সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামের অন্তর্ভুক্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে ২৮ বছর আগের এক আবেদনের ভিত্তিতে দেয়া রুল নিয়ে শুনানি শুরুর দুই দিন আগে শুক্রবার হেফাজতে ইসলাম বলেছে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার পক্ষে উচ্চ আদালতের রায় না এলে দেশ অচল করে দেয়া হবে।
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এই হুমকি দিল যারা তিন বছর আগে মতিঝিলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছিল।
চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্ত্বরে সমাবেশে হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘আগামী ২৭ মার্চ উচ্চ আদালত সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে বাদ দিলে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে কার্যত বিরোধী দলবিহীন চতুর্থ জাতীয় সংসদে ১৯৮৮ সালের ৫ জুন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী অনুমোদন হয়। সংবিধানে অনুচ্ছেদ ২-এর পর ২ (ক) যুক্ত করে বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাইবে’।
ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ১৯৭১ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে এই পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তখনই ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির’ পক্ষে সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ ১৫ বিশিষ্ট নাগরিক হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন।
রিট আবেদনকারীদের ‘মস্তিক বিকৃত’ আখ্যায়িত করে সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন থেকে আদালতকে ‘জনগণের ভাষা’ বুঝে রায় দিতে বলে হেফাজত। ওই দিন চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার সমাবেশে বাবুনগরী বলেন, ২৭ মার্চ উচ্চ আদালতের রায়ে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে বাদ দেয়া হলে রক্ত দিয়ে তৌহিদী জনতা সেটা ‘প্রতিহত’ করবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে দেশের আইন শৃঙ্খলা ও শান্তি রক্ষা হবে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরা শান্তিতে থাকবে।বিডিনিউজ।
copyright to Ittefaq
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এই হুমকি দিল যারা তিন বছর আগে মতিঝিলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছিল।
চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্ত্বরে সমাবেশে হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘আগামী ২৭ মার্চ উচ্চ আদালত সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে বাদ দিলে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে কার্যত বিরোধী দলবিহীন চতুর্থ জাতীয় সংসদে ১৯৮৮ সালের ৫ জুন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী অনুমোদন হয়। সংবিধানে অনুচ্ছেদ ২-এর পর ২ (ক) যুক্ত করে বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাইবে’।
ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ১৯৭১ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে এই পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তখনই ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির’ পক্ষে সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ ১৫ বিশিষ্ট নাগরিক হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন।
রিট আবেদনকারীদের ‘মস্তিক বিকৃত’ আখ্যায়িত করে সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন থেকে আদালতকে ‘জনগণের ভাষা’ বুঝে রায় দিতে বলে হেফাজত। ওই দিন চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার সমাবেশে বাবুনগরী বলেন, ২৭ মার্চ উচ্চ আদালতের রায়ে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে বাদ দেয়া হলে রক্ত দিয়ে তৌহিদী জনতা সেটা ‘প্রতিহত’ করবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে দেশের আইন শৃঙ্খলা ও শান্তি রক্ষা হবে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরা শান্তিতে থাকবে।বিডিনিউজ।
copyright to Ittefaq
Comment