দৈনিক ভোরের কাগজে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষমূলক লিড নিউজ
দৈনিক ভোরের কাগজে ২০ডিসেম্বর-২০১৭ একটি লিড নিউজ করেছে ‘মাদ্রাসা বইয়ে অশ্লীলতা’ শিরোনামে একটি আর্টিকেল।নিশ্চয় রিপোর্টটি পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষমূলক। যেমন, রিপোর্টের উল্লেখযোগ্য অংশগুলো হচ্ছে:
১)“ছাপা হওয়া মাদ্রাসার দাখিল স্তরের নবম-দশম শ্রেণির আল হাদিস বইয়ের ৫৩ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, ‘একদা এক ব্যক্তি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কি আমার মায়ের কাছে প্রবেশ করতে অনুমতি প্রার্থনা করব? তিনি বললেন হ্যাঁ। তখন লোকটি বলল, আমি তো তার খাদেম। হজরত রসুলুল্লাহ বললেন, তুমি তার কাছে অনুমতি চাও। তুমি তোমার মাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পছন্দ করো?’ এ ধরনের ..... রসাত্মক মনগড়া উক্তি করা হয়েছে মাদ্রাসার সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম শ্রেণির চারটি পাঠ্যবইয়ের অন্তত ১০টি জায়গায়।”
[বি:দ্র: যে কোন ব্যক্তি নিজ ঘরে থাকাকালীন কোন কোন সময় অসতর্ক হতেই পারে। কাজেই তার ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে অনুমতি চাওয়ার শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চমৎকার এ কাজটি শিখিয়েছেন।এটা মাদ্রাসা বইয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এবিষয়টি অশ্লীল বা আদিরসাত্মক বলা হচ্ছে কেন ?]
২) “দাখিলের নবম-দশম শ্রেণির কুরআন মজিদ ও তাজভিদ বইয়ের ৪২৪ নম্বর পৃষ্ঠায় নেতার শর্তাবলিতে উল্লেখ করা হয়েছে ‘একজন নেতা হওয়ার অন্যতম যোগ্যতা পুরুষ হওয়া। কোনো মহিলা ইসলামি সমাজ বা রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিতে পারবে না।’ এই লাইনের মাধ্যমে মাদ্রাসা বোর্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকেই অস্বীকার করেছে।”
৩ “দাখিল স্তরের অষ্টম শ্রেণির আল আকায়েদ ওয়াল ফিক্হ বইয়ের ২৩ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বময় ক্ষমতা তথা আইন, বিধান, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, শাসন চলবে আল্লাহতায়ালার নামে; অন্য কারো নয়।’ এই লাইনের মাধ্যমে মাদ্রাসা বোর্ড সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকেই অস্বীকার করে বসেছে।”
৪) “একই বইয়ের ৬৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ‘আল কুরআন মুসলমানদের সংবিধান’। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং এর একটি সংবিধান রয়েছে। তাহলে দেশের সংবিধানের কি হবে ?”
রিপোর্টারের নাম দেয়া হয়েছে, অভিজিৎ ভট্টাচার্য। রিপোর্ট লেখার সময় বার বার ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা’ উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য ভোরের কাগজের সম্পাদক হচ্ছে শ্যামল দত্ত। সে এক উগ্রহিন্দুত্ববাদী। টক শোতে সে সেক্যুলারজিমের ভেক ধরে থাকলেও মাঝে মাঝে তার মুখ দিয়ে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য চলে আসে। টিভি টকশোতে শ্যামল দত্ত বলেছিলো- “শুক্রবার মসজিদগুলোতে জুম্মার নামাজের খুৎবায় ভয়ঙ্কর সব আলোচনা হয়, খুৎবা বন্ধে পুলিশের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া উচিত।”
সে তার পত্রিকায় মাঝে মাঝে মুসলিমবিরোধী নানান সাম্প্রদায়িক উগ্রহিন্দুত্ববাদীদের কলাম ছাপায়। আমেরিকা থেকে লেখা চরম উগ্রহিন্দুত্ববাদী শিতাংশু গু‘র কলাম তার পত্রিকায় ছাপা হয়। এই ভোরের কাগজ পত্রিকায় অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য ও রাজীব দেব রায় রাজু দু'জন সাংবাদিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী ছায়েদুল হক হিন্দুদের "মালাউনের বাচ্চারা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে" শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করে দেশে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করেছিলো শ্যামল দত্ত।
মাদ্রাসা বই নিয়ে উগ্রহিন্দু শ্যামল দত্তের এ ধরনের উস্কানিমূলক ও পরচর্চামূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একথা বলাই বাহুল্য। এখন এসব লেখা ও লেখকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুসলমানদের ব্যবস্থা নেয়ার সময় এসেছে।
পুরো রিপোর্টটি পড়তে-
.
Comment