Announcement

Collapse
No announcement yet.

এসপির বিরুদ্ধে ভারতে তথ্য পাচারের অভিযোগ। গ্রেফতারকৃত দেব প্রসাদ সাহার সাথে যোগসাজস।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এসপির বিরুদ্ধে ভারতে তথ্য পাচারের অভিযোগ। গ্রেফতারকৃত দেব প্রসাদ সাহার সাথে যোগসাজস।

    তথ্য পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর নৌপুলিশের সাবেক এসপি আব্দুল্লাহ আরেফকে শোকজ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। একই অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় একজন কনস্টেবল (নিচে প্রথম আলোর রিপোর্ট দেখুন) যশোর কারাগারে আছেন।

    তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মদমর্যাদার বিতর্কিত এই কর্মকর্তাকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। তদন্তে তথ্য পাচারে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তবে ওই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হলেও রহস্যজনক কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন এসপি আব্দুল্লাহ আরেফ।

    এদিকে অভিযোগের বিষয়ে তার কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এ নোটিশে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারে জড়িত একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে এসপি আব্দুল্লাহ আরেফের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ডিসেম্বর আব্দুল্লাহ আরেফকে ফরিদপুর নৌপুলিশের এসপির পদ থেকে প্রত্যাহার করে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

    পুলিশ সদর দপ্তরের নোটিশে যা আছে: পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত চিঠিতে আব্দুল্লাহ আরেফের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ উল্লেখ করে লিখিত জবাব চাওয়া হয়। ২২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আব্দুল্লাহ আরেফকে উদ্দেশ করে বলা হয়, বাস্তবিক অর্থে নৌপুলিশের কোনো কর্মকাণ্ড বেনাপোলে নেই।

    অথচ প্রায়ই বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশে কর্মরত (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় কারাগারে) জনৈক কনস্টেবলের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছেন। এই কনস্টেবলের সঙ্গে ২০১৯ সালের ৮ জুলাই হোয়াটসঅ্যাপে তিনবার, ৫ সেপ্টেম্বর সরাসরি একবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন।

    এছাড়া নানাভাবে তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখতেন। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, বিদেশে তথ্য পাচারের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত।

    রিপোর্টে আরও বলা হয়, নৌপুলিশের এসপি পদে ফরিদপুরে থাকাকালীন ধর্মীয় একটি বিতর্কিত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগও করেন আব্দুল্লাহ আরেফ। দুইবার ওই জোটের অফিসে গিয়ে তাদের উপদেষ্টা হিসেবে স্বেচ্ছায় কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এভাবে কোনো সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন নেন আব্দুল্লাহ আরেফ। এছাড়া এ ঘটনায় কারাবন্দি জনৈক কনস্টেবলের মুঠোফোনে পাওয়া মনোনয়নের ওই চিঠি দ্বারা এ বিষয়টিও প্রমাণিত বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

    স্পর্শকাতর এসব অভিযোগ কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ডের অপরাধ। একই সঙ্গে এসপি আব্দুল্লাহ আরেফের কর্মকাণ্ড সরকারি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলা, যথাযথ কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্যের শামিল। এমতাবস্থায় তার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট জবাব দাখিল করার কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসপি আব্দুল্লাহ আরেফ যুগান্তরকে বলেন, ‘সবই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমাকে জড়িয়ে যা বলা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। এসব তথ্যপ্রমাণ ভোগাস, বানানো।’

    উল্লেখ করা যেতে পারে, ‘ক্ষমতা অপব্যবহারে এসপির রেকর্ড’ শিরোনামে ২০১৯ সালের ১২ মে এবং ‘চাকরি দেয়ার নামে জমি রেজিস্ট্রি’ শিরোনামেও ১৩ মে দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন যুগান্তরে ছাপা হয়। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট দুটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়।

    তথ্য সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর, ১৭ই জানুয়ারি, ২০২২

    প্রথম আলোর ২১/১২/২০১৯ তারিখের রিপোর্টঃ
    বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে যশোরের বেনাপোল বন্দর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

    ওই পুলিশ সদস্যের নাম দেব প্রসাদ সাহা। তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে।

    এর আগে গত রোববার বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বাদী হয়ে দেব প্রসাদ সাহার বিরুদ্ধে বেনাপোল বন্দর থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন।

    গ্রেপ্তারের পর গতকাল সকালে দেব প্রসাদ সাহাকে যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। বিচারক সাইফুদ্দিন হুসাইন কাল বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেব প্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কর্মরত কনস্টেবল। তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল অভিবাসন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি যখন-তখন শূন্যরেখা অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া আসা করতেন। বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর অফিস সহকারী আবু হানজালা রানা ও সৈনিক শাহনেওয়াজ শাহিনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই দুই ব্যক্তি মাঝে মধ্যে বেনাপোলে এসে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।

    ২০১৮ সালের শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ শূন্যরেখা অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন। ১৫ দিন পর তিনি আবু হানজালা রানার কাছ থেকে এনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিন আটক হন। এ সময় তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। তিনি ভারতের কাছ তথ্য পাচারের বেশ কিছু তথ্য দেন। পরে পুলিশ হেড কোয়ার্টারস তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে।

    বেনাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগে দেব প্রসাদ সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। গতকাল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল তাঁকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে। রিমান্ড আবেদন মঞ্জুরের পর তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মামলাটি তদন্তাধীন।

    তথ্য সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, ২১ ডিসেম্বার, ২০১৯



  • #2
    তথ্য শুনে মনে হচ্ছে ভারত বাংলাদেশে আক্রমণের জন্য বড় ধরনের চক তৈরি করছে তাই আমাদেরো বসে থাকলে চলবে না আমাদের ও পাল্টা চক তৈরি করতে হবে এবং এর জন্য দুটি চক প্রধানত হাতে নিতে হবে ১) প্রতিরক্ষা মূলক ২) আক্রমনাত্মক এবং অবস্থা ভেদে গুরুত্বপূর্নটিকে প্রধান্য দিয়ে সামনে আগাতে হবে।

    Comment

    Working...
    X