ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষে এক সেনা সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক বেসামরিক ব্যক্তি ও এক গেরিলা সদস্য রয়েছেন। এছাড়া, সেনাবাহিনীর দুই জওয়ান আহত হয়েছেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) দক্ষিণ কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার দরু এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় সেনা ও গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় হ্যাপি সিং নামে সেনাবাহিনীর এক জওয়ান নিহত এবং আসিফ মালিক নামে এক গেরিলা সদস্য নিহত হন। এছাড়া, ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ভুপিন্দর সিং এবং কুলওয়ান্ত সিং নামে দুই সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে অনন্তনাগে ইন্টারনেট পরিসেবা স্থগিত করেছেন। একইভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গোটা কাশ্মির উপত্যকাজুড়ে রেল চলাচল বাতিল করেছেন।
অন্যদিকে, উত্তর কাশ্মিরের কুপওয়াড়া জেলার নূরবাগ এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় মুহাম্মদ সেলিম মালিক (২৪) নামে এক বেসামরিক যুবক গুলিতে নিহত হয়েছেন।
মধ্য কাশ্মির পুলিশের ডিআইজি ভি কে বিরদি ক্রসফায়ারে ওই বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পুরোনো শ্রীনগর এলাকায় কারফিউয়ের মতো নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কাশ্মিরে বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ কাশ্মির বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় প্রতিবাদী ছাত্ররা কাশ্মিরে বেসামরিক ব্যক্তি হত্যা বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হন। ক্ষুব্ধ ছাত্ররা এসময় ‘গণহত্যা বন্ধ’, ‘মুক্ত কাশ্মির’, ‘হত্যা বন্ধ’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত ব্যানার বহন করেন।
অন্যদিকে, বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে হুররিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ আলীশাহ গিলানী, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক ও মুহাম্মদ ইয়াসীন মালিকের সমন্বিত যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের আহ্বানে আগামীকাল (শুক্রবার) কাশ্মির উপত্যকায় বনধের ডাক দিয়েছেন।#
http://parstoday.com/bn/news/india-i64604
Comment