নাস্তিক্যবাদীদের পেছনে কে ? (৩)
কোন লেখক, প্রকাশক, প্রকাশনা ও ছাপা- অর্থাৎ মিডিয়ার কোন অংশই যেন সম্রাজ্যবাদীদের নেটওয়ার্ক থেকে বের না হতে পারে, সেজন্য তারা বিভিন্ন সংগঠন তৈরী করে দেয়। আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সদস্য হয়ে ‘ধন্য’ হওয়ার নাম করে অনেকেই সেই ফাঁদে পা দেয়। এতে পরবর্তীতে অনেকে হয়ত সরাসরি তাদের পেইড দালাল হয়ে যায়, আবার অনেকে দালাল না হলেও তাদের এজেন্ডার বিরুদ্ধে যেতে পারে না।
সিআইএ-ইউএসজিএলসি-এনইডি-ইএফইএক্স হয়ে লেখক কবি সাহিত্যিক যে আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে সক্রিয় তার নাম ‘পেন বাংলাদেশ’।
(http://www.banglatribune.com/literat...A6%BE%E0%A6%AE)
এ লেখক কবি সাহিত্যিকরা বাংলাদেশে ‘বই’ প্রকাশ, বিশেষ করে একুশে বই মেলায় বই প্রকাশ করে থাকে। তসলিমা নাসরিন, হুমায়ুন আজাদ এই সংগঠনের থেকেই আত্মকপ্রকাশ করে।
বর্তমানে ‘পেন বাংলাদেশ’র এর দুটি কমিটি আছে।
একটি কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং সহসভাপতি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ।
অন্য কমিটির উপদেষ্টা কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সভাপতি মহিলা এমপি কাজী রোজী এবং মহাসচিব আইরিন জামান।
(https://bangla.bdnews24.com/banglade...1330961.bdnews)
সিআইএ-ইউএসজিএলসি-এনইডি-ইএফইএক্স নেটওয়ার্কে নাস্তিক্যবাদী কাটুর্নিস্টদের সংগঠনের নাম Cartoonists Rights Network International (CRNI) (https://en.wikipedia.org/wiki/Cartoo..._International)
বাংলাদেশে এ সংগঠনটির তেমন কার্যক্রম না দেখা যায় না। তবে ২০০৭ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর দৈনিক প্রথম আলোর আলপিনে ইসলামবিরোধী ব্যঙ্গকার্টুন আঁকা কাটুর্নিস্ট আরিফুর রহমান এখন এ সংগঠনটির সদস্য। কাটুর্নিস্ট আরিফুর রহমান বর্তমানে নরওয়েতে ToonsMag নামক একটি কার্টুন ম্যাগাজিন চালায়।
https://cartoonistsrights.org/2017/04/page/2/ )
এছাড়া সিআইএ-ইউএসজিএলসি-এনইডি-ইএফইএক্স নেটওয়ার্কে যে সব আন্তর্জাতিক এনজিও বাংলাদেশে সক্রিয়-
১) দৈনিক পত্রিকার পাবলিশারদের সংগঠন World Association of Newspapers and News Publishers International। ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম এর সাথে জড়িত।
২) সাংবাদিক সুরক্ষার নামে সক্রিয় Committee to Protect Journalists (CPJ)
৩) শিশু অধিকারের নামে সক্রিয় Child Rights International Network (CRIN)
৪) সরকার অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজ ব্লক বা নিষিদ্ধ করলে যে সংগঠনটি তার বিরুদ্ধে কথা বলে The Electronic Frontier Foundation (EFF)। ২০১২ সালে বাংলাদেশের হাইকোর্ট ৫টি ইসলাম অবমাননাকারী ৫টি ফেসবুক পেইজ বন্ধ করতে অর্ডার দিলে তারা সেটার প্রতিবাদ করে।
৫) মিডিয়ায় নাস্তিক্যবাদী স্বাধীনতা (!) সৃষ্টির জন্য কাজ করছে ‘ফ্রিডম হাউস’ (Freedom House)। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ নিয়ে তারা বিভিন্ন গবেষণাপত্র বের করে
৬) বাক স্বাধীনতা রক্ষার নামে কাজ করে global voices advox নামক একটি এনজিও।
৭) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, বাংলাদেশ।
৮) আরো সক্রিয় দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট (আইএফজে), ইনডেক্স অব সেন্সরশিপ, রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারস, International Federation of Journalists (IFJ), International Federation of Library Associations and Institutions (IFLA), International Press Institute (IPI), International Publishers Association (IPA), Privacy International, Reporters Without Borders (RSF), World Association of Community Radio Broadcasters (AMARC)।
বর্তমানে প্রত্যেকটি এনজিও ৫৭ ধারা বাতিলে ব্যাপক আন্দোলন করছে এবং সরকারকে চাপ দিচ্ছে। লক্ষণীয়, উপর থেকে ইহুদীবাদীরা শুধু টাকার ফ্লো আর পলিসি দিচ্ছে, আর নিচে মুসলমানরা শুধু টাকার লোভে নিজেরাই নিজেদের গোড়া কাটছে। পাল্টা টাকা খরচ ও কার্যক্রম করা তো অনেক পরের বিষয় মুসলমানরা এ বিষয়গুলো অনুধাবনই করতে পারছে না।
প্রথম পর্ব পড়তে- https://www.dawahilallah.com/showthr...87-(%E0%A7%A7)
দ্বিতীয় পর্ব পড়তে-https://www.dawahilallah.com/showthread.php?8582-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A 6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE% E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87-(%E0%A7%A8)
.
Comment