Announcement

Collapse
No announcement yet.

''আল-কায়েদা চায় তারা আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবে।''

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ''আল-কায়েদা চায় তারা আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবে।''

    ইতিহাসের সাক্ষী: ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনেকেই, কিন্তু কেন তা উপেক্ষিত হয়েছিল? -সূত্র- বিবিসি বাংলা

    দু'হাজার এক সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছিল এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা।

    সেদিন আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা চারটি বিমান ছিনতাই করে। দুটি বিমান দিয়ে আঘাত করা হয় নিউইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ারে, একটি আঘাত করে ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে, আরেকটি বিধ্বস্ত হয় একটি মাঠে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত সবচেয়ে বড় এই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় প্রায় ৩ হাজার লোক।

    ভয়াবহ এই হামলা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। ঘটনাটি ছিল যেন অকল্পনীয়, এবং কী করে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন একটা আক্রমণ ঘটে যেতে পারলো - কেউই যেন তা ভাবতে পারছিলেন না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কেউ কেউ এ হামলার কথা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন।

    অনেক আগেই সতর্ক করা হয়েছিল: 'বড় মাপের আক্রমণ' হতে যাচ্ছে

    তার অনেক আগে থেকেই পুরো বছর জুড়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে বার বার সতর্ক করে দেয়া হচ্ছিল যে আমেরিকায় যে কোন মুহূর্তে একটা সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে।

    সিআইএ, এফবিআই, মার্কিন কংগ্রেস কমিশন - সবাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল। এমনকি এমন সতর্কবাণীও দেয়া হয়েছিল যে উড়ন্ত বিমান দিয়ে উঁচু ভবনে আঘাত করা হতে পারে।

    কংগ্রেসের কমিশন বার বার সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করছিল যেন তারা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়। ওই কমিশনের তখনকার প্রধান ছিলেন সিনেটর হ্যারি হার্ট।


    ২০০১ সালের গ্রীষ্মকাল জুড়েই আসছিল সেই সব সতর্কবাণী। একটি বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে, এবং সে আক্রমণ ঘটতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই।

    "আমার মনে হয় না আমি বা অন্য কেউ এটা চিহ্নিত করতে পেরেছিলাম যে কোন দিক থেকে আক্রমণটা আসতে পারে, কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলাম যে আমাদের ওপর কোন একটা হামলা হতে যাচ্ছে এবং তা বেশ শিগগীরই হতে যাচ্ছে।"


    ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার: ৯/১১-র আক্রমণের আগে গ্যারি হার্ট সে সময় ছিলেন সাবেক ডেমোক্র্যাট সেনেটর, এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি কংগ্রেস কমিশনের প্রধান। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হবার জন্য মনোনয়ন পাবার লড়াইয়েও ছিলেন।

    নিরাপত্তা ঝুঁকির ওপর আগাম রিপোর্ট

    ১১ই সেপ্টেম্বর হামলার আট মাস আগে গ্যারি হার্ট এবং রিপাবলিকান ওয়ারেন রাডম্যান একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন - যার বিষয় ছিল 'নতুন শতাব্দীতে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো কি ধরনের হবে - এবং রিপোর্টটি তৈরি হয়েছিল আড়াই বছর ধরে তদন্তের পর।

    এ জন্য কমিশন ২০টি দেশের শতাধিক লোকের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছিল এবং এটাই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার নিরাপত্তার ওপর সবচেয়ে বিশদ পর্যালোচনা। বিদেশনীতি এবং নিরাপত্তা বিষয়ে আমেরিকার শ্রেষ্ঠ বিশেষজ্ঞদের সমাবেশ ঘটেছিল এই কমিশনে। তারা যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন তা ছিল খুবই গুরুতর।

    "কমিশনের এগারো জন সদস্য সব তথ্য-উপাত্তের বিশ্লেষণ করে উপলব্ধি করেন যে - আমেরিকানরা একটা স্পষ্ট এবং বিদ্যমান ঝুঁকির সম্মুখীন যে, দেশের মাটিতেই আমরা মারা যাবো, এবং সম্ভবত বড় সংখ্যায়।"

    'এরকম কিছু ঘটবে না'

