কোন পথে “সংযুক্ত আরব আমিরাত”
---------------------------------
একের পর এক ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য ও বিবৃতি এবং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থবিরোধিতার পর এবার প্রকাশ্যে খোদাদ্রোহীতার পথে মধ্যপ্রাচ্যের ইসরাইল খ্যাত আরব আমিরাত।
মুসলিম অধ্যূষিত সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা বৃদ্ধির নামে গত শনিবার ইসলামিক আইন সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশটিতে অবিবাহিত যুগল একত্রে বসবাস এবং মদ্যপানের উপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ
আমার ভাবতেই অবাক লাগছে যে, আল্লাহ যা হারাম করেছেন, তারা কিভাবে তা বৈধতার সনদ দিতে পারে? এরপর তারা মুসলমানদের শাসক হওয়ার যোগ্যতা রাখে কিভাবে? যদিও তারা অনেক আগেই ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেছে। কিন্তু তা অনেকটা গোপনে ছিল। এবার তলের বিড়াল প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসছে...!
এখন কি আর মুসলমানদের নিকট এ সকল শাসকদের মুরতাদ হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ-সংশয় থাকতে পারে?
হুবহু এ জাতীয় আইন তো আমাদের দেশের শাসকরা করে রেখেছে। যেমন- মদ ও সুদের বৈধতা, পতিতালয়ের লাইসেন্স ইত্যাদি। তাহলে এ দেশের শাসক মুরতাদ হবে না কেন? বা না হওয়ার কি কারণ থাকতে পারে?
কিন্তু এরপরেও আমাদের দেশের অনেক সাধারণ মুসলিম তো বটেই, এমনকি অনেক আলিম-তালিবুল ইলমরাও তাদেরকে মুরতাদ মনে করে না। তাদের নিকট বিষয়টা অস্পষ্ট রয়ে গেছে এখনো?! অথব বিষয়গুলি কতই স্পষ্ট!
এছাড়াও এ সকল নামদারি মুসলিম শাসকরা তো ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী-ই। যা ঈমান ভঙ্গের অন্যতম কারণ। যেটিতে মডারেট মুসলিমদের ‘সুলতান’ খ্যাত ব্যক্তিও আছেন। তিনিও তার দেশে এমন শরীয়াহ বিরোধী আইন চালু রেখেছেন।
যাই হোক, কথা অন্য দিকে চলে গেল। এবার মূল প্রসঙ্গে আসি।
সাম্প্রতিককালে আরব আমিরাত যে কাজটি করল, তার বিবরণ একটি জাতীয় দৈনিকের আলোকে হুবহু দেখুন-
মুসলিম অধ্যূষিত সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা বৃদ্ধির নামে গত শনিবার ইসলামিক আইন সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশটিতে অবিবাহিত যুগল একত্রে বসবাস এবং মদ্যপানের উপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ
আমার ভাবতেই অবাক লাগছে যে, আল্লাহ যা হারাম করেছেন, তারা কিভাবে তা বৈধতার সনদ দিতে পারে? এরপর তারা মুসলমানদের শাসক হওয়ার যোগ্যতা রাখে কিভাবে? যদিও তারা অনেক আগেই ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেছে। কিন্তু তা অনেকটা গোপনে ছিল। এবার তলের বিড়াল প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসছে...!
এখন কি আর মুসলমানদের নিকট এ সকল শাসকদের মুরতাদ হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ-সংশয় থাকতে পারে?
হুবহু এ জাতীয় আইন তো আমাদের দেশের শাসকরা করে রেখেছে। যেমন- মদ ও সুদের বৈধতা, পতিতালয়ের লাইসেন্স ইত্যাদি। তাহলে এ দেশের শাসক মুরতাদ হবে না কেন? বা না হওয়ার কি কারণ থাকতে পারে?
কিন্তু এরপরেও আমাদের দেশের অনেক সাধারণ মুসলিম তো বটেই, এমনকি অনেক আলিম-তালিবুল ইলমরাও তাদেরকে মুরতাদ মনে করে না। তাদের নিকট বিষয়টা অস্পষ্ট রয়ে গেছে এখনো?! অথব বিষয়গুলি কতই স্পষ্ট!
