কেউই প্রতারণা ও তর্জন-গর্জন করে বা কঠিন বাস্তবতা অগ্রাহ্য করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না বা যুদ্ধে জয় পেতে পারে না। অবশ্য আফগানিস্তানে দীর্ঘ দিন ধরে এভাবেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যারা শান্তির কথা বলছেন আর যারা যুদ্ধ অব্যাহত রাখার পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন, উভয় পক্ষই, যে কারণে ভয়াবহ এই যুদ্ধ চলছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে জঘন্য ও সবচেয়ে কম কার্যকর সরকারের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো ভয়াবহ বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করে যাচ্ছেন।
যুদ্ধের সামরিক ধারা, আফগান বাহিনীর সাফল্য ও যুদ্ধক্ষেত্রে আমেরিকান বাহিনীর গুরুত্ব সম্পর্কে সরকারি ভাষ্য পাওয়ার প্রধান সূত্র তিনটি: প্রতিরক্ষা দফতরের সরকারি প্রতিবেদন, আফগানিস্তান পুনর্গঠনবিষয়ক বিশেষ মহাপরিদর্শক ও প্রধান মহাপরিদর্শক। এদের সবাই যুদ্ধ সম্পর্কে বক্তব্য দিচ্ছে, তাতে সবচেয়ে আশাবাদী যে বক্তব্যটি পাওয়া গেছে তা হলো অচলাবস্থা বিরাজ করছে। আর এখন খুব সম্ভবত তালেবান ধীরে ধীরে জয়ী হচ্ছে।
রেজুলেট সাপোর্ট মিশন কোন পক্ষ নির্দিষ্ট জেলা নিয়ন্ত্রণ করছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, প্রভাব বিস্তার করছে, সে সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রদান করা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ এ ধরনের প্রতিবেদনে তালেবানের সাফল্যই ফুটে ওঠছে। সব প্রতিবেদনেই শান্তি প্রতিষ্ঠা বা সফলভাবে যুদ্ধ করতে সক্ষম এমন আফগান বাহিনী গঠনে সংশয়ই প্রকাশ পাচ্ছে। সব সূচকেই দেখা যাচ্ছে, সরকারি বাহিনীকে যদি টিকে থাকতে হয় বা প্রধান প্রধান লোকালয়কে রক্ষা করতে হয়, তবে তাদের আমেরিকান বাহিনীর প্রয়োজন।
সব সূচকেই দেখা যাচ্ছে, রণাঙ্গনে আমেরিকান সৈন্যের মোট সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়। বরং সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাসিস্ট্যান্স ব্রিগেডের মতো আফগান যুদ্ধ ইউনিটগুলোকে আমেরিকান উপদেষ্টা প্রদান, এলিট আমেরিকান কমব্যাট ট্রুপস থেকে আফগান বিশেষ বাহিনীকে সমর্থন প্রদান, যুক্তরাষ্ট্রে অত্যাধুনিক গোয়েন্দা ও টার্গেটিং সিস্টেম থেকে বিমান হামলায় কতবার সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, সেগুলোই ব্যবধান গড়ে দিচ্ছে।
বাইরের এসব সমর্থন কেন প্রয়োজন, তাও স্পষ্ট। আফগান বাহিনী কোনোভাবেই মানসম্পন্ন নয়। পুলিশের সক্ষমতার অভাব রয়েছে, সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যাওয়া লোক ব্যাপক, আফগান বিমান বাহিনী ফাঁপা জিনিস। লোকালয়গুলোতে তালেবানের বড় ধরনের হামলা আফগান বাহিনী প্রতিরোধ করতে পারছে কেবল আমেরিকান বিমান বাহিনীর ক্রমবর্ধমান তৎপরতার কারণে। আমেরিকার বিমান ও ড্রোন হামলা ২০১৫ সালে যেখানে ছিল ৯৫০টির কম, ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৭,৩০০, চলতি বছর এ পর্যন্ত হয়েছে ৩,৭০০।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহার করতে চাওয়া হচ্ছে দেশটিতে বিদেশী সৈন্যের ভূমিকা অবমূল্যায়নের কারণে। বর্তমানে সেখানে আমেরিকান সৈন্য রয়েছে ১৪ হাজারের বেশি।