    কিভাবে এই সতর্কবাণীকে দেখা হয়েছিল? প্রশ্ন করা হয় মি. হার্টকে।

    "ওই রিপোর্ট জমা দিয়ে আমরা একটা সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। আমাদের উপস্থাপনার মাঝামাঝি একজন সাংবাদিক উঠে দাঁড়ালেন এবং সেখান থেকে চলে গেলেন । তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে তিনি চলে যাচ্ছেন কেন? জবাবে সাংবাদিকটি বললেন, এগুলোর কোনটাই আসলে ঘটবে না। "

    "তিনি ছিলেন নিউইয়র্ক টাইমসের একজন সিনিয়র রিপোর্টার। কাজেই বলা যায়, মিডিয়াতে আমাদের বক্তব্য প্রায় আসেই নি। "

    গ্যারি হার্ট হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়াও এর চেয়ে খুব একটা ভালো ছিল না।

    "এই কমিশনটি গঠন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন। তবে ২০০১ সালের জানুয়ারি নাগাদ যখন এই রিপোর্টটি বের হয়, তখন হোয়াইট হাউসে নতুন প্রেসিডেন্ট এসেছেন - রিপাব্লিকান জর্জ বুশ তার মাত্র ১১ দিন আগে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। "

    গ্যারি হার্টদের ভাবনা হয়তো তাই ছিল যে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেবার প্রায় সাথে সাথেই তাদের রিপোর্টটি হাতে পাবেন।

    "হ্যাঁ ঠিক তাই। আমাদের ম্যান্ডেট ছিল যে নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে রিপোর্টটি তুলে দেয়া। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি আমাদের সাথে দেখা করেন নি। তখন আমরা ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড চেনির সাথে দেখা করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু তাও সম্ভব হলো না।

    তবে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড, এবং প্রেসিডেন্ট বুশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কন্ডোলিজা রাইসের সাথে দেখা করতে পেরেছিলাম।"

    "আমার মনে হয় দুই মন্ত্রী রিপোর্টটাকে বেশ আগ্রহের সাথেই নিয়েছিলেন, আমাদেরকে কিছু প্রশ্নও জিজ্ঞেস করলেন তারা। ডোনাল্ড রামসফেল্ড একটি হলুদ রঙের নোটবই বের করে বেশ কিছু নোট নিলেন। কিন্তু এটার ব্যাপারে যে কোন পদক্ষেপ নেয়া সেটা কিন্তু হয় নি। "

    বুশ প্রশাসন পরে বলেছিল যে কোন সতর্কবাণীর ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া খুবই কঠিন কারণ এতে সুনির্দিষ্ট কিছু ছিল না।

    'মধ্যপ্রাচ্যের কিছু লোক বিমান ওড়ানো শিখতে এসেছে'

    কমিশন এরকম কোন ইঙ্গিত দেয় নি যে বিমান হাইজ্যাক করে তা দিয়ে আক্রমণ চালানো হতে পারে।

    কিন্তু সেরকম কিছু সতর্কবাণী এসেছিল সে বছর গ্রীষ্মকালে। তাতে কিন্তু বিমানের কথাটা ছিল।

    ২০০১ সালের জুলাই মাসে, আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সের একজন এফবিআই কর্মকর্তা একটা মেমো পাঠালেন যা এখন বিখ্যাত দলিলে পরিণত হয়েছে।

    এতে তিনি কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করে বললেন - এর তদন্ত করা হোক।

    তিনি বললেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা কয়েকজন লোক স্থানীয় কিছু পাইলট ট্রেনিং কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে।

    এর পরের মাসে দু'হাজার মাইল দূরের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় এফবিআই এজেন্টরা জাকারিয়াস মুসাভি নামে একজন ফরাসী নাগরিককে গ্রেফতার করে।

    তিনি একটি স্থানীয় ফ্লাইং স্কুলে এসে বোইং সেভেন ফোর সেভেন বিমান চালনা শিখতে চেয়েছিলেন। যদিও তার বিমান চালনার তেমন কোন অভিজ্ঞতাই ছিল না।

    এফবিআইয়ের আইনজীবী কলিন রাউলিকে গভীর রাতে ফোন করে এই গ্রেফতারের কথা জানানো হলো।

    "আমাদের সক্রিয় তত্বাবধানকারীদের একজন ফোন করে বললেন, তিনি সদ্য পাওয়া কিছু তথ্য নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করতে চান।"

    তাকে বলা হলো কর্মকর্তারা মুসাভির জিনিসপত্র এবং কম্পিউটারে কি আছে তা অনুসন্ধান করার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন, এবং সে ব্যাপারে তিনি সহায়তা করতে পারেন কিনা।

    এফবিআইয়ের কর্তাব্যক্তিরা এ আবেদনের প্রক্রিয়া থামিয়ে দিলেন।

    'উড়ন্ত বিমান দিয়ে উঁচু ভবনে আঘাত?'

