ভারতের গো-রক্ষার নামে মানুষ হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় চুপ কেন ?
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে কথিত জঙ্গিবাদের নাম দিয়ে মানুষ হত্যার বিরোধীতা করেছে মুসলমানরা । এমনকি হোলি আর্টিসানের ঘটনার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসায় প্রতিবাদ হয়েছে এ দ্বারা প্রমাণ হয় বাংলাদেশের মুসলমানরা নিরীহ মানুষ হত্যাকে কখন সমর্থন করে না।
কিন্তু ভারতে গো-রক্ষার নামে যে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় কি কখনও তার প্রতিবাদ করেছে ? গো-রক্ষার নামে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে কোন সভা-সেমিনার করেছে ?
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট, ইসকন , বাংলাদেশ দলিত পরিষদ, বিবেকানন্দ সেবা সংঘ, জাগো হিন্দু পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আদিবাসী পরিষদ, জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, বাংলাদেশ মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদ ইত্যাদি কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে কখনও কোন বিবৃতি আসেনি।
ভারতের অনেক হিন্দু সংগঠন গো-রক্ষার নামে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে দিচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দু সংগঠনগুলো এ বিষয়ে কোন মুখ খুলছে না। এ দ্বারা প্রমাণ হয় তারা ভারতের গোরক্ষার নামে নিরীহ মানুষ হত্যাকে সাপোর্ট করে। এই সংগঠনগুলোই যখন ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে’ বলে মানবতার দোহাই দিয়ে সবার সহানুভূতি চাইবে, তখন তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু ??
পাশ্ববর্তী ভারতে গো-রক্ষার নামে নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, এটা মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ইন্টারনেট-অনলাইনের যুগে এখন সেসব ভিডিও বাংলাদেশের মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ভিডিও ঘুড়ছে, যার প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের উপর আসবে না, তা নিশ্চিত বলা যায় না। বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলোর তো উচিত ছিলো, ঘটনা ঘটনার সাথে সাথে এসব অবমানবিক কাজের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়া, প্রতিবাদ জানানো। কিন্তু তারা তারা সেটা করেনি। “নিরবতা সম্মতির লক্ষণ”- ভারতে গো-রক্ষার নামে নিরীহ মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে চুপ থেকে বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ ঐসব হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করছে, এটাই প্রমাণ হয়। এ অবস্থায় যদি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কোন প্রতিক্রিয়া আসে, তবে সেটার দায়ভার কিন্তু হিন্দু সংগঠনগুলোকেই নিতে হবে।
Comment