এরা স্থায়ীভাবে নিয়োজিত সৈন্য। আফগানিস্তানের বাইরে থেকে বিমান হামলা পরিচালনাকারী এই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত নয়। তাছাড়া প্রায় ১২,২০০ আমেরিকান ঠিকাদার, ১২,২০০ বিদেশী ঠিকাদার, ৬ হাজার আফগান ঠিকাদারও যে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর হয়ে কাজ করছে, সে হিসাবটা সামনে আনা হচ্ছে না। আমেরিকানরা ফিরে গেলে মিত্র বাহিনীর ৮,৪০০ সৈন্যও ফিরে যাবে। সব মিলিয়ে আফগানিস্তানে মোট আমেরিকান উপস্থিতি ১৪ হাজার নয়, বরং সংখ্যাটি ৫০ হাজার।
আবার শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক বা যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক, প্রতি বছর যে আফগানিস্তান ৫ বিলিয়ন আমেরিকান সহায়তার ওপর নির্ভর করে আছে, সে ব্যাপারে কোনো আলোচনা দেখা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, বিদেশে বিভিন্ন সামরিক কার্যক্রমে আমেরিকা বছরে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করছে।
সংক্ষেপে বলা যায়, ভালো কোনো সামরিক বিকল্প দেখা যাচ্ছে না। যেকোনো শান্তিপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মোট সামরিক ও ঠিকাদার সদস্য বা নিরাপত্তা সহায়তা হ্রাস করা হলে ক্ষমতার শূন্যতা সৃষ্টি হবে। আর তালেবান তা ভালোমতোই কাজে লাগাতে পারবে। কারণ ভারী অস্ত্র রাখে না এমন কোনো অনিয়মিত বাহিনীকে নিরস্ত্র করার বাস্তব কোনো পথ নেই। আবার আফগান বাহিনী সন্ত্রাস প্রতিরোধী বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠবে, এমন কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। ফলে সুনির্দিষ্ট কোনো শান্তিচুক্তি ছাড়া দেশটি থেকে সরে যাওয়ার মানে হলো সরকারের পতন ও তালেবানের ক্ষমতায় আসা।
চলে যাওয়া বা থেকে যাওয়ার জন্য বেসামরিক বিকল্পও দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বব্যাংকের সুশাসন সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে আফগানিস্তানই সবচেয়ে খারাপ ও সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। আর ওয়ার্ল্ড জাস্টিজ প্রজেক্টের মতে, আফগান বিচারব্যবস্থা বিশ্বে সবচেয়ে জঘন্য ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে চতুর্থ। আসন্ন নির্বাচনের পর জাতি আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বা অন্য কারো পেছনে ঐক্যবদ্ধ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব খারাপ। বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে, আফগানিস্তানের জাতীয় আয় মাত্র ৫৫০ ডলার। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার গড় ১,৯২৫ ডলার, বাংলাদেশের ১,৭৫০ ডলার, পাকিস্তানের ১,৫৮০ ডলার, ভারতের ২০২০ ডলার। দেশটির ৫৬ ভাগ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।
জনসংখ্যাও চাপ সৃষ্টি করছে। ১৯৫০ সালে দেশটির জনসংখ্যা ছিল ৮ মিলিয়ন, ২০০১ সালে হয়েছিল ২২ মিলিয়ন, চলতি বছর হয়েছে ৩৬ মিলিয়ন।
