আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ‘শীর্ষ নেতা’ গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক,বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published:2017-04-08 11:55:20.0 BdST
Updated:2017-04-08 12:18:18.0 BdST
অভিজিৎ রায়সহ ব্লগার ও লেখকদের হত্যার সঙ্গে জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত হাফেজ মাওলানা মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে আবদুল্লাহ (৩১)
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) শরিয়া বোর্ডের সদস্য বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান।বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে তাকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ডিএমপি দক্ষিণের গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা গ্রেপ্তার করে।তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি জানান।পুলিশ বলছে, এবিটির সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজরসৈয়দ জিয়াউল হক কাউকে হত্যার পরিকল্পনার আগে কয়েকজন শীর্ষ নেতার সমন্বয়ে গঠিত এই শরিয়া বোর্ডের অনুমোদন নিতেন।একাধিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবিটির কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পাওয়া তথ্য থেকে পুলিশের এই ভাষ্য।এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিরপুরে ব্লগারআহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার ঘটনায় মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং জঙ্গি নেতা মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানীসহ অন্য ছয় আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে, যা বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর ১০ দিনের মাথায় মিরপুরের কালশীতে নিজবাসার কাছে চাপাতি হামলায় খুন হন রাজীব।গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রাজীব পেশায় ছিলেন একজন স্থপতি। উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির স্বরূপ উন্মোচনে অনলাইনে লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানীর উগ্রবাদী শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত ছাত্র মিলে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।রাজীবের পর গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী, ব্লগার, লেখক-প্রকাশক মিলে আরও কয়েকজনের হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহর সম্পৃক্ততা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। এর মধ্যে কেবল রাজীবহত্যা মামলারই রায় এসেছে আদালতে।
নিজস্ব প্রতিবেদক,বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published:2017-04-08 11:55:20.0 BdST
Updated:2017-04-08 12:18:18.0 BdST
অভিজিৎ রায়সহ ব্লগার ও লেখকদের হত্যার সঙ্গে জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত হাফেজ মাওলানা মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে আবদুল্লাহ (৩১)
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) শরিয়া বোর্ডের সদস্য বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান।বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে তাকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ডিএমপি দক্ষিণের গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা গ্রেপ্তার করে।তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি জানান।পুলিশ বলছে, এবিটির সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজরসৈয়দ জিয়াউল হক কাউকে হত্যার পরিকল্পনার আগে কয়েকজন শীর্ষ নেতার সমন্বয়ে গঠিত এই শরিয়া বোর্ডের অনুমোদন নিতেন।একাধিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবিটির কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পাওয়া তথ্য থেকে পুলিশের এই ভাষ্য।এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিরপুরে ব্লগারআহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার ঘটনায় মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং জঙ্গি নেতা মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানীসহ অন্য ছয় আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে, যা বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর ১০ দিনের মাথায় মিরপুরের কালশীতে নিজবাসার কাছে চাপাতি হামলায় খুন হন রাজীব।গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রাজীব পেশায় ছিলেন একজন স্থপতি। উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির স্বরূপ উন্মোচনে অনলাইনে লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানীর উগ্রবাদী শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত ছাত্র মিলে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।রাজীবের পর গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী, ব্লগার, লেখক-প্রকাশক মিলে আরও কয়েকজনের হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহর সম্পৃক্ততা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। এর মধ্যে কেবল রাজীবহত্যা মামলারই রায় এসেছে আদালতে।
Comment