পোপের পা ধুয়ে দেয়ার আসল রহস্য
দৈনিক প্রথম আলো পোপকে নিয়ে একটা খবর করছে, যার শিরোনাম-
“মুসলিমদের পা ধুয়ে চুমুও দিয়েছিলেন পোপ”।
দৈনিক প্রথম আলোর মত একটি ধর্মবিদ্বেষী পত্রিকা হঠাৎ ক্যাথোলিক পোপের প্রশংসায় পঞ্চমূখ হয়েছে কেন, সেটা ভাবা প্রয়োজন।
কথা হচ্ছে- পোপ কেন অন্যের পা ধুয়ে চুমু খায় ? এর পেছনে কি কোন রহস্য আছে ??
ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের নিউজ সাইট – ক্যাথলিক নিউজ সার্ভিস বলছে- চলতি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে পোপ ফ্রান্সিস ১২ জন বন্দির পা নিজ হাতে ধুয়ে চুমু খেয়েছিলো। নিউজ সাইটটি আরো জানাচ্ছে, এ বন্দিরা ইসলাম ধর্ম থেকে কনভার্ট হয়ে ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে ।
অর্থাৎ পা ধুয়ে চুমু খাওয়ার পেছনে কোন মানবতা নেই, আছে ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, দৈনিক প্রথম আলো, যে ছবিটি দিয়েছে তা ২০১৬ সালের মার্চের
যেখানে পোপ ইউরোপে আগত মুসলিম, হিন্দু এবং কপটিক খ্রিস্টান শরনার্থীদের পা ধুয়ে চুমু দিচ্ছে। ( কপটিক হচ্ছে খ্রিস্টানদের মধ্যে একটি উপদল (যেমন কপটিক-ক্যাথলিক ইত্যাদি)
পাঠক আপনাদের মনে থাকার কথা, এ ঘটনার পর পরই ২০১৬ সালের মে মাসের দিকে একটা খবর বের হয়, ইউরোপে আগত হাজার হাজার শরনার্থী খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করছে http://www.dailymail.co.uk/news/arti...te-asylum.html
অর্থাৎ ঐ পা ধুয়ে দেয়ার দৃশ্যটা মানবতাবাদী নয়, বিপদগ্রস্ত অন্য ধর্মের মানুষগুলোকে আশ্রয় ও স্নেহ করার নাম করে নিজ ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কৌশল মাত্র। যেহেতু ইউরোপে সে সময় লক্ষ লক্ষ মুসলিম শরনার্থী প্রবেশ করে , তাদের মন নরম করতেই এ পা ধুয়ে দেয়ার দৃশ্য অবতারণা করে পোপ। ঠিক এখন যেমন রোহিঙ্গা আসার পর তাদের ঘিরে খ্রিস্টান মিশনারীগুলোকে সক্রিয় করতে বাংলাদেশে এসেছে পোপ, ঠিক সে রকম।
আসলে, অন্য ধর্মের লোকদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে খ্রিস্টান পাদ্রীদের বিভিন্ন কৌশল শেখানো হয়। যেমন অনেকেই শুনে থাকবেন- বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের একটা মিশনারীর নাম হচ্ছে ‘কারিতাস বাংলাদেশ’। ‘কারিতাস বাংলাদেশ’ তার সদস্যদের শিকার ধরার জন্য বিভিন্ন কৌশল শিক্ষা দেয়, যেমন- তাদের একটা শ্লোগান হচ্ছে- “কারিতাস মানেই ভালোবাসা, .......ভালোবাসা স্নেহ কোমল। তার মধ্যে নেই কোন ঈর্ষা। ভালোবাসা কখন বড়াই করে হয় না, উদ্ধ্বতও হয় না, রুক্ষ হয় না। সে স্বার্থপর নয়, বদমেজাজি নয়.....।” উল্লেখ্য বাংলাপিডিয়ার দেয়া তথ্য মোতাবেক ২০০৯ সালে কারিতাস তাদের মিশনারী কাজে ব্যয় করে প্রায় ১৪১ কোটি টাকা, এবং ঐ বছর তারা বাংলাদেশের প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষের সাথে সংযোগ করতে পারে। http://bn.banglapedia.org/index.php?...A6%BE%E0%A6%B8
কারিতাসের শ্লোগান দেখে অনেকে হয়ত গলে যাবে। ভাববে- “আহহারে ওরা কত ভালো।” কিন্তু এগুলো হচ্ছে তাদের কাজের কৌশল। ভুলে গেলে চলবে না- মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে ক্রুসেড হয়েছিলো সেগুলোর জন্য খ্রিস্টানদের উত্তেজিত করে যোদ্ধা সংগ্রহ করতো এই পোপ, আবার মিশনারীগুলোর মাধ্যমে অন্যধর্মের লোকদের খ্রিস্টান বানিয়ে নিজ জনসংখ্যা বৃদ্ধির দায়িত্বও ছিলো পোপের। সুতরাং তারা যতই ‘পা ধুয়ে চুমু খাক’ তার সে সবটাই নিজ স্বার্থ উদ্ধারে, সুতরাং সেটার পক্ষে প্রথম আলো গং এর অযথা সাফাই গাওয়াতে বোঝাই যাচ্ছে যে, এসব মিডিয়াগুলোর কোনটা বুঝে আর কোনটা না বুঝেই কুফফারদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগী হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক্ থাকতে হবে।
Comment