    ২০০৫ সালে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কলিন রাউলি বর্ণনা করেছিলেন - কী হয়েছিল সে সময়।

    "এফবিআইএর হেডকোয়ার্টারে কর্মকর্তার সাথে যুক্তিতর্ক করার সময় আমাদের একজন সুপারভাইজার সত্যি সত্যি বলেছিলেন, 'আপনি কি জানেন না যে এই ব্যক্তিটি সেই ধরনের লোক যারা উড়ন্ত বিমান দিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাত হানতে পারে?"

    জবাবে বলা হলো: এরকম কিছু ঘটবে না।"

    এই জাকারিয়াস মুসাভিই পরে, ১১ই সেপ্টেম্বরের আক্রমণ চালিয়ে মার্কিন নাগরিকদের হত্যার ষড়যন্ত্র করার দোষ স্বীকার করেন।


    'কেউ কল্পনাই করতে পারেননি এমন কিছু হতে পারে'

    কলিন রাউলি বিবিসিকে বলছিলেন, তাদের সতর্কবাণীগুলো যে উপেক্ষিত হয়েছিল তার একটা কারণ ছিল এই যে - নাইন ইলেভেনের আক্রমণের আগে প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে কেউই কল্পনাই করতে পারতেন না যে এরকম মাত্রার সন্ত্রাসী আক্রমণ আমেরিকায় হতে পারে।

    কিন্তু সিআইএ-র ভেতরে কিন্তু সতর্ক সংকেত ঠিকই বেজে উঠেছিল।

    ২০০১ সালে সিআইএর প্রধান ছিলেন জর্জ টেনেট। আর কাউন্টার টেররিজমের প্রধান ছিলেন কোফার ব্ল্যাক। এগারোই সেপ্টেম্বরের আক্রমণের ১৪ বছর পর সিবিএস টিভির শোটাইমকে দেয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে জর্জ টেনেট বলেন, সেই গ্রীষ্মকালে তাদের হাতে এমন সব জোরালো এবং নতুন প্রমাণ এসেছিল - যাতে বোঝা যায় যে আল-কায়েদা খুব শিগগীরই আমেরিকায় আক্রমণ চালাবে।

    "শুধু যে লাল সতর্কবার্তাই ছিল তাই নয়, বরং বাস্তব পরিকল্পনা তখন তৈরি হচ্ছিল।"

    একথা বলেছিলেন সিআইএ'র আলকায়েদা সংক্রান্ত ইউনিটের প্রধান রিচ ব্লি।

    "জুলাই মাসের শেষ দিক, আমরা বসে ছিলাম সম্মেলন কক্ষে। আমরা শুধু এ বিষয়গুলো চিন্তা করছিলাম, চেষ্টা করছিলাম আন্দাজ করতে যে এই আক্রমণটা ঠিক কি ভাবে চালানো হতে পারে।"

    "রিচ ব্লি আমাদের সবার দিকে তাকালো, এবং বললো: ওরা আসছে ঠিক এখানেই। আমরা কয়েক মুহুর্তের জন্য একেবারে নিরব হয়ে গেলাম, সেসময় ঘরে একটা পিন পড়লেও আপনি শুনতে পেতেন।

    'আল-কায়েদা চায় তারা আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবে।'

    জর্জ টেনেট এবং কোফার ব্ল্যাক ওই টিভির অনুষ্ঠানে বললেন, তারা হোয়াইট হাউসে কন্ডোলিজা রাইসকে ফোন করলেন।

    "আমি বললাম - কন্ডি, আমি তোমার সাথে দেখা করতে আসছি। এক্ষুণি আসছি।

    "এই আক্রমণ হবে ইংরেজিতে যাকে বলে স্পেকটাকুলার - যা দেখে লোকে চমকে যাবে। এবং একটি নয়, হয়তো একাধিক আক্রমণ হবে। আল-কায়েদা চায় তারা আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবে।"