অর্থাৎ সব দিক থেকেই অবস্থা খারাপ। একটাই উপায় আছে, তা হলো, সম্ভব সেরা শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করা। কঠোর বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে এই বিকল্পটি গ্রহণ করা উচিত। উত্তপ্ত আদর্শগত গলাবাজীর ভিত্তিতে বা ফাঁপা রাজনৈতিক ইঙ্গিতের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।
লেখক: আরলেগ বার্ক চেয়ার, সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, ওয়াশিংটন
যুদ্ধের সামরিক ধারা, আফগান বাহিনীর সাফল্য ও যুদ্ধক্ষেত্রে আমেরিকান বাহিনীর গুরুত্ব সম্পর্কে সরকারি ভাষ্য পাওয়ার প্রধান সূত্র তিনটি: প্রতিরক্ষা দফতরের সরকারি প্রতিবেদন, আফগানিস্তান পুনর্গঠনবিষয়ক বিশেষ মহাপরিদর্শক ও প্রধান মহাপরিদর্শক। এদের সবাই যুদ্ধ সম্পর্কে বক্তব্য দিচ্ছে, তাতে সবচেয়ে আশাবাদী যে বক্তব্যটি পাওয়া গেছে তা হলো অচলাবস্থা বিরাজ করছে। আর এখন খুব সম্ভবত তালেবান ধীরে ধীরে জয়ী হচ্ছে।
রেজুলেট সাপোর্ট মিশন কোন পক্ষ নির্দিষ্ট জেলা নিয়ন্ত্রণ করছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, প্রভাব বিস্তার করছে, সে সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রদান করা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ এ ধরনের প্রতিবেদনে তালেবানের সাফল্যই ফুটে ওঠছে। সব প্রতিবেদনেই শান্তি প্রতিষ্ঠা বা সফলভাবে যুদ্ধ করতে সক্ষম এমন আফগান বাহিনী গঠনে সংশয়ই প্রকাশ পাচ্ছে। সব সূচকেই দেখা যাচ্ছে, সরকারি বাহিনীকে যদি টিকে থাকতে হয় বা প্রধান প্রধান লোকালয়কে রক্ষা করতে হয়, তবে তাদের আমেরিকান বাহিনীর প্রয়োজন।
সব সূচকেই দেখা যাচ্ছে, রণাঙ্গনে আমেরিকান সৈন্যের মোট সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়। বরং সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাসিস্ট্যান্স ব্রিগেডের মতো আফগান যুদ্ধ ইউনিটগুলোকে আমেরিকান উপদেষ্টা প্রদান, এলিট আমেরিকান কমব্যাট ট্রুপস থেকে আফগান বিশেষ বাহিনীকে সমর্থন প্রদান, যুক্তরাষ্ট্রে অত্যাধুনিক গোয়েন্দা ও টার্গেটিং সিস্টেম থেকে বিমান হামলায় কতবার সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, সেগুলোই ব্যবধান গড়ে দিচ্ছে।
বাইরের এসব সমর্থন কেন প্রয়োজন, তাও স্পষ্ট। আফগান বাহিনী কোনোভাবেই মানসম্পন্ন নয়। পুলিশের সক্ষমতার অভাব রয়েছে, সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যাওয়া লোক ব্যাপক, আফগান বিমান বাহিনী ফাঁপা জিনিস। লোকালয়গুলোতে তালেবানের বড় ধরনের হামলা আফগান বাহিনী প্রতিরোধ করতে পারছে কেবল আমেরিকান বিমান বাহিনীর ক্রমবর্ধমান তৎপরতার কারণে। আমেরিকার বিমান ও ড্রোন হামলা ২০১৫ সালে যেখানে ছিল ৯৫০টির কম, ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৭,৩০০, চলতি বছর এ পর্যন্ত হয়েছে ৩,৭০০।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহার করতে চাওয়া হচ্ছে দেশটিতে বিদেশী সৈন্যের ভূমিকা অবমূল্যায়নের কারণে। বর্তমানে সেখানে আমেরিকান সৈন্য রয়েছে ১৪ হাজারের বেশি।
এরা স্থায়ীভাবে নিয়োজিত সৈন্য। আফগানিস্তানের বাইরে থেকে বিমান হামলা পরিচালনাকারী এই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত নয়। তাছাড়া প্রায় ১২,২০০ আমেরিকান ঠিকাদার, ১২,২০০ বিদেশী ঠিকাদার, ৬ হাজার আফগান ঠিকাদারও যে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর হয়ে কাজ করছে, সে হিসাবটা সামনে আনা হচ্ছে না। আমেরিকানরা ফিরে গেলে মিত্র বাহিনীর ৮,৪০০ সৈন্যও ফিরে যাবে। সব মিলিয়ে আফগানিস্তানে মোট আমেরিকান উপস্থিতি ১৪ হাজার নয়, বরং সংখ্যাটি ৫০ হাজার।
