জম্মু-কাশ্মিরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের গুলিতে রাজ্য বিজেপি সম্পাদক অনিল পারিহার(৫২) ও তাঁর ভাই অজিত পারিহার (৫৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল রাতে কিশতওয়ারে দোকান থেকে বাড়ির ফেরার সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে তাঁরা নিহত হন।
ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হলে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কারফিউ জারি করেছে।
আজ কারফিউ কার্যকর থাকায় উচ্চমাধ্যমিক পার্ট-১ পরীক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েন। কিশতওয়ারে পাঁচটি কেন্দ্রে পরীক্ষা বাতিল করা হয়। অন্যদিকে, ভাদরওয়াতে পরীক্ষার রোল নম্বর সম্বলিত নথিকে কারফিউ পাশ হিসেবে গণ্য হওয়ায় সেখানে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়নি পরীক্ষার্থীদের।
আজ (শুক্রবার) সকালে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গোলযোগপূর্ণ এলাকায় ফ্ল্যাগমার্চ করা হয়। ডোডা জেলার পুলিশ প্রধান সাবির মালিক বলেন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গোটা জেলায় ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে।
বের হয়ে আসল গোপন তথ্য! আমি পাই ৪২ লাখ, দুই কোটি যায় বসের পকেটে
ট্রেন থেকে মাদকদ্রব্য ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ গ্রেফতার চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে । প্রতিমাসে আমি পাই ৪২ লাখ, দুই কোটি যায় বসের পকেটে।
জাগো নিউজ টুয়েন্টিফোর’ সংবাদ সংস্থার বরাতে জানা যায়,
গত শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) জেলার সোহেল রানাকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে বিপুল পরিমাণ টাকা ও মাদকসহ গ্রেফতারের পর শনিবার কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান করা হয়।
ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি আবদুল মজিদ বলে, রিমান্ডে সোহেল রানা জানিয়েছে ওই দিনের জব্দকৃত ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার মধ্যে ১২ লাখ টাকা ছিল চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি প্রিজন পার্থ কুমার বণিক ও সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিকের। জব্দকৃত আড়াই কোটি টাকা ও ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেকের উৎস সম্পর্কে সোহেল রানা বলেছে টাকাগুলো কারাগারে মাদক ব্যবসাসহ অবৈধভাবে রোজগার করেছে।
সোহেল পুলিশকে আরও বলেছে চট্টগ্রাম কারাগারে অবৈধভাবে প্রতি মাসে আড়াই কোটি টাকা রোজগার হয়। এই টাকার অংশ হিসেবে মাসে ৪২ লাখ টাকা ভাগ পান সোহেল। বাকি দুই কোটি টাকা তার ঊর্ধ্বতন দুই বসকে দেয়া হয়। তবে ওই দুইজন ঊর্ধ্বতন বসের নাম বলেননি সোহেল।
গ্রেফতার হওয়ার দিন ট্রেনে ময়মনসিংহ গিয়ে ২৮ অক্টোবর চেকের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের পর ১ নভেম্বর ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল সোহেলের। এদিন কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে জেলারদের সঙ্গে সভা করে এসব টাকার ভাগের অংশ চট্টগ্রামের ডিআইজি প্রিজন ও সিনিয়র জেল সুপারের লোকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল ।
কারাগারে অবৈধভাবে টাকা কামানোর বিষয়ে সোহেল পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়ে বলে, ঠিকাদার অজিত নন্দির মাধ্যমে কাঁচা বাজারের সঙ্গে মাদক ঢুকিয়ে কারাগারের মাদকাসক্ত বন্দিদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি, বন্দিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানো, কারাগারে ভালো রুমে কম বন্দিদের সঙ্গে আরামে রাখা, রিমান্ডের আসামিকে কষ্ট না দিয়ে ভালোভাবে রাখা, দীর্ঘদিন সাজাপ্রাপ্ত ও কয়েদিদের স্ত্রীর সঙ্গে রাতযাপনের সুযোগ করে দেয়া, বেশি টাকা দিলে হাসপাতালে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া, সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের বিনাশ্রমে রাখা, বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের অপরিচ্ছন্ন কাজ করানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, কারাগারে ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, স্থানীয় বন্দিদের দূরের কারাগারে স্থানান্তরের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, এমনকি খারাপ বন্দিদের দিয়ে ভালো বন্দিদের প্রতিদিন নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হতো।
কারারক্ষী আনোয়ারের নেতৃত্বে আটজন কারারক্ষী এবং কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত বন্দী এসব কাজে আমাকে সহযোগিতা করত। অবৈধভাবে এসব টাকা রোজগারের বিষয়টি আমার দুইজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানতেন। প্রতি মাসে অবৈধ আয়ের টাকা পরের মাসের ৫ তারিখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা হতো। যদিও আমি ধরা পড়ার পর বিষয়টি অস্বীকার করছে তারা।
তবে সোহেল রানার জবানবন্দির অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেছে, নানা অপকর্ম, অফিসিয়াল শৃঙ্খলা ভঙ্গ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতসহ বিভিন্ন অভিযোগে এর আগেও তিনবার বরখাস্ত হয়েছিল সোহেল রানা। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সোহেল মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক গল্প সৃষ্টি করে এসব কথা পুলিশকে জানিয়েছে। অবৈধ টাকার উৎস সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।
একইসঙ্গে জেলার সেহেল রানা বিশ্বাসের জবানবন্দির এসব বিষয় অস্বীকার করে চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি প্রিজন পার্থ কুমার বণিক বলে, জেলার সোহেল একজন মাদকসেবী। তার অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক। পুলিশের হাতে বিপুল টাকা নিয়ে গ্রেফতারের পর অসত্য কথা বলেছে সোহেল। ওই টাকা এবং আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সঠিক নয়।
ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হলে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কারফিউ জারি করেছে।
আজ কারফিউ কার্যকর থাকায় উচ্চমাধ্যমিক পার্ট-১ পরীক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েন। কিশতওয়ারে পাঁচটি কেন্দ্রে পরীক্ষা বাতিল করা হয়। অন্যদিকে, ভাদরওয়াতে পরীক্ষার রোল নম্বর সম্বলিত নথিকে কারফিউ পাশ হিসেবে গণ্য হওয়ায় সেখানে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়নি পরীক্ষার্থীদের।
আজ (শুক্রবার) সকালে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গোলযোগপূর্ণ এলাকায় ফ্ল্যাগমার্চ করা হয়। ডোডা জেলার পুলিশ প্রধান সাবির মালিক বলেন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গোটা জেলায় ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে।
বের হয়ে আসল গোপন তথ্য! আমি পাই ৪২ লাখ, দুই কোটি যায় বসের পকেটে
ট্রেন থেকে মাদকদ্রব্য ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ গ্রেফতার চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে । প্রতিমাসে আমি পাই ৪২ লাখ, দুই কোটি যায় বসের পকেটে।
জাগো নিউজ টুয়েন্টিফোর’ সংবাদ সংস্থার বরাতে জানা যায়,
গত শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) জেলার সোহেল রানাকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে বিপুল পরিমাণ টাকা ও মাদকসহ গ্রেফতারের পর শনিবার কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান করা হয়।
ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি আবদুল মজিদ বলে, রিমান্ডে সোহেল রানা জানিয়েছে ওই দিনের জব্দকৃত ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার মধ্যে ১২ লাখ টাকা ছিল চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি প্রিজন পার্থ কুমার বণিক ও সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিকের। জব্দকৃত আড়াই কোটি টাকা ও ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেকের উৎস সম্পর্কে সোহেল রানা বলেছে টাকাগুলো কারাগারে মাদক ব্যবসাসহ অবৈধভাবে রোজগার করেছে।
সোহেল পুলিশকে আরও বলেছে চট্টগ্রাম কারাগারে অবৈধভাবে প্রতি মাসে আড়াই কোটি টাকা রোজগার হয়। এই টাকার অংশ হিসেবে মাসে ৪২ লাখ টাকা ভাগ পান সোহেল। বাকি দুই কোটি টাকা তার ঊর্ধ্বতন দুই বসকে দেয়া হয়। তবে ওই দুইজন ঊর্ধ্বতন বসের নাম বলেননি সোহেল।
গ্রেফতার হওয়ার দিন ট্রেনে ময়মনসিংহ গিয়ে ২৮ অক্টোবর চেকের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের পর ১ নভেম্বর ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল সোহেলের। এদিন কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে জেলারদের সঙ্গে সভা করে এসব টাকার ভাগের অংশ চট্টগ্রামের ডিআইজি প্রিজন ও সিনিয়র জেল সুপারের লোকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল ।
কারাগারে অবৈধভাবে টাকা কামানোর বিষয়ে সোহেল পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়ে বলে, ঠিকাদার অজিত নন্দির মাধ্যমে কাঁচা বাজারের সঙ্গে মাদক ঢুকিয়ে কারাগারের মাদকাসক্ত বন্দিদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি, বন্দিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানো, কারাগারে ভালো রুমে কম বন্দিদের সঙ্গে আরামে রাখা, রিমান্ডের আসামিকে কষ্ট না দিয়ে ভালোভাবে রাখা, দীর্ঘদিন সাজাপ্রাপ্ত ও কয়েদিদের স্ত্রীর সঙ্গে রাতযাপনের সুযোগ করে দেয়া, বেশি টাকা দিলে হাসপাতালে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া, সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের বিনাশ্রমে রাখা, বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের অপরিচ্ছন্ন কাজ করানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, কারাগারে ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, স্থানীয় বন্দিদের দূরের কারাগারে স্থানান্তরের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, এমনকি খারাপ বন্দিদের দিয়ে ভালো বন্দিদের প্রতিদিন নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হতো।
কারারক্ষী আনোয়ারের নেতৃত্বে আটজন কারারক্ষী এবং কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত বন্দী এসব কাজে আমাকে সহযোগিতা করত। অবৈধভাবে এসব টাকা রোজগারের বিষয়টি আমার দুইজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানতেন। প্রতি মাসে অবৈধ আয়ের টাকা পরের মাসের ৫ তারিখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা হতো। যদিও আমি ধরা পড়ার পর বিষয়টি অস্বীকার করছে তারা।
তবে সোহেল রানার জবানবন্দির অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেছে, নানা অপকর্ম, অফিসিয়াল শৃঙ্খলা ভঙ্গ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতসহ বিভিন্ন অভিযোগে এর আগেও তিনবার বরখাস্ত হয়েছিল সোহেল রানা। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সোহেল মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক গল্প সৃষ্টি করে এসব কথা পুলিশকে জানিয়েছে। অবৈধ টাকার উৎস সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।
একইসঙ্গে জেলার সেহেল রানা বিশ্বাসের জবানবন্দির এসব বিষয় অস্বীকার করে চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি প্রিজন পার্থ কুমার বণিক বলে, জেলার সোহেল একজন মাদকসেবী। তার অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক। পুলিশের হাতে বিপুল টাকা নিয়ে গ্রেফতারের পর অসত্য কথা বলেছে সোহেল। ওই টাকা এবং আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সঠিক নয়।
Comment