সন্দেহভাজন জঙ্গী সদস্য সনাক্তকরণের (রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর) নিয়ামকসমূহ
দাড়ি রাখা, টাখনুর উপর কাপড় পড়া জঙ্গী লক্ষণ! শায়খ তামিম আদনানী ভাই কে আহব্বান
হঠাৎ করে দাড়ি রাখা ও টাখনুর উপর কাপড় পরা শুরু করা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, গায়ে হলুদ, জন্মদিন পালন, গান বাজনাসহ পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতে নিজেকে গুটিয়ে রাখাসহ বেশকিছু বিষয়কে জঙ্গিবাদের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
রোববার দেশের প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিকে সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য সনাক্তকরণের ২৩টি উপায় জানিয়ে এই বিজ্ঞাপন দেয় সংগঠনটি।
এদিকে বিজ্ঞাপনে সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য সনাক্তকরণের যেসব ইন্ডিকেটর দেয়া হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে। আর আলেম-ওলামারা মনে করেন, এমন বিজ্ঞাপন প্রচার কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার করা হচ্ছে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের নামের এই সংগঠনটি গত বছরের ৭ জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির আহ্বায়ক অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের বলেছেন দাড়ি রাখা, টাখনুর ওপর কাপড় পড়া ‘জঙ্গি লক্ষণ’ . একথা বলার পর সামাজিক যোগাযোগ মধোম বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করে বিচার আওতায় আনার জন্য মুসলিম জনতা তীব্র আন্দোলন করেছে হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ দাড়ি রাখা, টাখনুর ওপর কাপড় পড়া ‘জঙ্গি লক্ষণ’ বলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক সংগঠনের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের প্রচার করা বিজ্ঞাপনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসলামের আবশ্যক পালনীয় দাড়ি রাখা, টাখনুর ওপর কাপড় পড়াসহ বেশ কিছু লক্ষণকে জঙ্গি লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরে পীযুষরা বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। পীযুষ বন্দোপাধ্যায় এই বিজ্ঞাপন প্রচার করে ইসলাম ও মুসলমানের হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। শতকরা ৯৩% মুসলমানের দেশে আমাদের প্রিয় নবী হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত নিয়ে বেয়াদবি করার স্পর্ধা দেখাবে আর মুসলমানেরা নীরবে বসে থাকবে তা হতে পারে না।
বিজ্ঞাপনে যা লিখা হয়েছিল তার পুরোটাই নিম্নে ভাইদের নিকট তুলে ধরছি আশা করি আমাদের শায়খ তামিম আদনানী হাফেজাহুল্লাহ সহ মিডিয়ার ভাইয়েরা এই বিষয়ের উপর একটি ভিডিও আকারে বিস্তারিত তু্লে ধরবেন ইংশাআল্লাহ এবার দেখুন কি লিথা হয়েছিল বিজ্ঞাপনে
বাংলাদেশের তথ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষিত ও উচ্চ বিও মেধাবী ছাএরা জঙ্গি হয়ে হামলা ও টার্গেট টেড কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে শহীদে মর্যাদা প্রাপ্তির ভূল নেশায় ডুবে রয়েছে । এই সব যুবক বিদেশে উচ্চ শিক্ষা উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করতে গিয়ে কৌশলে ব্রেইন ওয়াশের শিকার হচ্ছে পরবর্তীতে জঙ্গী সংগঠনের নেতূত্বস্থানীয় ব্যাক্তিতে পরিণত হচ্ছে ও বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে গমন করে সিরিয়া , ইরাক, আফগানিস্তান , ইয়েমেন, লিবিয়া,কাশ্মির প্রভূতি ) জঙ্গী আক্রমনের পরিকল্পনা ও আত্বঘাতি হামলার অংশগ্রহণ করেছে। এই সকল জঙ্গী সদস্যদের জিজ্ঞাসা বাদ , নজরধারী , ব্যাক্তিগত প্রোফাইল দীর্ঘদিন ধরে পর্যালোচনা বিশ্লেষণ করে নিচে উল্লেখিত রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর সমূহ ১২ থেকে ৩৫ বৎসর যুবকদের মধ্যে লক্ষ করা যায় ।
ক, একাডেমিক পড়াশোনা প্রতি অমনোযোগী ও ধর্মীয় বিষয়ে পড়াশোনা অস্বাভাবিক ভাবে বূদ্ধি!!!