এছাড়াও এ সকল নামদারি মুসলিম শাসকরা তো ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী-ই। যা ঈমান ভঙ্গের অন্যতম কারণ। যেটিতে মডারেট মুসলিমদের ‘সুলতান’ খ্যাত ব্যক্তিও আছেন। তিনিও তার দেশে এমন শরীয়াহ বিরোধী আইন চালু রেখেছেন।
যাই হোক, কথা অন্য দিকে চলে গেল। এবার মূল প্রসঙ্গে আসি।
সাম্প্রতিককালে আরব আমিরাত যে কাজটি করল, তার বিবরণ একটি জাতীয় দৈনিকের আলোকে হুবহু দেখুন-
---------------------------------
লিভ টুগেদারের বৈধতা দিল আরব আমিরাত, মদপানের নিয়মও শিথিল
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ আরব আমিরাত লিভ টুগেদারকে বৈধতা দিয়েছে।
এর অর্থ হল- এক সময়কার কট্টর ইসলামি অনুশাসনের দেশটিতে এখন থেকে অবিবাহিত নারী-পুরুষ একসঙ্গে থাকতে পারবেন। আইনগতভাবে তাদেরকে কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়তে হবে না।
একইসঙ্গে লাইসেন্স ছাড়া মদপানের সুযোগও দেয়া হয়েছে মানুষকে। খবর ডেইলি মেইল ও মেট্রো ডটকমের।
দেশটির ইসলামিক পারসোনাল ল’-তে পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে এই দুটি সুযোগ দেয়া হয়েছে ২১ বছরের বেশি বয়সী মানুষের জন্য।
একইসঙ্গে কথিত ‘অনার কিলিং’-কে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার বিষয়টিও অনুমোদন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির আইনে এসব পরিবর্তন করা হয়েছে জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে।
উল্লেখ্য, আরব আমিরাতে বহু ধর্ম-বর্ণের লোকের বসবাস রয়েছে। তবে দেশটি মূলত আরব মুসলিমের বাসস্থান ও তাদের শাসনাধীন।
সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল-আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হয়। এরপরই ইসরাইলের কাছ থেকে বিনিয়োগ ও পর্যটক আকর্ষণের চেষ্টা করছে মুসলিম দেশটি।
সরকার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর দ্রুত এ আইন কার্যকর হচ্ছে। এখন থেকে মাদবদ্রব্য ও মদপান, বিক্রি ও মালিকানায় রাখার কারণে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।
এ ছাড়া ২১ বছরের বেশি বয়সী অবিবাহিত নারী-পুরুষ আত্মীয় হোক বা না-হোক, একসঙ্গে বসবাসের ক্ষেত্রে কোনো জবাবদিহির মধ্যে পড়তে হবে না।
শনিবার মুসলিম ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আইনে পরিবর্তনের এসব ঘোষণা দেয়া হয় আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে।
এতদিন আমিরাতের আইনে লাইসেন্স ছাড়া মদ ও মাদক রাখা এবং বিক্রির দায়ে ধরা পড়লে শাস্তির মুখে পড়ার বিধান ছিল। এ জন্য অন্তত ৮০টি বেত্রাঘাতের বিধান ছিল। অবশ্য এ ধরনের শাস্তি বাস্তবায়নের ঘটনা দেখা গেছে খুবই কম।
এ ছাড়া বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক করা ও একসঙ্গে বসবাসের ক্ষেত্রেও নারী-পুরুষকে কয়েক মাসের জেল দেয়ার বিধান ছিল ইসলামিক পারিবারিক আইন অনুযায়ী। তবে ব্যভিচারের সন্দেহ না হলে কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্তে যেত না।
আমিরাতের অনেক স্থানেই কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে অন্ধ থাকার ভান ধরত। যেমন: দুবাইয়ের মতো শহরগুলোয় হোটেলে অবিবাহিত নারী-পুরষের একসঙ্গে থাকার বিষয়ে কোনো বাধা দেয়া হতো না।
আরব আমিরাতে বসবাসকারী বিদেশিদের ক্ষেত্রে এখন থেকে বিবাহবিচ্ছেদ ও উত্তরাধীকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোয় স্থানীয় আইনের পরিবর্তে বাদী-বিবাদীদের নিজ দেশের আইন অনুসরণ করা হবে।
এটি দেশটিতে বসবাসকারী লাখো বিদেশির জন্য বড় খবর। আরব আমিরাতে বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা দেশটির মূল অধিবাসীদের ১০ গুণ।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর
************************
Comment