আবার শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক বা যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক, প্রতি বছর যে আফগানিস্তান ৫ বিলিয়ন আমেরিকান সহায়তার ওপর নির্ভর করে আছে, সে ব্যাপারে কোনো আলোচনা দেখা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, বিদেশে বিভিন্ন সামরিক কার্যক্রমে আমেরিকা বছরে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করছে।
সংক্ষেপে বলা যায়, ভালো কোনো সামরিক বিকল্প দেখা যাচ্ছে না। যেকোনো শান্তিপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মোট সামরিক ও ঠিকাদার সদস্য বা নিরাপত্তা সহায়তা হ্রাস করা হলে ক্ষমতার শূন্যতা সৃষ্টি হবে। আর তালেবান তা ভালোমতোই কাজে লাগাতে পারবে। কারণ ভারী অস্ত্র রাখে না এমন কোনো অনিয়মিত বাহিনীকে নিরস্ত্র করার বাস্তব কোনো পথ নেই। আবার আফগান বাহিনী সন্ত্রাস প্রতিরোধী বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠবে, এমন কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। ফলে সুনির্দিষ্ট কোনো শান্তিচুক্তি ছাড়া দেশটি থেকে সরে যাওয়ার মানে হলো সরকারের পতন ও তালেবানের ক্ষমতায় আসা।
চলে যাওয়া বা থেকে যাওয়ার জন্য বেসামরিক বিকল্পও দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বব্যাংকের সুশাসন সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে আফগানিস্তানই সবচেয়ে খারাপ ও সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। আর ওয়ার্ল্ড জাস্টিজ প্রজেক্টের মতে, আফগান বিচারব্যবস্থা বিশ্বে সবচেয়ে জঘন্য ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে চতুর্থ। আসন্ন নির্বাচনের পর জাতি আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বা অন্য কারো পেছনে ঐক্যবদ্ধ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব খারাপ। বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে, আফগানিস্তানের জাতীয় আয় মাত্র ৫৫০ ডলার। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার গড় ১,৯২৫ ডলার, বাংলাদেশের ১,৭৫০ ডলার, পাকিস্তানের ১,৫৮০ ডলার, ভারতের ২০২০ ডলার। দেশটির ৫৬ ভাগ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।
জনসংখ্যাও চাপ সৃষ্টি করছে। ১৯৫০ সালে দেশটির জনসংখ্যা ছিল ৮ মিলিয়ন, ২০০১ সালে হয়েছিল ২২ মিলিয়ন, চলতি বছর হয়েছে ৩৬ মিলিয়ন।
অর্থাৎ সব দিক থেকেই অবস্থা খারাপ। একটাই উপায় আছে, তা হলো, সম্ভব সেরা শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করা। কঠোর বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে এই বিকল্পটি গ্রহণ করা উচিত। উত্তপ্ত আদর্শগত গলাবাজীর ভিত্তিতে বা ফাঁপা রাজনৈতিক ইঙ্গিতের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।
লেখক: আরলেগ বার্ক চেয়ার, সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, ওয়াশিংটন
Comment