খ. আত্বকেন্দ্রিক ( ইস্টোভার্ট) অতি মাএায় চুপ চাপ এবং গভীর ভাবে চিন্তামগ্ন ও ধর্মীয় উপদেশ মূলক কতাবার্তা বলা ।
গ. রুমের মধ্যে বেশীর ভাগ সময় একাকী থাকা ও কার্যক্রমকে গোপন রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকা !
ঘ. ইন্টারনেটের প্রতি অতি মাএায় আসক্তি।
ঙ. ফেইসবুকে ফেইক আইডি ব্যাবহার করে জঙ্গী সংগঠন গুলোর লোগো ব্যবহত ফ্রেন্ডলিস্টে এ্যাড করা এবং জিহাদ সংশ্লিষ্ঠ পোস্ট লাইক কমেন্ট করা ও নিজের জিহাদী মনোভাব ব্যাক্ত করা ।
চ. গনতন্ত্র কে ইসলামের সাথে সাংঘষিক মনে করা । ইসলামি শাসন ব্যবস্থা , শরিয়া আইন এবং খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার জন্য অতি মাএায় আগ্রহ প্রকাশ।
ছ. ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর প্রকূত নামে রেজিস্ট্রেশন না করা ।
জ. হঠাৎ করে অতি মাএায় ধর্ম চর্চার প্রতি ঝোঁক এবং নিদিষ্ঠ কিছু ব্যাক্তির সাথে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করা ।
ঝ. হঠাং করে দাড়ি রাখা এবং টাকনুর নীচে কাপড় পরিধান শুরু করা ।
ঞ. সাংস্কূতিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, গায়ে হলুদ, জম্মদিন পালন , গান বাজনা সহ পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতে নিজেতে গুটিয়ে রাখা এবং শিরক বিদআত বলে যুক্তি প্রদান করা ।
ট. বাবা মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্বীয়স্বজনদের নিজের পরিবর্তিত মতাদর্শ বিশ্বাস করতে ও মানতে বাধ্য করা চেস্টা করা ।
ঠ. সুনিদিষ্ঠ কিছু মসজিদ এবং ইমামের পেছনে নামাজ পড়ার প্রবণতা
ড. কুরআন হাদীসের অরিজিনাল কপি না পড়ে অনলাইনে প্রাপ্ত রেফারেন্স ও একই মতাদর্শী নিদিষ্ট কিছু ব্যাক্তির মতামত কে বেশী যোক্তিক মনে করা এবং কোন ইমাম জ্ঞানী / ব্যাক্তিদের পরামর্শ নেওয়া
ঢ. জিহাদ সংক্রান্ত পড়াশোনা ( গাজওয়াতুল হিন্দ খোরাসান শাম সংক্রান্ত বিভিন্ন রেফারেন্স , ইমাম মাহদী ও দাজ্জালের আগমন ইত্যাদি ) ও মুসলিম দেশে চলমান মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে অতি মাএায় উদ্বিগ্ন থাকা ।
ণ. দাওয়া / বিভিন্ন জিহাদী গোপন বৈঠকের ( হালাকা) আয়োজন করা এবং বিভিন্ন স্থানের নিদিষ্ট দিনে ও সময়ে পূর্ব নির্বাচিত স্থানে নিজেরাই পর্যাক্রমে আমির নির্বাচিত করে প্রপাগেটিভ বক্তা / শ্রোতা হওয়া ।
ত. আনওয়ার আল আওলাকি, তামিম আল আদনানী , জসিম উদ্দীন রাহমানী , আসিম ওমর প্রভূতি জিহাদী মনোভাবাপন্ন ব্যাক্তির অডিও/ভিডিও/ লেকচার শোনা এবং জঙ্গী সংগঠন কর্তক প্রকাশিত বিভিন্ন ম্যাগাজিন ( দাবিক- আই-এস, ইন্সপায়ার একিউ ইত্যাদি), ইবুক পড়তে শুরু করা ।
থ. মিলাদ , শবে বরাত, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া সহ প্রচলিত সামাজিক রাষ্ট্রীয় দিবস সমূহের ধর্মীয় দূষ্ঠিকোণ থেকে সমালোচনা করা
দ. প্রচলিত মাযহাবকে ভূল প্রমাণের প্রবণতা এবং তথাকথিত আহলে হাদীস/ সালাফী/ ওযাহাবী মতাদর্শর প্রতি আস্তে আস্তে ঝুকেঁ পড়া ও নিজেকে লা-মাযহাবি বলে দাবি করা ।
