ভারতীয় রাজ্য আসামের তিনসুকিয়াতে গুলি চালিয়ে ৫ জন বাংলাভাষীকে হত্যা করা হয়েছে। খেরবাড়ি নামের একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলি অবশ্য আরও কয়েকজনের গুলিতে আহত হওয়ার কথা জানাচ্ছে।
আনন্দ বাজার পত্রিকার বরাতে জানা যায়,
এ দিন রাতে জংলা পোশাক পরা, মুখে কালো কাপড় বাঁধা সশস্ত্র পাঁচ-ছ’জন যুবক বাঙালি অধ্যুষিত খেরবাড়ি গ্রামে ঢোকে। রাত ৮টা নাগাদ একটি দোকানের সামনে কয়েক জন বাসিন্দা গল্প করছিলেন। বেছে বেছে কয়েক জনকে ‘আলোচনা আছে’ বলে ডেকে ভূপেন হাজরিকা সেতুর কাছে নিয়ে যায় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকলকে জোর করে একসঙ্গে বসানোর পরেই স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান একই পরিবারের তিন সদস্য-সহ ৫ জন। জখম হয়েছেন ২ জন। অথচ ৩০০ মিটার দূরেই পুলিশ চৌকি। তবে পুলিশ আসার আগেই রাইফেলধারীরা পালায়।
নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী এবং নাগরিকপঞ্জির বিরোধী বাঙালিদের নিশানা করার হুমকি আগেই দিয়েছিল আলফা (স্বাধীন) গোষ্ঠী। পুজোর মুখে ফ্যান্সিবাজারে বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তখনও তাদের নিশানায় ছিল বাঙালি সংগঠনগুলি। আজকের ঘটনাতেও তাদের হাত রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এলাকাটি বরাবর আলফার ঘাঁটি বলেই পরিচিত।
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলে, ‘এনআরসি নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির জেরেই এই পাঁচ জনকে মরতে হল না তো?’’
অনেকের অভিযোগ, আলফা সন্ত্রাসীরা যে বাঙালিদের মারার চেষ্টা করছে, এ কথা সরকার ও পুলিশ জানত। তার পরেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়নি। প্রসঙ্গত, বাঙালিদের জন্য ‘দুঃস্বপ্নের ১৯৮৩’ ফিরিয়ে আনার হুমকি দিচ্ছিল আলফা। তা নিয়ে উত্তেজনা ছিলই বাঙালিপ্রধান এলাকাগুলিতে।
অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা সামরিক পোশাক পরে সেখানে হাজির হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানাচ্ছে, ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে।
নিহতদের পরিবার পরিজন নারী পুরুষরা এখনও দেহগুলির সামনে বসে কেঁদে চলেছেন।
আসামের বাঙালী সংগঠনগুলো মনে করছে আলফা (স্বাধীন গোষ্ঠী) এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জী হালনাগাদ করা এবং নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন করে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরেও যেসব বাংলাভাষী আসামে এসেছেন – বিশেষত বাংলাদেশ থেকে, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ইস্যুতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অসমীয়া এবং বাঙালীদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছিলই।
অসমীয়া জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলো এর মধ্যে এ নিয়ে একটা বনধও যেমন করেছে, তেমনই বাঙালীরা নাগরিকত্বের দাবীতে গুয়াহাটিতে তাদের প্রস্তাবিত সমাবেশ করতে গেলে শারীরিক আঘাত করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সারা আসাম বাঙালী ছাত্র যুব ফেডারেশন আগামীকাল ১২ ঘণ্টার জন্য তিনসুকিয়া বনধের ডাক দিয়েছে। শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালীন বনধ চলবে, যতক্ষণ না দুষ্কৃতিকারীদের ধরা যাবে।
স্থানীয় সূত্রগুলি অবশ্য আরও কয়েকজনের গুলিতে আহত হওয়ার কথা জানাচ্ছে।
আনন্দ বাজার পত্রিকার বরাতে জানা যায়,
এ দিন রাতে জংলা পোশাক পরা, মুখে কালো কাপড় বাঁধা সশস্ত্র পাঁচ-ছ’জন যুবক বাঙালি অধ্যুষিত খেরবাড়ি গ্রামে ঢোকে। রাত ৮টা নাগাদ একটি দোকানের সামনে কয়েক জন বাসিন্দা গল্প করছিলেন। বেছে বেছে কয়েক জনকে ‘আলোচনা আছে’ বলে ডেকে ভূপেন হাজরিকা সেতুর কাছে নিয়ে যায় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকলকে জোর করে একসঙ্গে বসানোর পরেই স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান একই পরিবারের তিন সদস্য-সহ ৫ জন। জখম হয়েছেন ২ জন। অথচ ৩০০ মিটার দূরেই পুলিশ চৌকি। তবে পুলিশ আসার আগেই রাইফেলধারীরা পালায়।
নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী এবং নাগরিকপঞ্জির বিরোধী বাঙালিদের নিশানা করার হুমকি আগেই দিয়েছিল আলফা (স্বাধীন) গোষ্ঠী। পুজোর মুখে ফ্যান্সিবাজারে বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তখনও তাদের নিশানায় ছিল বাঙালি সংগঠনগুলি। আজকের ঘটনাতেও তাদের হাত রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এলাকাটি বরাবর আলফার ঘাঁটি বলেই পরিচিত।
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলে, ‘এনআরসি নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির জেরেই এই পাঁচ জনকে মরতে হল না তো?’’
অনেকের অভিযোগ, আলফা সন্ত্রাসীরা যে বাঙালিদের মারার চেষ্টা করছে, এ কথা সরকার ও পুলিশ জানত। তার পরেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়নি। প্রসঙ্গত, বাঙালিদের জন্য ‘দুঃস্বপ্নের ১৯৮৩’ ফিরিয়ে আনার হুমকি দিচ্ছিল আলফা। তা নিয়ে উত্তেজনা ছিলই বাঙালিপ্রধান এলাকাগুলিতে।
অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা সামরিক পোশাক পরে সেখানে হাজির হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানাচ্ছে, ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে।
নিহতদের পরিবার পরিজন নারী পুরুষরা এখনও দেহগুলির সামনে বসে কেঁদে চলেছেন।
আসামের বাঙালী সংগঠনগুলো মনে করছে আলফা (স্বাধীন গোষ্ঠী) এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জী হালনাগাদ করা এবং নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন করে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরেও যেসব বাংলাভাষী আসামে এসেছেন – বিশেষত বাংলাদেশ থেকে, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ইস্যুতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অসমীয়া এবং বাঙালীদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছিলই।
অসমীয়া জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলো এর মধ্যে এ নিয়ে একটা বনধও যেমন করেছে, তেমনই বাঙালীরা নাগরিকত্বের দাবীতে গুয়াহাটিতে তাদের প্রস্তাবিত সমাবেশ করতে গেলে শারীরিক আঘাত করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সারা আসাম বাঙালী ছাত্র যুব ফেডারেশন আগামীকাল ১২ ঘণ্টার জন্য তিনসুকিয়া বনধের ডাক দিয়েছে। শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালীন বনধ চলবে, যতক্ষণ না দুষ্কৃতিকারীদের ধরা যাবে।
Comment