    "আমি বললাম, আমাদের এখনই যুদ্ধ প্রস্তুতির অবস্থায় যেতে হবে।"

    কন্ডোলিজা রাইস পরে বলেছিলেন, তিনি এমন কোন রিপোর্ট পান নি যাতে বলা হয়েছিল যে আক্রমণের অস্ত্র হিসে বিমান ব্যবহৃত হতে পারে। আর, মার্কিন প্রশাসন তখন প্রতিদিনই নানারকম হুঁশিয়ারি পাচ্ছিল।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছিলেন তিনি এমন কোন গোয়েন্দা দলিলপত্র দেখেন নি যাতে আমেরিকার মাটিতে সুনির্দিষ্টভাবে কোন হামলার ভবিষ্যদ্বাণী হয়েছিল।

    অবশ্য পরে আবার এই হোয়াইট হাউসই নিশ্চিত করেছিল যে - ২০০১ সালের ৬ই আগস্ট প্রেসিডেন্টকে যে দৈনিক ব্রিফ দেয়া হয়েছিল তার শিরোনামই ছিল 'বিন-লাদেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে আঘাত হানতে বদ্ধপরিকর'।

    কমিশন ভেঙে দেবার পরও গ্যারি হার্ট এবং তার সহযোগীরা সেই গ্রীষ্মে সতর্কবাণী দেয়া অব্যাহত রেখেছিলেন।

    "আমাদের মনে হচ্ছিল বিপদ যেন আরো কাছে চলে এসেছে। আমি গভীরভাবে চিন্তিত ছিলাম। আমি তখন বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলছি, সাক্ষাতকার দিচ্ছি। "


    ১১ই সেপ্টেম্বর পেন্টাগনে আঘাত করে একটি বিমান

    কিন্তু এটাও তো ঠিক যে তারা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারেন নি যে কোথায় বা কখন এরকম আক্রমণ হবে, বা এতে বিমান ব্যবহৃত হবে কিনা।

    "সেটা তো তখন আমাদের জানার কোন উপায় ছিল না। কিন্তু আমি কানাডার মন্ট্রিয়েলে বিমান যোগাযোগ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সমিতির অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছিলাম। তার পর দিন কানাডার পত্রিকায় শিরোনাম হয় - 'আমেরিকায় সন্ত্রাসী আক্রমণ হতে যাচ্ছে, বললেন হার্ট।'

    এর দু-একদিনের মধ্যেই কন্ডোলিজা রাইসের সাথে গ্যারি হার্টের আরেকটি বৈঠক হলো। তাকে কি বলেছিলেন তিনি?

    "আমি বলেছিলাম দয়া করে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নিন। আমাদের ওপর আক্রমণ হতে যাচ্ছে। সেটা ছিল সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ। আমাদের মধ্যে আগে থেকেই পরিচয় ছিল। কন্ডোলিজা রাইস বললেন, ঠিক আছে আমি ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলবো। দেখা যাক আমাদের পরিকল্পনাগুলো দ্রুততর করা যায় কিনা। তার পাঁচ দিন পরই আক্রমণ হলো - তিন হাজার লোক মারা গেল।

    এগারোই সেপ্টেম্বরের আক্রমণের এক বছর পর এর তদন্ত করার জন্য একটি দ্বিদলীয় কমিশন গঠিত হয়েছিল। ২০০৪ সালে তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল যে - এ আক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নীতি, ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা এবং চিন্তার ব্যর্থতা ছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যে ভাবে কাজকরে তার ক্ষেত্রেব্যাপক পরিবর্তন আনারও সুপারিশ করা হয়।

    এই রিপোর্ট প্রকাশের এক মাস আগে সিআইএ প্রধান জর্জ টেনেট পদত্যাগ করেন।

  • #2
    চমৎকার তথ্যমূলক আলোচনা করেছেন ৷
    "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনাদের কাজ কবুল করুন আমীন।
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ।
        আনেক সৃন্দর আলোচনা।
        আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment


        • #5
          আমরাই কুফফারের মনে কাঁপন ধরাবো ইনশা আল্লাহ্।

          Comment


          • #6
            হে আল্লাহ ভাইদের ইলমে ও আমলে বরকত দান করুন,আমীন।
            মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

            Comment


            • #7
              তথ্যবহুল আলোচনা ৷
              গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

              Comment

              Working...
              X