ধ. ধর্ম চর্চার পাশাপাশি শরীর চর্চা ও ক্যাম্পিং এর মতো বিষয়ে আগ্রহী হওয়া ।
২. রেডিক্যালাইজেশন নের ০৪ টি ধাপে নিম্নরূপে নিজেকে সম্পূক্ত করা:
ক। ১ম ধাপ- pre Realization তাওহীদ, শিরক, বেদাত, ইমান , আকিদা , সালাত, ইসলামের মূলনীতি দাওয়া/ হালাকা ইত্যাদি সর্ম্পকে আলোচনা করা
খ. ২য় ধাপ- conversation and identification with Radical Islam মাযহাব হতে লা- মাযহাব ইসলাম ও গনতন্ত্র সাংঘর্ষিক , সামাজিক অনুষ্ঠানাদী বর্জন , শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া , স্মূতিসৌধ , সরকার তাগুত/ কাফির/ বিচার ব্যবস্থা ইত্যাদি সর্ম্পকে । নেতিবাচক মনোভাব ।
গ। ৩ য় ধাপ:- indoctrination and increased group Bonding : হিজরত । প্রশিক্ষণ গ্রহণ , জিহাদী অডিও/ ভিডিও দেখা , টার্গেট রেকি করার পদ্ধতি , গোপন যোগাযোগ ( এ্যাপস ব্যবহার)
ঘ। ৪র্থ ধাপ –actual acts of terrorism or planned plots: টার্গেটেড কিলিং জঙ্গী হামলার পরিকল্পনা ? অংশগ্রহণ অর্থ/ অস্ত্র গোলা বারুদ সংগ্রহ ব্যবহার ।
আপনার পরিবারের বা আশেপাশে কারো মধ্যে এ্ লক্ষণসমূহ দেখা গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা নিন ।
প্রচারে সম্প্রীতি বাংলাদেশ
পরিশেষে কিছু কথা
মুসলমানের দেশে আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর সুন্নাত কে নিয়ে বেয়াদবী করার স্পর্ধা দেখে অবাক হচ্ছি। এটা কোনভাবেই মানা যায়না। এই বেয়াদবীর চরম শাস্তি একদিন হবেই ইংশাআল্লাহ সারা বিশ্বের মুজাহিদিন জেগে উঠেছে তারা কোনো
নিন্দুকের নিন্দায় পরোয়া করে না তারা মুসলিম বিশ্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেই ইংশাআল্লাহ যে দেশে মুরতাদ হাসিনা বলে দূর্গা মা আসার কারনে ফসল বেশী হয় সেই দেশে ইসলাম কে নিয়ে হিন্দুরা এ ধরনের বক্তব্য দিতেই পারেই আসলে আহলে হাদীস জিহাদী বিদ্বেষী দল হয়েও জঙ্গী বলে আসলেই এই দেশে কোনো মুসলমান নিরাপদ নয় এই বিষয়ে শায়খ তামিম আদনানী ভাইয়ের একটা লেকচারের অপেক্ষাই থাকবো ইংশাআল্লাহ
দাড়ি রাখা, টাখনুর উপর কাপড় পড়া জঙ্গী লক্ষণ! শায়খ তামিম আদনানী ভাই কে আহব্বান
হঠাৎ করে দাড়ি রাখা ও টাখনুর উপর কাপড় পরা শুরু করা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, গায়ে হলুদ, জন্মদিন পালন, গান বাজনাসহ পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতে নিজেকে গুটিয়ে রাখাসহ বেশকিছু বিষয়কে জঙ্গিবাদের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
রোববার দেশের প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিকে সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য সনাক্তকরণের ২৩টি উপায় জানিয়ে এই বিজ্ঞাপন দেয় সংগঠনটি।
