০১ জুন ২০২৩ তারিখে প্রথম আলো'র অপরাধ বিভাগে প্রকাশিত
নারায়ণগঞ্জ ও দিনাজপুরের ১০ বছরের কম বয়সী একাধিক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন ২৬ বছর বয়সী ইনজামামুল ইসলাম। তিনি যৌন নিপীড়নের সেই দৃশ্যগুলো ভিডিও ধারণ করে রেখে দেন নিজের মুঠোফোনে। গুগলের কল্যাণে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
ইনজামামুল ইসলামের মুঠোফোনে এমন দৃশ্য থাকার তথ্য গুগল দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেনের (এনসিএমইসি) কাছে। তারা সেই তথ্য বাংলাদেশের পুলিশ সদর দপ্তরকে জানায়।
পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) অনুসন্ধান করে ওই যুবককে শনাক্ত করে। পরে গতকাল বুধবার গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার ভবানীপুরের বানিয়ারচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইনজামামুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনজামামুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জানিয়েছেন, যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুগুলো তাঁর নিকটাত্মীয়। ২০১৯ সালে প্রথম একজনকে যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর নানা প্রলোভন দিয়ে একের পর এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেন তিনি। এসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সেগুলো তাঁর মুঠোফোনের স্টোরেজ ও গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখেন।
সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনজামামুলকে গ্রেপ্তার করার সময় তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে অনেকের নগ্ন ছবি, ভিডিও এবং শিশু পর্নোগ্রাফির প্রচুর আধেয় (কনটেন্ট) পাওয়া যায়। তাঁর বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
সিআইডি বলেছে, ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা। তারা শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধ, শিশু পর্নোগ্রাফি নির্মূলসহ শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধন করা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান, যেমন ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট তাদের নেটওয়ার্কে শিশুদের যৌনকাজে ব্যবহার, যৌন নিপীড়ন–সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এনসিএমইসিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জানায়। ২০২১ সাল থেকে এনসিএমইসির সঙ্গে যুক্ত হয় সিআইডি। সেই সূত্রে এ তথ্য পেয়েছে তারা।
আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন, আমরা কে কে তাদের নজরদারিতে পড়ে রয়েছি।
আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেইন কে এইভাবেই তথ্য দিয়ে সাহায্য করার ফলেই একবছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার মতো শক্তিধর রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে।
এই অবস্থা থেকে বাঁচতে আমাদের কি পদক্ষেপ নেয়া যায়?
=> এন্ড্রয়েড মোবাইলে কাস্টম রম ইন্সটল করা যায়, G-Apps বাদ দিয়ে।
=> উইন্ডোজ বাদ দিয়ে লিনাক্স ইউজ করা যায়।
=> গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলো এনক্রিপ্টেড করে রাখা যায়।
আর আল্লাহ তায়ালার কাছে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দোয়া করতে থাকা ছাড়া কোন উপায় দেখি না।
নারায়ণগঞ্জ ও দিনাজপুরের ১০ বছরের কম বয়সী একাধিক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন ২৬ বছর বয়সী ইনজামামুল ইসলাম। তিনি যৌন নিপীড়নের সেই দৃশ্যগুলো ভিডিও ধারণ করে রেখে দেন নিজের মুঠোফোনে। গুগলের কল্যাণে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
নিজ ফোনে ধারণ করা ভিডিও গুগল পেলো কিভাবে?
সেই তথ্য এনালাইসিস করে গুগল সরবরাহ করছে থার্ড পার্টি একটা সংগঠনের কাছে। যেই সংগঠন আবার স্বপ্রনোদিত হয়ে এই তথ্য সরবরাহ করেছে বাংলাদেশে পুলিশ এর কাছে।
পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) অনুসন্ধান করে ওই যুবককে শনাক্ত করে। পরে গতকাল বুধবার গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার ভবানীপুরের বানিয়ারচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইনজামামুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনজামামুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জানিয়েছেন, যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুগুলো তাঁর নিকটাত্মীয়। ২০১৯ সালে প্রথম একজনকে যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর নানা প্রলোভন দিয়ে একের পর এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেন তিনি। এসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সেগুলো তাঁর মুঠোফোনের স্টোরেজ ও গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখেন।
দেখুন, একজন তার মোবাইলে ছবি তুলে, ভিডিও করে রাখল। ড্রাইভে বা ফোন স্টোরেজে। গুগল যদি লক্ষ-কোটি ব্যবহারকারির ডাটা, ব্যবহারকারির অনুমতি ছাড়া না দেখে, যে সেগুলো কিসের ভিডিও? এবং এনালাইসিস না করে, তবে তো এই বিষয়ে জানার কথা না, তাই না? তার মানে, গুগল আমাদের ফোন স্টোরেজ এর উপর নিয়মিত নজরদারি করে।
সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনজামামুলকে গ্রেপ্তার করার সময় তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে অনেকের নগ্ন ছবি, ভিডিও এবং শিশু পর্নোগ্রাফির প্রচুর আধেয় (কনটেন্ট) পাওয়া যায়। তাঁর বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
আমেরিকা থেকে গুগলের সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে, এবং ফোন চেক করে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। চিন্তা করুন, বিষয়টা কতো ভয়ংকর আমাদের প্রত্যেকের জন্য।
সিআইডি বলেছে, ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা। তারা শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধ, শিশু পর্নোগ্রাফি নির্মূলসহ শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধন করা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান, যেমন ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট তাদের নেটওয়ার্কে শিশুদের যৌনকাজে ব্যবহার, যৌন নিপীড়ন–সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এনসিএমইসিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জানায়। ২০২১ সাল থেকে এনসিএমইসির সঙ্গে যুক্ত হয় সিআইডি। সেই সূত্রে এ তথ্য পেয়েছে তারা।
তার মানে কি? আমরা যেখান থেকেই গুগলের এন্ড্রয়েড ফোন চালাচ্ছি, মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ পিসি চালাচ্ছি। তারা সার্বক্ষনিক আমাদের উপর নজর রাখছে এই ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে। এবং ক্ষেত্র বিশেষে এই তথ্য সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা কে সরবরাহ করছে।
আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন, আমরা কে কে তাদের নজরদারিতে পড়ে রয়েছি।
আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেইন কে এইভাবেই তথ্য দিয়ে সাহায্য করার ফলেই একবছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার মতো শক্তিধর রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে।
এই অবস্থা থেকে বাঁচতে আমাদের কি পদক্ষেপ নেয়া যায়?
=> এন্ড্রয়েড মোবাইলে কাস্টম রম ইন্সটল করা যায়, G-Apps বাদ দিয়ে।
=> উইন্ডোজ বাদ দিয়ে লিনাক্স ইউজ করা যায়।
=> গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলো এনক্রিপ্টেড করে রাখা যায়।
আর আল্লাহ তায়ালার কাছে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দোয়া করতে থাকা ছাড়া কোন উপায় দেখি না।
Comment