্তাও করতে পারবে না যে, আমি কি ধরনের আঘাত প্রাপ্ত!
By-ডঃ আফিয়া সিদ্দিকী,
Comment