এদিকে বিজ্ঞাপনে সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য সনাক্তকরণের যেসব ইন্ডিকেটর দেয়া হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে। আর আলেম-ওলামারা মনে করেন, এমন বিজ্ঞাপন প্রচার কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার করা হচ্ছে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের নামের এই সংগঠনটি গত বছরের ৭ জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির আহ্বায়ক অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের বলেছেন দাড়ি রাখা, টাখনুর ওপর কাপড় পড়া ‘জঙ্গি লক্ষণ’ . একথা বলার পর সামাজিক যোগাযোগ মধোম বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করে বিচার আওতায় আনার জন্য মুসলিম জনতা তীব্র আন্দোলন করেছে হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ দাড়ি রাখা, টাখনুর ওপর কাপড় পড়া ‘জঙ্গি লক্ষণ’ বলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক সংগঠনের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের প্রচার করা বিজ্ঞাপনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসলামের আবশ্যক পালনীয় দাড়ি রাখা, টাখনুর ওপর কাপড় পড়াসহ বেশ কিছু লক্ষণকে জঙ্গি লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরে পীযুষরা বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। পীযুষ বন্দোপাধ্যায় এই বিজ্ঞাপন প্রচার করে ইসলাম ও মুসলমানের হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। শতকরা ৯৩% মুসলমানের দেশে আমাদের প্রিয় নবী হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত নিয়ে বেয়াদবি করার স্পর্ধা দেখাবে আর মুসলমানেরা নীরবে বসে থাকবে তা হতে পারে না।
বিজ্ঞাপনে যা লিখা হয়েছিল তার পুরোটাই নিম্নে ভাইদের নিকট তুলে ধরছি আশা করি আমাদের শায়খ তামিম আদনানী হাফেজাহুল্লাহ সহ মিডিয়ার ভাইয়েরা এই বিষয়ের উপর একটি ভিডিও আকারে বিস্তারিত তু্লে ধরবেন ইংশাআল্লাহ এবার দেখুন কি লিথা হয়েছিল বিজ্ঞাপনে
বাংলাদেশের তথ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষিত ও উচ্চ বিও মেধাবী ছাএরা জঙ্গি হয়ে হামলা ও টার্গেট টেড কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে শহীদে মর্যাদা প্রাপ্তির ভূল নেশায় ডুবে রয়েছে । এই সব যুবক বিদেশে উচ্চ শিক্ষা উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করতে গিয়ে কৌশলে ব্রেইন ওয়াশের শিকার হচ্ছে পরবর্তীতে জঙ্গী সংগঠনের নেতূত্বস্থানীয় ব্যাক্তিতে পরিণত হচ্ছে ও বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে গমন করে সিরিয়া , ইরাক, আফগানিস্তান , ইয়েমেন, লিবিয়া,কাশ্মির প্রভূতি ) জঙ্গী আক্রমনের পরিকল্পনা ও আত্বঘাতি হামলার অংশগ্রহণ করেছে। এই সকল জঙ্গী সদস্যদের জিজ্ঞাসা বাদ , নজরধারী , ব্যাক্তিগত প্রোফাইল দীর্ঘদিন ধরে পর্যালোচনা বিশ্লেষণ করে নিচে উল্লেখিত রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর সমূহ ১২ থেকে ৩৫ বৎসর যুবকদের মধ্যে লক্ষ করা যায় ।
ক, একাডেমিক পড়াশোনা প্রতি অমনোযোগী ও ধর্মীয় বিষয়ে পড়াশোনা অস্বাভাবিক ভাবে বূদ্ধি!!!
