মাদরাসায় ঢুকে হাফেয মাসুদকে গুলি করে হত্যা
মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি ২০১৬ |
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় শহীদ হাফেয মাসুদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া (বড় মাদ্রাসা) ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে যাঁরা আহত হন, তাঁদের মধ্যে হাফেজ মাসুদুর রহমান ছিলেন না। তাঁর সহপাঠীরা দাবি করেছেন, তিনি মাদ্রাসায় ছিলেন, সেখানেই রাতে পুলিশ-ছাত্রলীগের অভিযানে নিহত হন।
মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাতে মাদ্রাসার ছাত্ররা ঘুমিয়েছিল। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়ে। তাদের নির্যাতনে মাসুদুর রহমান মারা যান। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে অবস্থানে থাকব।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশ মাদ্রাসায় আসার পর কিছু ছাত্র জীবন বাঁচাতে ওপরে উঠে পড়ে। তখন পুলিশ তাঁকে পিটিয়ে গুলি করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও ছিলেন।’
আরেকজন জানান, পুলিশ ও কিছু সাধারণ মানুষ যখন সেখানে আসে, তখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। ‘আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’ নিহত হাফেজ মাসুদের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ মামুন ও সহপাঠী মুফতি নিয়ামুল ইসলাম দাবি করেছেন, মাসুদের গায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জামিয়া ইউনুসিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা মোবারক উল্লাহ বলেন, ‘এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, সামান্য ঘটনা থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। সে সময় শিক্ষকদের অনেকেই সেখানে ছিলেন না। যারা ছিলেন, তাঁরা ছাত্রদের মাদরাসায় নিয়ে আসেন। ক্যাচি গেট তালা মেরে দেন। তার পরও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেপেলেরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধর করে।’
রাতে মাদ্রাসায় অভিযানের ব্যাপারে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ একজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। তাদের হাতে ওই শিক্ষার্থী মারা যাননি বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমের মালিক রনির সঙ্গে শহরের জামিয়া ইউনুসিয়ার এক ছাত্রের বাকবিতণ্ড হয়। এর জের ধরে মাদরাসা ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে। পরে এতে ছাত্রলীগ ও এলাকার কিছু লোক যোগ দেয়। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। চার ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
কওমীনিউজডটকম/এইচ
মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি ২০১৬ |
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় শহীদ হাফেয মাসুদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া (বড় মাদ্রাসা) ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে যাঁরা আহত হন, তাঁদের মধ্যে হাফেজ মাসুদুর রহমান ছিলেন না। তাঁর সহপাঠীরা দাবি করেছেন, তিনি মাদ্রাসায় ছিলেন, সেখানেই রাতে পুলিশ-ছাত্রলীগের অভিযানে নিহত হন।
মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাতে মাদ্রাসার ছাত্ররা ঘুমিয়েছিল। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়ে। তাদের নির্যাতনে মাসুদুর রহমান মারা যান। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে অবস্থানে থাকব।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশ মাদ্রাসায় আসার পর কিছু ছাত্র জীবন বাঁচাতে ওপরে উঠে পড়ে। তখন পুলিশ তাঁকে পিটিয়ে গুলি করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও ছিলেন।’
আরেকজন জানান, পুলিশ ও কিছু সাধারণ মানুষ যখন সেখানে আসে, তখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। ‘আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’ নিহত হাফেজ মাসুদের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ মামুন ও সহপাঠী মুফতি নিয়ামুল ইসলাম দাবি করেছেন, মাসুদের গায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জামিয়া ইউনুসিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা মোবারক উল্লাহ বলেন, ‘এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, সামান্য ঘটনা থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। সে সময় শিক্ষকদের অনেকেই সেখানে ছিলেন না। যারা ছিলেন, তাঁরা ছাত্রদের মাদরাসায় নিয়ে আসেন। ক্যাচি গেট তালা মেরে দেন। তার পরও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেপেলেরা তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধর করে।’
রাতে মাদ্রাসায় অভিযানের ব্যাপারে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ একজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। তাদের হাতে ওই শিক্ষার্থী মারা যাননি বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমের মালিক রনির সঙ্গে শহরের জামিয়া ইউনুসিয়ার এক ছাত্রের বাকবিতণ্ড হয়। এর জের ধরে মাদরাসা ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে। পরে এতে ছাত্রলীগ ও এলাকার কিছু লোক যোগ দেয়। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। চার ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
কওমীনিউজডটকম/এইচ
Comment