মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিশাখা প্রকাশনীর মালিক শাহজাহান বাচ্চুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলার কাকালদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আসাদুজ্জামান জানান।
মুক্তমনা লেখক হিসেবে পরিচিত শাহজাহান বাচ্চু (৫৫) মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার কাকালদী গ্রামে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কাকালদী মোড়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে চার দুর্বৃত্ত শাহজাহানকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তার লাশ মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাচ্চুর মেয়ে দূর্বা জাহান সোমবার রাতে ফেইসবুকে এক পোস্টে বলেন, “আমার বাবা শাহজাহান বাচ্চু আজকে মরে গেছে। আমাদের গ্রামে। বাবাকে কারা যেন দুইটা গুলি করে মেরে ফেলেছে।”
পরে তার এক বন্ধু ওই পোস্টের কমেন্টে লিখেছেন, “উনি দোকানে বসেছিলেন। মোটরসাইকেলে করে দুইজন এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। দূর্বার মোবাইলে ফোন করে অপরিচিত কেউ ওর বাবার মৃত্যু সংবাদ দেয়। তারপর দূর্বা ওর বাবার নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ফোন রিসিভ করে।”
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাবাজারের প্রকাশনা সংস্থা বিশাখা প্রকাশনী নিয়মিতভাবে কবিতার বই বের করত।
“প্রকাশনীটি নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহার মতো প্রখ্যাত কবিদের কাব্যগ্রন্থ বের করত। প্রকাশক হিসেবে সজ্জন ছিলেন বাচ্চু। তবে খুব একটা কথা হতো না তার সাথে।”
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ জানান, বিশাখা প্রকাশনী তাদের সমিতির সদস্য ছিল না।
প্রায় তিন বছর আগে আরেক প্রকাশক জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয় কুপিয়ে।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের অফিসে খুন হন দীপন, যিনি মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করেছিলেন। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন অভিজিৎ।
অভিজিতের পর ব্লগার নীলাদ্রী নিলয়, অনন্ত বিজয় দাশ ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াশিকুর বাবুকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এদের উপর হামলার জন্য জঙ্গিদের সন্দেহ করা হলেও বাচ্চুর উপর কারা হামলা চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা কেউ বলতে পারছে না।
সূত্র https://bangla.bdnews24.com/samagrab...1504940.bdnews
সোমবার বিকালে উপজেলার কাকালদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আসাদুজ্জামান জানান।
মুক্তমনা লেখক হিসেবে পরিচিত শাহজাহান বাচ্চু (৫৫) মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার কাকালদী গ্রামে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কাকালদী মোড়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে চার দুর্বৃত্ত শাহজাহানকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তার লাশ মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাচ্চুর মেয়ে দূর্বা জাহান সোমবার রাতে ফেইসবুকে এক পোস্টে বলেন, “আমার বাবা শাহজাহান বাচ্চু আজকে মরে গেছে। আমাদের গ্রামে। বাবাকে কারা যেন দুইটা গুলি করে মেরে ফেলেছে।”
পরে তার এক বন্ধু ওই পোস্টের কমেন্টে লিখেছেন, “উনি দোকানে বসেছিলেন। মোটরসাইকেলে করে দুইজন এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। দূর্বার মোবাইলে ফোন করে অপরিচিত কেউ ওর বাবার মৃত্যু সংবাদ দেয়। তারপর দূর্বা ওর বাবার নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ফোন রিসিভ করে।”
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাবাজারের প্রকাশনা সংস্থা বিশাখা প্রকাশনী নিয়মিতভাবে কবিতার বই বের করত।
“প্রকাশনীটি নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহার মতো প্রখ্যাত কবিদের কাব্যগ্রন্থ বের করত। প্রকাশক হিসেবে সজ্জন ছিলেন বাচ্চু। তবে খুব একটা কথা হতো না তার সাথে।”
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ জানান, বিশাখা প্রকাশনী তাদের সমিতির সদস্য ছিল না।
প্রায় তিন বছর আগে আরেক প্রকাশক জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয় কুপিয়ে।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের অফিসে খুন হন দীপন, যিনি মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করেছিলেন। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন অভিজিৎ।
অভিজিতের পর ব্লগার নীলাদ্রী নিলয়, অনন্ত বিজয় দাশ ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াশিকুর বাবুকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এদের উপর হামলার জন্য জঙ্গিদের সন্দেহ করা হলেও বাচ্চুর উপর কারা হামলা চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা কেউ বলতে পারছে না।
সূত্র https://bangla.bdnews24.com/samagrab...1504940.bdnews
Comment