খ. আত্বকেন্দ্রিক ( ইস্টোভার্ট) অতি মাএায় চুপ চাপ এবং গভীর ভাবে চিন্তামগ্ন ও ধর্মীয় উপদেশ মূলক কতাবার্তা বলা ।
গ. রুমের মধ্যে বেশীর ভাগ সময় একাকী থাকা ও কার্যক্রমকে গোপন রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকা !
ঘ. ইন্টারনেটের প্রতি অতি মাএায় আসক্তি।
ঙ. ফেইসবুকে ফেইক আইডি ব্যাবহার করে জঙ্গী সংগঠন গুলোর লোগো ব্যবহত ফ্রেন্ডলিস্টে এ্যাড করা এবং জিহাদ সংশ্লিষ্ঠ পোস্ট লাইক কমেন্ট করা ও নিজের জিহাদী মনোভাব ব্যাক্ত করা ।
চ. গনতন্ত্র কে ইসলামের সাথে সাংঘষিক মনে করা । ইসলামি শাসন ব্যবস্থা , শরিয়া আইন এবং খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার জন্য অতি মাএায় আগ্রহ প্রকাশ।
ছ. ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর প্রকূত নামে রেজিস্ট্রেশন না করা ।
জ. হঠাৎ করে অতি মাএায় ধর্ম চর্চার প্রতি ঝোঁক এবং নিদিষ্ঠ কিছু ব্যাক্তির সাথে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করা ।
ঝ. হঠাং করে দাড়ি রাখা এবং টাকনুর নীচে কাপড় পরিধান শুরু করা ।
ঞ. সাংস্কূতিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, গায়ে হলুদ, জম্মদিন পালন , গান বাজনা সহ পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতে নিজেতে গুটিয়ে রাখা এবং শিরক বিদআত বলে যুক্তি প্রদান করা ।
ট. বাবা মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্বীয়স্বজনদের নিজের পরিবর্তিত মতাদর্শ বিশ্বাস করতে ও মানতে বাধ্য করা চেস্টা করা ।
ঠ. সুনিদিষ্ঠ কিছু মসজিদ এবং ইমামের পেছনে নামাজ পড়ার প্রবণতা
ড. কুরআন হাদীসের অরিজিনাল কপি না পড়ে অনলাইনে প্রাপ্ত রেফারেন্স ও একই মতাদর্শী নিদিষ্ট কিছু ব্যাক্তির মতামত কে বেশী যোক্তিক মনে করা এবং কোন ইমাম জ্ঞানী / ব্যাক্তিদের পরামর্শ নেওয়া
ঢ. জিহাদ সংক্রান্ত পড়াশোনা ( গাজওয়াতুল হিন্দ খোরাসান শাম সংক্রান্ত বিভিন্ন রেফারেন্স , ইমাম মাহদী ও দাজ্জালের আগমন ইত্যাদি ) ও মুসলিম দেশে চলমান মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে অতি মাএায় উদ্বিগ্ন থাকা ।
ণ. দাওয়া / বিভিন্ন জিহাদী গোপন বৈঠকের ( হালাকা) আয়োজন করা এবং বিভিন্ন স্থানের নিদিষ্ট দিনে ও সময়ে পূর্ব নির্বাচিত স্থানে নিজেরাই পর্যাক্রমে আমির নির্বাচিত করে প্রপাগেটিভ বক্তা / শ্রোতা হওয়া ।
ত. আনওয়ার আল আওলাকি, তামিম আল আদনানী , জসিম উদ্দীন রাহমানী , আসিম ওমর প্রভূতি জিহাদী মনোভাবাপন্ন ব্যাক্তির অডিও/ভিডিও/ লেকচার শোনা এবং জঙ্গী সংগঠন কর্তক প্রকাশিত বিভিন্ন ম্যাগাজিন ( দাবিক- আই-এস, ইন্সপায়ার একিউ ইত্যাদি), ইবুক পড়তে শুরু করা ।
