Announcement

Collapse
No announcement yet.

"আল্লাহু আকবর' বলে ওরা কোপানো শুরু করে’"- আহ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • "আল্লাহু আকবর' বলে ওরা কোপানো শুরু করে’"- আহ

    "আল্লাহু আকবর' বলে ওরা কোপানো শুরু করে’"- আহমেদুর রশীদ চৌধুরী (টুটুল) || DW


    ‘‘আল্লাহু আকবর' বলে ওরা কোপানো শুরু করে’’

    বাংলাদেশে ব্লগার হত্যার বিচার না হওয়ায় এবং প্রকৃত হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় হামলা থামছে না, মনে করেন প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী (টুটুল)৷ গত অক্টোবরে দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনিসহ দুই ব্লগার৷





    গত ৩১ অক্টোবর ঢাকায় প্রায় একই সময়ে দু'টি হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয়ের দুর্বৃত্তরা৷ একটি হামলা হয় ঢাকার লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে৷ এতে প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী (টুটুল) এবং দুই ব্লগার রণদীপম বসু এবং তারেক রহিম গুরুতর আহত হন৷ ঢাকার আজিজ সুপার মার্কেটে অপর হামলায় প্রাণ হারান প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন৷ তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷

    জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসার আল-ইসলাম' এ সব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷ দু'জন প্রকাশকই ঢাকায় খুন হওয়া ব্লগার এবং লেখক অভিজিৎ রায়ের একাধিক বই প্রকাশ করেছিলেন৷ নাস্তিকতা, সমকামিতার বিভিন্ন বিষয় প্রাধাণ্য পেয়েছে রায়ের লেখায়, যা ধর্মীয় মৌলবাদীদের পছন্দ হয়নি৷ ধারণা করা হয়, তাদের উপর হামলার কারণ সেটাই৷

    রায়ের সমকামিতা, অবিশ্বাসের দর্শন (১ম, ২য় সংস্করণ), ভালোবাসা কারে কয়, শূন্য থেকে মহাবিশ্ব – ইত্যাদির প্রকাশক টুটুল ডয়চে ভেলেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন কেন ব্লগার এবং প্রকাশকরা, বিশেষ করে যারা মুক্তমনা, হামলার শিকার হচ্ছেন৷

    ডয়চে ভেলে: আপনার শারীরিক অবস্থা এখন কেমন?

    আহমেদুর রশীদ চৌধুরী (টুটুল): আগের চেয়ে অনেক ভালো৷ আঘাতজনিত কারণে কিছু সমস্যা আছে৷ সেগুলো সারতে আরো সময়ের প্রয়োজন৷

    আপনার উপরে হামলার কারণ কী?

    হামলার দায় যারা স্বীকার করেছে (আনসারাল আল-ইসলাম, আল-কায়েদা), তারাই তো বলেছে কেন হামলা করেছে৷ মুক্তমনা লেখকদের মুক্তচিন্তা বিষয়ক বই প্রকাশের কারণে, নিজে মুক্তচিন্তার ধারক হওয়ার কারণে এবং এইসব চিন্তা ও অ্যাক্টিভিস্টদের পৃষ্টপোষক হওয়ার কারণে আমি প্রত্যক্ষ হুমকি পেয়েছিলাম গত ফেব্রুয়ারিতে৷ হামলার সময়, আমাকে প্রথম কোপ মারার সময় একজন ‘আল্লাহু আকবর' বলেছিল এটা মনে আছে৷

    আপনার সঙ্গে আরো দুই ব্লগার হামলার শিকার হয়েছেন? হামলার লক্ষ*্য কি তারাও ছিল?

    আপনি মুক্ত চিন্তা ধারন করবেন, এর বিস্তৃতি চাইবেন, লিখবেন; কিন্তু মৌলবাদীদের আক্রমণের লক্ষ্য হবেন না, এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশে আর নাই৷ এ জন্যই আমরা যারা তিনজন সেদিন আমার অফিসে আহত হয়েছি, তাদের মধ্যে আমি আমাকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারিনা৷ তবে সেদিন রণদীপম বসু ও তারেক রহিম না থাকলে, আজ এই ইন্টারভিউ দেয়া বোধ হয় আমার পক্ষে সম্ভব হতো না৷

    হামলাকারীরা কি চাপাতি ছাড়া অন*্য কোনো অস্ত্র ব*্যবহার করেছিল? তারা এমন কি কিছু বলেছিল, যা দিয়ে তাদের পরিচয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়?

    ওদের হাতে কী কী অস্ত্র ছিল আমি মনে করতে পারছি না৷ আমাকে প্রথম আঘাত করেছিল একটা ছোট তলোয়ার জাতীয় কিছু একটা দিয়ে৷ আমি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চেয়ার ও টেবিলের মাঝখানে পরে যাই৷ জ্ঞান হারাই৷ পরে শুনেছি আমাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়েছিল৷ রণদা (রণদীপম বসু) পা দিয়ে চেয়ার ছুড়ে মারায় সেটা লক্ষ্যভ্রস্ট হয়ে যায়৷ রণদা শুনেছেন ওরা তখন বলেছিল সময় শেষ৷ এরপর বাইরের দরজায় তালা লাগিয়ে ওরা চলে যায়৷

    আমাকে আঘাত করার সময় ‘আল্লাহু আকবর' বলেছিল, এটা মনে আছে৷ আর কোনো কথা শুনেছি কিনা বা আক্রমণকারীদের চেহারা কোনো কিছুই মনে নেই৷

    ব্লগার অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার পর আপনার উপরে হামলা হতে পারে এরকম আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিল৷ এই শঙ্কা থাকার উপর আপনি কি পুলিশের কাছে কোনো নিরাপত্তা চেয়েছিলেন বা পেয়েছিলেন?

    ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ নিহত হওয়ার পর, সেদিন রাতেই আমাকে দেয়া হুমকির বিষয়টি আমি জানতে পারি৷ হুমকি দেয়া হয়েছিল ১৬ ফেব্রুয়ারিতে৷ আমি ২৮ ফেব্রুয়ারিতে মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেছিলাম৷ পুলিশ ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২ থেকে ৩ বার আমার অফিস পরিদর্শন করেছে৷ মাঝে মধ্যে সামনের রাস্তায় টহল মোটর সাইকেল দেখেছি৷ নিরাপত্তা চাওয়া এবং পাওয়ার ব্যাপারটি এইটুকুই৷

    অভিজিতের খুনের সঙ্গে আপনার উপর হামলার কি কোনো সম্পর্ক আছে? মুক্তমনা ব্লগ এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্তরা, বিশেষ করে যারা নাস্তিকতার চর্চা করেন, তারাই হামলাকারীদের লক্ষ*্য? আপনার কী মনে হয়?

    সম্পর্ক তো আছেই৷ মৌলবাদ কখনোই তাদের মতের বাইরের কোনো মতের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না৷ বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ক্রমাগত সামরিক শাসন ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন এর কারণে সুষ্ঠু পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মৌলবাদ চর্চার পথ সুগম হয়ে গিয়েছিল৷ মৌলবাদের চারণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ৷ বিকল্প আদর্শ দাঁড়াতে পারছিল না৷ পরিকল্পিত ভাবে পাড়ায় পাড়ায় পাঠাগার, খেলাধুলা, বিজ্ঞানভাবনা, জীবনজগত বিষয়ে শিশুকিশোরদের মনে জিজ্ঞাসা তৈরির যেসব আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম; সবগুলোকেই নষ্ট করে দেয়া হয়েছিল৷ এই পরিস্থিতিতে এই শতাব্দীর প্রথম দিকে ইন্টরনেট প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে আবারো মুক্ত চিন্তার বিষয়টা সামনে চলে আসে৷ তরুণরা দ্রুত প্রযুক্তি ও চিন্তার এই মুক্তধারায় যুক্ত হতে থাকেন৷ অনলাইনের স্ক্রিন থেকে এই লেখা, ভাবনাগুলো ছাপার অক্ষরেও চলে আসে৷ বাড়তে থাকে এই ধারার চর্চা৷ মৌলবাদীদের কাছে এটি খুবই আতঙ্কের৷ এজন্যই ওরা মরিয়া হয়ে উঠে এই ধারার স্রোত রুদ্ধ করতে৷ এর প্রেক্ষিতেই ওরা মাস্টার প্ল্যান করে হত্যা করে রাজিব, অভিজিৎ, অনন্ত, বাবু, নীল ও দীপনকে৷ হত্যা করতে চেয়েছিল আমাকে৷

    আপনার উপর হামলা হওয়ার আগে বাংলাদেশে চলতি বছর চার ব্লগার খুন হয়েছেন৷ এবং আপনার উপর যেদিন হামলা হয় সেদিন আরেক প্রকাশক খুন হয়েছেন৷ ব্লগার, প্রকাশক সর্বোপরি মুক্তমনাদের রক্ষায় সরকার কি যথেষ্ট উদ*্যোগ নিচ্ছে?

    এটা ঘটনারও যদি বিচার হতো তাহলে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করা যেত৷ কিন্তু জানি না কি কারণে অপরাধীদের ধরা যাচ্ছে না বা বিচার করা যাচ্ছে না৷

    বাংলাদেশে এখন কী বাকস্বাধীনতা চর্চার বা মুক্তভাবে মত প্রকাশের কোনো পরিবেশ আছে?

    পরিবেশ খুব সীমিত হয়ে গেছে৷


    ******************************

    Source:- http://www.dw.com/bn/%E0%A6%86%E0%A6...%87/a-18894590

  • #2
    শাইখ উসামাহ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ-
    তোমাদের বাক-স্বধীনতার যদি কোন লাগাম না থাকে, তাহলে আমাদের কর্মের স্বাধীনতার জন্য তোমাদের বক্ষকে প্রশস্ত রাখো।

    শাইখ আনোয়ার আওলাকী রাহিঃ বলেনঃ-
    আল্লাহ ও তার রাসূলকে আক্রমন করা যদি হয় তোমাদের বাক-স্বাধীনতার অংশ , তাহলে শুনে রেখো, তোমাদেরকে হত্যা করাও আমাদের দ্বীনের অংশ।

    আল্লাহু আকবার!
    আল্লাহু আকবার !!
    আল্লাহু আকবার!!!

    Comment


    • #3
      আল্লাহু আকবার !!!!

      Comment

      Working...
      X