২৫শে অক্টোবর নয়া দিল্লীর মালবীয় নগরের বেগমপুরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুর্শির ঠিক নীচে “মাদ্রাসা জামিয়া ফরিদিয়া”-এর একজন ৮ (আট) বছরের ‘তালিব-এ-ইলম’ “মোহাম্মদ আজীম” ওরফে “মুহম্মদ খলিল”কে কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। বাচ্চাটি তখন মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে খেলাধূলা করছিলো। প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী জুম্মার আগের দিন মাদ্রাসা ছুটি থাকে। মাদ্রাসার কিছু বাচ্চা বাহিরে গিয়েছিল আর কিছু বাচ্চা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে খেলাধূলা করছিলো। তখন দুপুর 2:00 টা হবে, পাশ্ববর্তী ‘বাল্মিকী নগরে’র কিছু বাচ্চা এসে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে খেলতে থাকা বাচ্চাদের উপরে ঢিল ছুঁড়ে। তারপর এক যুবক আসে আর মোহম্মদ আজীমকে তুলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকে আছাড় দিতে থাকে। বেশ কয়েকবার আছাড় দেওয়ার পরে ৮ বছরের ঐ মাদ্রাসাছাত্র অজ্ঞান হয়ে যায়, তার কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায় ….।
এরপর, মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্ররা ভয়ে দৌড়ে গিয়ে মাদ্রাসা প্রধানের কাছে উপস্থিত হয় আর ঘটনার কথা বলে। তারপর মোহম্মদ আজীমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ভর্তির পূর্বেই ডাক্তারেরা বলে দেন এই বাচ্চা পূর্বেই মারা গিয়েছে।
মাদ্রাসার এক ছাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী এটি প্রথম ঘটনা নয়। সেইখানকার বাচ্চারা মাদ্রাসার বাচ্চাদের উপরে প্রায়ই এরকম করে, কিন্তু হত্যা করে দেওয়ার ঘটনা এই প্রথমবার ঘটলো। মাদ্রাসার বাচ্চাদের বক্তব্য অনুযায়ী- হিন্দুত্ববাদীরা মদ খেয়ে মদের বোতল মাদ্রাসার ভিতরে ছুঁড়ে দেয়, জুম্মার সময়ে পটকা ফাটায়, এমনকি শূকরের মাংস পর্যন্ত মাদ্রাসার ভিতরে ছুঁড়ে দেয়। পুলিশকে এই বিষয়ে বারবার অবহিত করা হলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ মাদ্রাসা ছাত্রদের।
Comment