থ. মিলাদ , শবে বরাত, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া সহ প্রচলিত সামাজিক রাষ্ট্রীয় দিবস সমূহের ধর্মীয় দূষ্ঠিকোণ থেকে সমালোচনা করা
দ. প্রচলিত মাযহাবকে ভূল প্রমাণের প্রবণতা এবং তথাকথিত আহলে হাদীস/ সালাফী/ ওযাহাবী মতাদর্শর প্রতি আস্তে আস্তে ঝুকেঁ পড়া ও নিজেকে লা-মাযহাবি বলে দাবি করা ।
ধ. ধর্ম চর্চার পাশাপাশি শরীর চর্চা ও ক্যাম্পিং এর মতো বিষয়ে আগ্রহী হওয়া ।
২. রেডিক্যালাইজেশন নের ০৪ টি ধাপে নিম্নরূপে নিজেকে সম্পূক্ত করা:
ক। ১ম ধাপ- pre Realization তাওহীদ, শিরক, বেদাত, ইমান , আকিদা , সালাত, ইসলামের মূলনীতি দাওয়া/ হালাকা ইত্যাদি সর্ম্পকে আলোচনা করা
খ. ২য় ধাপ- conversation and identification with Radical Islam মাযহাব হতে লা- মাযহাব ইসলাম ও গনতন্ত্র সাংঘর্ষিক , সামাজিক অনুষ্ঠানাদী বর্জন , শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া , স্মূতিসৌধ , সরকার তাগুত/ কাফির/ বিচার ব্যবস্থা ইত্যাদি সর্ম্পকে । নেতিবাচক মনোভাব ।
গ। ৩ য় ধাপ:- indoctrination and increased group Bonding : হিজরত । প্রশিক্ষণ গ্রহণ , জিহাদী অডিও/ ভিডিও দেখা , টার্গেট রেকি করার পদ্ধতি , গোপন যোগাযোগ ( এ্যাপস ব্যবহার)
ঘ। ৪র্থ ধাপ –actual acts of terrorism or planned plots: টার্গেটেড কিলিং জঙ্গী হামলার পরিকল্পনা ? অংশগ্রহণ অর্থ/ অস্ত্র গোলা বারুদ সংগ্রহ ব্যবহার ।
আপনার পরিবারের বা আশেপাশে কারো মধ্যে এ্ লক্ষণসমূহ দেখা গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা নিন ।
প্রচারে সম্প্রীতি বাংলাদেশ
পরিশেষে কিছু কথা
মুসলমানের দেশে আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর সুন্নাত কে নিয়ে বেয়াদবী করার স্পর্ধা দেখে অবাক হচ্ছি। এটা কোনভাবেই মানা যায়না। এই বেয়াদবীর চরম শাস্তি একদিন হবেই ইংশাআল্লাহ সারা বিশ্বের মুজাহিদিন জেগে উঠেছে তারা কোনো
নিন্দুকের নিন্দায় পরোয়া করে না তারা মুসলিম বিশ্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেই ইংশাআল্লাহ যে দেশে মুরতাদ হাসিনা বলে দূর্গা মা আসার কারনে ফসল বেশী হয় সেই দেশে ইসলাম কে নিয়ে হিন্দুরা এ ধরনের বক্তব্য দিতেই পারেই আসলে আহলে হাদীস জিহাদী বিদ্বেষী দল হয়েও জঙ্গী বলে আসলেই এই দেশে কোনো মুসলমান নিরাপদ নয় এই বিষয়ে শায়খ তামিম আদনানী ভাইয়ের একটা লেকচারের অপেক্ষাই থাকবো ইংশাআল্লাহ
Comment